অবশেষে লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল ইসলাম

আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ
অবশেষে জনসম্মুখে সাবেক স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির একমাত্র জীবিত ছেলে সাইফ আল ইসলাম। তিনি আগামীতে অবশেষে দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলেন।

সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাইফ জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘ দশ বছর ধরে লিবিয়ার জনগণ থেকে দূরে রয়েছি। ধীরে ধীরে ফিরে আসতে হবে। জনগণের মন জয় করতে হবে।’ লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে চান তিনি।

সাক্ষাৎকারে ‘বন্দী কি না’ এই প্রশ্নের জবাবে সাইফ বলেন, ‘তিনি এখন মুক্ত এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা ফিরে পেতে কাজ করছেন। আপনি কল্পনা করতে পারেন? যারা আমাকে বন্দী হিসেবে পাহারা দিয়ে রাখার কথা ছিল, তারা এখন আমার ভালো বন্ধু। এক দশক আগে যারা তাকে গ্রেফতার করেছিল, পরে তারা হতাশ হয়ে পড়ে। একসময় সেই বিপ্লবীরা উপলব্ধি করে, সাইফ তাদের শক্তিশালী মিত্র হতে পারে।’

২০১১ সালের নভেম্বরে লিবিয়ার সাবেক বিদ্রোহী গোষ্ঠী আজমি আল-আতিরি সাইফ গাদ্দাফিকে আটক করে এবং তখন থেকে সাইফ এ গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রিত কারাগারে আটক ছিলেন।

লিবিয়া সরকার অবশ্য দাবি করেছিল, সাইফ গাদ্দাফি তাদের নিয়ন্ত্রিত কারাগারে রয়েছেন। ২০১৩ সালে ত্রিপোলির একটি আদালত সাইফসহ গাদ্দাফির শাসনামলের প্রায় ৩০ জন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে ২০১১ সালের অভ্যুত্থানের সময়কার অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বিদ্রোহীদের হাতে প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফি নিহত হওয়ার একদিন পর সাইফও ধরে পড়েন। ২০১৭ সালে বিদ্রোহীদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সাইফকে আর জনসমক্ষে তেমন দেখা যায়নি। বাবা গাদ্দাফি হত্যার পর তাকেই লিবিয়ার পরবর্তী উত্তরসূরি ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু তা হয়ে উঠেনি। গাদ্দাফির সাত সন্তানের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনজন।

ঢাকা উত্তর বিএনপির নেতৃত্বে আমান-আমিনুল, দক্ষিণে সালাম-মজনু

নিউজ ২৪লাইনঃ ঢাকা- বিএনপি’র মেয়াদোত্তীর্ণ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার নির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণে আহ্বায়ক করা হয়েছে আবদুস সালাম ও উত্তরে আহ্বায়ক হয়েছেন আমান উল্লাহ আমান। দক্ষিণে সদস্য সচিব করা হয়েছে রফিকুল আলম মজনু ও আমিনুল হককে উত্তরের।

সোমবার (২ আগস্ট) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার উল্লেখিত কমিটি দুটি অনুমোদন করেছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর

১. আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান
২. যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আলী নকি, গুলশান
৩. যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, তেজগাঁও
৪. যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুল ইসলাম মতিন, মোহাম্মদপুর
৫. যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, বিমানবন্দর
৬. যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌসি আহমেদ মিষ্টি, সাবেক কাউন্সিলর
৭. যুগ্ম আহ্বায়ক এ জি এম শামসুল হক, বাড্ডা
৮. যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মতি, কাফরুল
৯. যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, ভাটারা
১০. যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তার হোসেন, খিলক্ষেত
১১. যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা, তুরাগ
১২. সদস্য সচিব আমিনুল হক, রূপনগর
১৩. সদস্য তাবিথ আউয়াল, গুলশান
১৪. সদস্য ফয়েজ আহমেদ ফরু, রামপুরা
১৫. সদস্য শাহিনুর আলম মারফত, খিলক্ষেত
১৬. সদস্য আলহাজ আবুল হাসেম, আদাবর
১৭. সদস্য মাহফুজুর রহমান, বাড্ডা
১৮. সদস্য আলাউদ্দিন সরকার টিপু, বিমানবন্দর
১৯. সদস্য তুহিনুল ইসলাম তুহিন, বাড্ডা
২০. সদস্য হাফিজুর রহমান ছাগির, উত্তরা পশ্চিম
২১. সদস্য সোহেল রহমান, মোহাম্মদপুর
২২. সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আক্তারুজ্জামান, আদাবর
২৩. সদস্য আবুল হোসেন আব্দুল, মিরপুর
২৪. সদস্য মো. শাহ্ আলম, শেরেবাংলা নগর
২৫. সদস্য এল রহমান, তেজগাঁও
২৬. সদস্য আফাজ উদ্দিন, উত্তরা পশ্চিম
২৭. সদস্য আহসান হাবিব মোল্লা, উত্তর খান
২৮. সদস্য সালাম সরকার, উত্তরা পূর্ব
২৯. সদস্য গোলাম কিবরিয়া মাখন, ভাষানটেক
৩০. সদস্য এ বি এম রাজ্জাক, মিরপুর
৩১. সদস্য তারিকুল ইসলাম তালুকদার, ক্যান্টনমেন্ট
৩২. সদস্য হাজী মো. ইউসুফ, মোহাম্মদপুর
৩৩. সদস্য আলী আকবর আলী, দক্ষিণ খান
৩৪. সদস্য আহসান উল্লা চৌধুরী হাসান, কাফরুল
৩৫. সদস্য মিজানুর রহমান বাচ্চু, বনানী
৩৬. সদস্য হুমায়ন কবির রওশন, শাহআলী
৩৭. সদস্য আমজাদ হোসেন মোল্লা, রূপনগর
৩৮. সদস্য রেজাউর রহমান ফাহিম, বনানী
৩৯. সদস্য মাহবুব আলম মন্টু পল্লবী
৪০. সদস্য হাফিজুর হাসান শুভ্র, দারুস-সালাম
৪১. সদস্য জাহাঙ্গীর মোল্লা, বাড্ডা
৪২. সদস্য আজহারুল ইসলাম সেলিম, ভাটারা
৪৩. সদস্য শফিকুল ইসলাম শাহিন, গুলশান
৪৪. সদস্য আফতাব উদ্দিন জসিম, শেরেবাংলা নগর
৪৫. সদস্য মো. হানিফ মিয়া, শাহ্আলী
৪৬. সদস্য মো. মোজাম্মেল হোসেন সেলিম, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল
৪৭. সদস্য মো. জিয়াউর রহমান জিয়া, মিরপুর।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ

১. আহ্বায়ক আবদুস সালাম
২. যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্ল্যাহ নবী, যাত্রাবাড়ী
৩. যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা, খিলগাঁও
৪. যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোহন, কোতোয়ালি
৫. যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন খোকন, লালবাগ
৬. যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সাত্তার, সূত্রাপুর
৭. যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, কলাবাগান
৮. যুগ্ম আহ্বায়ক আ. ন. ম সাইফুল ইসলাম, শ্যামপুর
৯. যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন উর রশিদ হারুন, মতিঝিল
১০. যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিন, কদমতলী
১১. যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মাহমুদ, স্বেচ্ছাসেবক দল
১২. যুগ্ম আহ্বায়ক এস. কে সেকেন্দার কাদির, পল্টন
১৩. যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন চেয়ারম্যান, কামরাঙ্গীরচর
১৪. সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, শান্তিনগর
১৫. সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন
১৬. সদস্য ফরিদ উদ্দিন, সূত্রাপুর
১৭. সদস্য গোলাম হোসেন, সবুজবাগ
১৮. সদস্য সাব্বির হোসেন আরিফ, গোপীবাগ
১৯. সদস্য এডভোকেট ফারুকুল ইসলাম, খিলগাঁও
২০. সদস্য মকবুল হোসেন টিপু, গেন্ডারিয়া
২১. সদস্য আবদুল হান্নান, শাহবাগ
২২. সদস্য আরিফুর রহমান নাদিম, বংশাল
২৩. সদস্য আনোয়ার হোসেন বাদল, চকবাজার
২৪. সদস্য কে. এম জুবায়ের এজাজ, ধানমন্ডি
২৫. সদস্য ফরহান হোসেন, যাত্রাবাড়ী
২৬. সদস্য লতিফ উল্লাহ জাফরু, বংশাল
২৭. সদস্য অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন সর্দার, নিউমার্কেট
২৮. সদস্য মোহাম্মদ আলী চায়না, মুগদা
২৯. সদস্য আবদুল আজিজ, হাজারীবাগ
৩০. সদস্য জামিলুর রহমান নয়ন, যুবদল
৩১. সদস্য হাজি শহিদুল ইসলাম বাবুল, চকবাজার
৩২. সদস্য আকবর হোসেন নান্টু, ডেমরা
৩৩. সদস্য শামছুল হুদা কাজল, মুগদা
৩৪. সদস্য সাইদুর রহমান মিন্টু, দফতর
৩৫. সদস্য এস এম আব্বাস, পল্টন
৩৬ সদস্য লোকমান হোসেন ফকির, পল্টন
৩৭. সদস্য জুম্মন হোসেন চেয়ারম্যান, দনিয়া
৩৮. সদস্য ফজলে রুবায়েত পাপ্পু, শাহজাহানপুর
৩৯. সদস্য আবদুল হাই পল্লব, ডেমরা
৪০. সদস্য এডভোকেট মহি উদ্দিন, চৌধুরী
৪১. সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, ছাত্রদল
৪২. সদস্য সাইফুল্লাহ খালেদ রাজন, ছাত্রদল
৪৩. সদস্য ওমর নবী বাবু, গেন্ডারিয়া
৪৪. সদস্য আবুল খায়ের লিটন, হাজারীবাগ
৪৫. সদস্য নাছরিন রশিদ পুতুল, মহিলা কমিশনার
৪৬. সদস্য নাদিয়া পাঠান পাপন, ছাত্রদল
৪৭. সদস্য হাজী নাজিম, কোতোয়ালি
৪৮. সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, নিউমার্কেট
৪৯. সদস্য জামশেদুল আলম শ্যামল, যাত্রাবাড়ী।

করোনার ভ্যাকসিন ছাড়াই ২০ জনের দেহে সুচ পুশ করার অভিযোগ!

টাঙ্গাইলে করোনার ভ্যাকসিন ছাড়াই সুচ পুশ করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (০১ আগস্ট) দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। আর হাসপাতালের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিনের বিরুদ্ধেই উঠেছে এ অভিযোগ ।

জানা গেছে, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২নং বুথে টিকা দিচ্ছিলেন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিন। এসময় সাজেদা আফরিন টিকা গ্রহণকারিদের শরীরে ভ্যাকসিন প্রবেশ না করিয়ে শুধু সুচ পুশ করে সিরিঞ্জ ফেলে দিচ্ছিলেন।  বিষয়টি এক যুবকের নজরে আসে। ঘটনাটি আবাসিক চিকিৎসক ডা. শামিমকে জানানো হলে তিনি পরিত্যাক্ত সিরিঞ্জগুলো বাছাই করে ২০টি সিরিঞ্জের ভেতর সম্পূর্ণ ভ্যাকসিনের উপস্থিতি দেখতে পান। তিনি নিশ্চিত হন সুচ পুশ করা হলেও শরীরে ভ্যাকসিন প্রবেশ করানো হয়নি।

অভিযোগ নিয়ে হাসপাতালের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিন বলেন, অনেক লোকের চাপ ছিল। অনিচ্ছাকৃতভাবে ঘটনাটি ঘটেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শামিম বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্খিত। আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। দোষি সাব্যস্থ হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. শামিম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লকডাউন বাড়ানোর চিন্তা নেই সরকারের

নিউজ ২৪লাইনঃ চলমান কঠোর লকডাউন ৫ আগস্টের পর আর না বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এর পরিবর্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে কঠোর নজরদারি করা হবে এবং গ্রামে গ্রামে গণটিকা কর্মসূচি চালানো হবে। সরকারের সংশ্নিষ্ট একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

কঠোর লকডাউনের কারণে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব এবং সাধারণ মানুষের জীবিকার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সরকার চলমান কঠোর লকডাউন আপাতত না বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে টিকা সরকারকে ভরসা জোগাচ্ছে। বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা সরবরাহের নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে সামনের দিনগুলোতে গণটিকা কর্মসূচি চালাতে আর সমস্যা হবে না বলে আশা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে আগামী বুধবারের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে ওই সূত্র জানায়। তবে কভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটি চলমান কঠোর লকডাউন আরও বাড়ানোর পক্ষে মতামত দিয়েছে। কারণ সংক্রমণ ও মৃত্যু এখন পর্যন্ত কমেনি। একই সঙ্গে ব্যাপক ভিত্তিতে গণটিকা কার্যক্রম চালানোরও পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো অতিরিক্ত জনসংখ্যার দেশে লকডাউন দিয়ে তা বাস্তবায়ন করা খুব মুশকিল। দেখলেন তো মাঠে আর্মি নামিয়েও কাজ হচ্ছে না। মানুষ বাইরে আসছেই। কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না।’
আরেক কর্মকর্তা বললেন, ‘আমাদের মতো অর্থনীতির দেশে দিনের পর দিন এভাবে সব বন্ধ রেখে চলা সম্ভব নয়। অর্থনীতিকে ঝুঁকিতে ফেলে দেয়ার মতো চ্যালেঞ্জ নেয়ার ক্ষমতা এখনও আমাদের নেই। এটা বাস্তবতা। মানুষকে কাজের সুযোগ দিতে হবে, আয়ের সুযোগ দিতে হবে। নতুবা পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারে।’

নিম্নবিত্ত কিছু ত্রাণ পেয়ে কোনো রকম চললেও মধ্যবিত্তের অবস্থা নিয়ে সরকার বিচলিত বলেও জানান এই দুই কর্মকর্তা।

অর্থনীতি যে সরকারের মাথাব্যথার বড় কারণ, তার প্রমাণ মিলেছে চলমান লকডাউনের মধ্যে রপ্তানিমুখী শিল্প খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে। ফলে ঢাকামুখী হয়েছেন শ্রমিকরা। তাদের ভোগান্তি কমাতে খুলে দেয়া হয়েছে গণপরিবহন ও নৌযান। তবে স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, এতে করোনা সংক্রমণ আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রোববার বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই কঠোর বিধিনিষেধ চলমান থাকবে। ঊর্ধ্বমুখী করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ অবশ্যই থাকতে হবে।’

নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিলেন মিয়ানমারের সামরিক প্রধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক- নবগঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন মিয়ানমারের সামরিক শাসক জেনারেল মিন অং হ্লাইং। পাশাপাশি দেশটিতে জরুরি অবস্থার সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম রোববার এসব তথ্য জানায় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে হ্লাইং জানান, ২০২৩ সালে দেশে নির্বাচন হবে।

দেশজুড়ে স্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে বলে জানান জেনারেল হ্লাইং। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের অঙ্গীকার করছি আমি।’

ভাষণে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার জানিয়ে হ্লাইং বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টের মধ্যে দেশে জরুরি অবস্থা তোলা হবে।’

তখন জেনারেলরা বলেন, ২০০৮ সালের সামরিক সংবিধানের অধীনে এই উদ্যোগের অনুমতি দেওয়া আছে। সামরিক বাহিনী দাবি করে, গত বছরের জাতীয় নির্বাচনে সু চির দল ভোটে জালিয়াতির মাধ্যমে জয় অর্জন করেছে। তবে, এই অভিযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ দেয়নি তারা।
সামরিক সরকার গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে এবং নির্বাচনের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য একটি নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করে।

আ.লীগের নাম ভাঙানো সেই ‘দর্জি মনির’ আটক

নিউজ ২৪লাইনঃ ঢাকা- রাজধানী থেকে মনির খান ওরফে দরজি মনির নামের আরেক কথিত আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার রাতে তাঁকে আটক করা হয়।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।

মনির খান বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ নামের একটি ভুঁইফোড় সংগঠন গড়ে তোলেন। ফটোশপে কারসাজি করে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ছবি কারসাজি করেছেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, ভুঁইফোড় সংগঠন খুলে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে সদস্য সংগ্রহের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে মনিরের বিরুদ্ধে। তিনি দীর্ঘদিন এ ধরনের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাজনীতি করে আসলেও সবার কাছে দর্জি মনির নামে পরিচিত।

এছাড়া আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে গিয়ে উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে তা ফেসবুকে আপলোড দিতেন মনির। ‌এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক থাকার বিষয়টি সবাইকে জানাতেন।

এদিকে ডিবি সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে ভুঁইফোড় সংগঠন খুলে সদস্য সংগ্রহের নামে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মূলত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ক্ষুধার্ত মানুষকে এভাবে লকডাউনে রাখা যায় না প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ’

আন্তজার্তিক ডেক্সঃ
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সিন্ধ প্রদেশের সরকার আরোপিত করাচিসহ সিন্ধের দক্ষিণ অংশে লকডাউনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ‘ক্ষুধার্ত মানুষকে এভাবে লকডাউনে রাখা যায় না’।

টেলিফোনে সরাসরি প্রশ্নোত্তরের এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেছেন। করোনার পূর্ববর্তী তিনটি ঢেউয়ের সময় সরকারকে সহযোগিতা করায় দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে চলমান চতুর্থ ঢেউয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

এরপর সিন্ধ প্রদেশের লকডাউন প্রসঙ্গ তুলে বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের কথা বিবেচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ায় শনিবার থেকে সিন্ধ প্রদেশে আংশিক লকডাউন বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।

ইমরান খানের প্রশ্ন, ‘সিন্ধ সরকার লকডাউন চায়। এটা সঠিক সিদ্ধান্ত এবং এতে ভাইরাসের বিস্তার কমবে। কিন্তু লকডাউনে কি অর্থনীতি বাঁচবে? এরমধ্যে রয়েছে ক্ষুধা। দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষ লকডাউন চলাকালে কীভাবে জীবন নির্বাহ করবে?’

আচমকা লকডাউন আরোপে ‘ভারতে বিপর্যয়’ তৈরির উদাহরণ টেনে সিন্ধ সরকারের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আগে আপনাদের কাছে এসব প্রশ্নের উত্তর থাকতে হবে। এসব প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত কখনও লকডাউন করতে পারেন না।

পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (ভারতীয়) সরকার জনসাধারণের জন্য কিছু না ভেবেই একবারে লকডাউন জারি করেছে। তারা কেবল আমাদের মতো উচ্চবিত্ত এবং অভিজাতদের কথা ভেবেছিল। কিন্তু আমরা তো এভাবে ভাবতে পারি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সিন্ধ সরকারের জানা উচিত যে, যখন আপনি লকডাউন চাপিয়ে দিচ্ছেন তখন আপনি অনেক মানুষকে ক্ষুধার মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। যদি তাদের খেতে দেওয়ার সামর্থ্য না থাকে, তবে আপনি ক্ষুধার্ত মানুষকে লকডাউনের অধীনে রাখতে পারবেন না।’

গত শুক্রবার সিন্ধ প্রদেশে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি-শাহ বলেছেন, হঠাৎ কোভিড আক্রান্তের সংখ্যায় উল্লম্ফন দেখা দেওয়ায় প্রাদেশিক রাজধানী শহর করাচির হাসপাতালগুলো রোগীতে পূর্ণ হয়ে গেছে।

চলতি মাসে ইদুল আজহাসহ ব্যাপক হারে জনসমাগম হয় এমন নানা উৎসব-আয়োজনের কারণে বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে শুধু করাচি কিংবা সিন্ধ প্রদেশ নয়, বরং পাকিস্তানজুড়ে করোনায় আক্রান্ত-মত্যু বাড়ছে।

সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি-শাহ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি জানি লকডাউন সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করলে মানুষজন খুশি হবে না। কিন্তু করোনার এমন ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে হলে আমাদের লকডাউন জারি করা ছাড়াও কোনও উপায় নেই।’

এক শহর থেকে আরেক শহরে বাসসহ সব ধরনের গণপরিহন চলাচল বন্ধ থাকবে। ব্যক্তিগত গাড়ি ও ট্যাক্সি চলতে পারবে কিন্তু সর্বোচ্চ দু’জন যাত্রী নিয়ে। হোটেল খোলা থাকবে তবে বসে খাওয়া যাবে না। খাবার ডেলিভারি নিতে হবে।

1 2