ঈদের আগেই শিথিল হচ্ছে বিধিনিষেধ, চালু হতে পারে গণপরিবহন ও মার্কেট

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১লা জুলাই শুরু হওয়া চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ই জুলাই বুধবার। পরদিন বৃহস্পতিবার থেকেই শিথিল হতে পারে সেই বিধিনিষেধ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু হতে পারে গণপরিবহন ও মার্কেট।

এছাড়া কোরবানির পশুর হাটও বসানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এসব বিষয়ে যেকোনো সময় ঘোষণা আসতে পারে সরকারের তরফ থেকে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

শ্রমজীবী মানষের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করে ঈদের আগে বিধিনিষেধ শিথিল হচ্ছে বলে সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে।

সরকারের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে এ বিষয়ক নথি অনুমোদন হয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এসেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি মিললেই যেকোনো সময় জারি হবে প্রজ্ঞাপন।

সূত্রটি জানায়, ঈদ উপলক্ষে শিথিল লকডাউনে এক সপ্তাহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক আসন ফাঁকা রেখে চলবে সব গণপরিবহন। খুলে দেয়া হবে দোকানপাট, শপিং মল। এ সময়ে সরকারি অফিস ভার্চুয়ালি খোলা থাকলেও বন্ধ থাকবে বেসরকারি অফিস।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ সামাল দিয়ে যাত্রা নির্বিঘ্ন করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
একজন কর্মকর্তা বলেন, রোজার ঈদে মানুষজন যেভাবে বাড়ি গিয়েছেন, সে বিষয়গুলোকে এবার চিন্তায় রেখেছেন সরকারের নীতি নির্ধারকরা। তাই গণপরিবহন খুলে দেয়াকে অপেক্ষাকৃত ভালো সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন তারা।

এর আগে রোববার (১১ জুলাই) বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, ১৪ জুলাইয়ের পরও বিধিনিষেধ থাকছে। তবে বিধিনিষেধে শিথিলতা থাকছে কি-না, সেটি পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, যেহেতু ঈদ এবং কোরবানির হাট আছে, এ দুটিকে কীভাবে করলে সংক্রমণটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব, সেটিই আমাদের মূল লক্ষ্য। হাটগুলোকে কত সুনিয়ন্ত্রিতভাবে করতে পারি সেটা নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাটগুলো যাতে নিরাপদ জায়গাতে হয়, খোলা জায়গায়, যেখানে তিনটি গেট থাকতে পারে। একটি দিয়ে ক্রেতারা ঢুকবেন, তারা পশু কিনে নিয়ে আসবেন। আরেকটি দিয়ে পশু ঢোকানো হবে।

তিনি বলেন, হাটে যাতে নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রেতা ঢোকে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। অবশ্যই হাটে এলে একা বা বেশি সংখ্যক না এসে সঙ্গে একজন যাতে থাকে। সংক্রমণ ও মৃত্যু মাথায় রেখেই হাটে আসতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অতিরিক্ত মানুষ যাতে না ঢোকে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা এবং দ্রুত যাতে বেরিয়ে যেতে পারে, সে ব্যবস্থা রাখা। তবে এর ওপর আমরা চাইছি যে, গতবার যেহেতু ২৫ শতাংশ সাকসেসফুল করেছি ডিজিটাল হাটকে… অনলাইনের যে হাটগুলো, সেগুলো যাতে আরও জনপ্রিয় করা যায়, সেটিতে এবার আরও জোর দিচ্ছি।

গত ২৪ জুন জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনে’র সুপারিশ করা হয়। কমিটির সুপারিশের আলোকে ২৮ জুন থেকে ৩০ জুন তিন দিন সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এরপর ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় কঠোর বিধিনিষেধ। যা চলমান অবস্থায় গত ৫ জুলাই আরও ৭ দিনের জন্য বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

ভেদরগঞ্জের সখিপুরে মল্লিক কান্দি নিজস্ব অর্থায়নে শেখ ইদ্রিস আলী সড়ক নির্মান।

আমাদের প্রতিনিধি
আমান আহমেদ সজিবঃ
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানা ও সখিপুর ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ড মল্লিক কান্দি গ্রামে নিজস্ব অর্থায়নে মৃৃত. শেখ ইদ্রিস আলী সড়ক নির্মান এর কার্যক্রম চলছে। সোমবার (১২জুলাই) সকাল ৪ টায় দিকে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শেখ মোঃ সাদীর বাস ভবনে
মিলাত ও দোয়ার আয়োজন শেষে সড়কটির শুভ উদ্বোধন করেন সখিপুর থানা আওয়ামী লীগ এর সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও বর্তমান সখিপুর থানা আওয়ামীলীগ এর সহ-সভাপতি মোঃ নাছির সরদার,
সাবেক মেম্বার মহসিন শেখ, জহিরুল ইসলাম শেখ, চুন্নু মিয়া মল্লিক, তারেক মাহমুদ, চুন্নু মিয়া খেখ, মুকবিল শেখ, জব্বার মোল্লা, আজগর আলী শেখ, আলি আহম্মদ বেপারী, সাজাহান হাওলাদার, দেলোয়ার বেপারী, নিজাম শেখ, জান শরীফ মাঝী,লিটন শেখ, মনির হোসেন মল্লিক, সুজন মিয়া, সাদ্দাম হোসেন, মামুন হাওলাদার, বাবু হাওলাদার, আলাউদ্দিন বেপারী, সাহেদ কবির, মনির হোসেন সহ অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি গর্ব উপস্থিত।

এসময় সাবেক মেম্বার মহসিন শেখ জানান ১৯-৯৮ সালে মৃত. শেখ ইদ্রিস আলী সড়কটি এডিপির প্রজেক্ট
দ্বারা সড়কটি নির্মান করা হয়। দীর্ঘ ২২ বছরেরও বেশি গুরুত্বপূর্ন এই সড়কটি বেহাল দষায় রয়েছে।
এলাকার জনসাধারনের সার্থে আমাদের নিজেস্ব তহবিল থেকে আমরা সাজাহান হাওলাদার এর বাড়ি থেকে মুকবি শেখ এর বাড়ির মেইন পাকা সড়ক পর্যন্ত আমরা মৃত.শেখ ইদ্রিস আলী সড়কটি নির্মাণ করে দিচ্ছি।

এলাকাবাসী জানান
১১২ নং দক্ষিণ সখিপুর মল্লিক কান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আনুমানিক ১ কিলো মিটার কাচা সড়কের জন্য ভোগান্তিতে রয়েছেন অত্র সড়কের উত্তর, দক্ষিণের প্রায় ৩থেকে ৪ হাজার গ্রামের জনসাধারণ।

বর্ষা মৌসুম এলেই যেনো তাদের কষ্টের সীমা থাকে না।সামান্য বৃস্টি হলেই গ্রামীন এই কাচা সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
গ্রামবাসির একমাত্র চলাচলের রাস্তা এ টি ও
স্কুলে যাওয়ার জন্য ভোগান্তি পোহাতে হয় অত্র এলাকার ছাত্র ছাত্রীদের।

সখিপুর মল্লিক কান্দি ১১২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কটি মেরামত ও পাকা করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম এমপি মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছেন অত্র এলাকার জনসাধারণ।

গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়ায় লকডাউনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অপরাধে জরিমানা

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় লকডাউনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অপরাধে ৭ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

আজ সোমবার সরকার ঘোষিত বিভিন্ন নির্দেশনা না মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার অপরাধে কোটালীপাড়া উপজেলা সদর, মহুয়ার মোড়,সিকির বাজার ও ঘাঘর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইউসুফ সরকারি নির্দেশনা না মানার অপরাধে ৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৩৪ হাজার ৬শত টাকা জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, বর্তমানের করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার জন্য সরকার কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছেন। এ সময়ে অনেক ব্যবসায়ী সরকারের এই নির্দেশনা মানছেন না। যেসব ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান সরকারি নির্দেশনা না মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এছাড়াও যদি কোন ব্যক্তি মাস্ক না পড়ে বাহিরে বের হয় বা বিনা প্রযোজনে ঘর থেকে বাহিরে আসে তাহলে তার বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শরীয়তপুরে ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত ৮৮ জন

শরীয়তপুরঃ ছয় উপজেলায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নতুন করে গত ২৪ ঘন্টায় ৮৮ জন বলে জানা গেছে।

যার মধ্যে রয়েছে জেলার সদর উপজেলায় ২৯ জন,জাজিরা উপজেলায় ৫ জন, নড়িয়া উপজেলায় ৯ জন, ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ২১ জন, ডামুড্যা উপজেলায় ৮ জন, গোসাইরহাট ১৬ জনসহ মোট আক্রান্ত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৮৮ জন বলে জানিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন।

আজ সোমবার (১২ জুলাই) জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এ দিকে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি, এছাড়াও নতুন করে জেলায় সুস্থ হয়েছেন ২০ জন।

এ ছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে ২৭৮ জনের। তবে এ পর্যন্ত মোট জেলায় নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে মোট ১৩৫৬২ জনের।

এতে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার ফলাফল হাতে এসেছে ২১৯ জনের। এ ছাড়াও এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার প্রাপ্ত ফলাফল মোট এসেছে ১৩৩৫৩ জনের।

গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় কোন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি, তবে করোনার প্রথম থেকে জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু বরণ করেছেন ৩০ জন। যার মধ্যে সদরে ৫ জন, জাজিরা ৩ জন, নড়িয়া ১৪ জন, ভেদরগঞ্জ ৫ জন, ডামুড্যা ২ জন, এবং গোসাইরহাট ১ জনসহ সর্বমোট মিলিয়ে ৩০ জন।

সুস্থের বিষয়ে জানতে চাইলে জানা যায়,গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ২০ জন। এ ছাড়াও জেলায় মোট সুস্থ এখন পর্যন্ত ২২৮৮ জন। যার মধ্যে এ পর্যন্ত সদরে ৯৪৪ জন, জাজিরা ২৫৭ জন, নড়িয়া ২৭৫ জন, ভেদরগঞ্জ ৩০২ জন, ডামুড্যা ২২৯ জন, এবং গোসাইরহাট ২৮১ জনসহ মোট মিলিয়ে ২২৮৮ জন।

এছাড়াও বর্তমানে জেলায় সক্রিয় করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৪৮১ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা সিভিল সার্জন।

হেল্প সেন্টারের উদ্বোধন টাঙ্গাইল বিএনপির করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবার জন্য

টাঙ্গাইল – কোভিট-১৯ মহামারী করোনা ভাইরাস আক্রান্ত অসহায় সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার লক্ষে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি কর্তৃক পরিচালিত হেল্প সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (১২ জুলাই) সকালে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিদের্শনায় ও টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবালের তত্ববধানে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

হেল্প সেন্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান জিন্নাহ, টাঙ্গাইল পৌরসভার কাউন্সিল ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান আলীম, জেলা তাঁতী দলের আহŸায়ক শাহ্ আলম মিয়া, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাদিউজ্জামান সোহেল, সরকারি এম এম আলী কলেজর সাবেক ভিপি আউঙ্গজেব তুষার, জেলা উলাম দলের আহŸায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিকী, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার আবিদ হাসান ইমন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. রাকিব হোসেনসহ বিএনপির সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

পরে কোভিট-১৯ মহামারী করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে যারা অনেক কষ্টে দিন যাপন করছেন তাদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।