শরীয়তপুরে ২৬জন সাংবাদিককে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিউজ ২৪লাইনঃ
শরীয়তপুরে করোনাকালীন(দ্বিতীয় পর্যায়) ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের জন‍্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করা হয়।

বৃহস্পতিবার ১২ আগষ্ট জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ২৬ জন সাংবাদিকদের জন‍্য প্রধানমন্ত্রীর এ বিশেষ আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করেন জেলা প্রশাসক মো: পারভেজ হাসান।

চেক প্রদানকালে জেলা প্রশাসক বলেন, করোনাকালীন সময় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের ন‍্যায় সাংবাদিকরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন‍্য সারা বাংলাদেশের ন‍্যায় শরীয়তপুরের ক্ষতিগ্রস্ত ২৬ জন সাংবাদিককে আজ আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করা হয়। এছাড়া তিনি শোকাবহ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের কথা স্মরণ করেন।

এ সময় অন‍্যান‍্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) সাখাওয়াত হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি অনল কুমার দেসহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ প্রমূখ।

শত চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারলেন না” অবশেষে দরিদ্র কাঠমিস্ত্রী মহাদেব দাস চলে গেলেন না ফেরার দেশে” একজন মানবিক পুলিশ অফিসার ” শরীফ আহমেদ অফিসার ইনচার্জ ডামুড্যা থানা

নিউজ ২৪লাইন ঃ

দরিদ্র কাঠমিস্ত্রী মহাদেব দাস অবশেষে চলে গেলেন পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে। তাহার দুটি কিডনি ৯৫% নষ্ট হয়ে গেছে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেনা।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশিত হলে অফিসার ইনচার্জ ডামুড্যা থানা জনাব, শরীফ আহমেদ ।

ধানকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক পিন্টু, কনেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান বাচ্চু সহ থানার ইন্সপেক্টর( তদন্ত) প্রবীন কুমার চক্রবর্তী, এসআই /সজল পাল কে নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নগদ টাকা ও মানবিক সহায়তা নিয়ে তাহার পাশে দাড়িয়েছিল।

তাহাকে সাধ্যমত চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা করেও সেই মহাদেব দাস কে বাঁচানো গেল না। তাহার মৃত্যুর সংবাদ শুনে তাহার পরিবারের পাশে আবারও মানবিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়ালেন ডামুড্যা থানার ওসি জনাব, শরীফ আহমেদ সাহেব। এই শোকার্ত পরিবারকে সান্ত্বনা ও সহযোগিতা করতে ওসি সাহেব এগিয়ে আসলে এই সময় এক আবেগময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

মহাদেবের বৃদ্ধ মাতা থানার ওসি সাহেব কে জড়িয়ে ধরে আবেগ আপ্লূত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মহাদেব এর ছোট ছোট দুটি মেয়ে এবং তার স্ত্রী ও কান্না কাটি করে তাদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন। দরিদ্র কাঠমিস্ত্রী মহাদেব ছিল এই পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি। তাহার অকাল প্রয়ানে চরম দরিদ্র অসহায় কাঠমিস্ত্রি পরিবারটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। সমাজের বিত্তশালী মানুষদের কে এই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি অনুরোধ করেন।

শরীয়তপুর নড়িয়ায় ব্যবসায়ীর উপর হামলা ও দোকানপাট ভাঙচুর

নুরুজ্জামান শেখ, শরীয়তপুর:
নিউজ ২৪ লাইনঃ
শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার ভূমখাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম নলতা গ্রামের অলিখিত নলতা বাজার কমিটির ইন্দনে ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পূর্ব নলতা গ্রামের দোকান ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার হাওলাদার(৩৮)কে কতিপয় চিহ্নিত কয়েকজন বখাটে দাঁড়া সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে এবং দোকান ঘর ভাঙচুর করেছে এমন অভিযোগ উঠেছে কতিপয় কয়েকজন চিহ্নিত বখাটেদের বিরুদ্ধে।

ওই অলিখিত নলতা বাজার কমিটির সভাপতি শামসুদ্দিন আহমদ চৌকিদার, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বাবলু এবং ওই বাজার কমিটির সভাপতির মেয়ের জামাই এবং যুবলীগ নেতা নাসির সরদার এদের ইন্দনে এবং তাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত কতিপয় কয়েকজন চিহ্নিত বখাটে নাঈম বেপারী পিতা রহিম বেপারী, তোতা সরদার পিতা সাত্তার সরদার, শাহ আলম দেওয়ান পিতা দিল দেওয়ান ও সোহেল মাঝি, এদের দ্বারা দোকানঘর ভাঙচুর ও সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে এমনটাই অভিযোগ করলেন গণমাধ্যম ও নড়িয়া পুলিশ প্রশাসনকে ওই ভুক্তভোগী আব্দুস সাত্তার হাওলাদার ও তার স্ত্রী।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদের দ্বারা সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে মানসিক প্রতিবন্ধী আলামিন (২০)।

গত ১১আগস্ট ২০২১ সকাল ১১ টার দিকে নলতা বাজার কমিটির ইন্দনে চিহ্নিত কয়েকজন বখাটে দেশিও ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ৫নং ওয়ার্ডের পূর্ব নলতা গ্রামের গরিব আব্দুস সাত্তার হাওলাদার এর দোকান ভাঙচুর করে এবং ভাঙচুর শব্দ শুনে আব্দুস সাত্তার এগিয়ে আসলে শাহ আলম দেওয়ান হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং তার সঙ্গীয়রা বাঁশ ও স্টিলের পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে এবং আবদুস সাত্তারের চিৎকারের শব্দ শোনে তার স্ত্রী বাঁচাতে আসলে তাকেও মারধর করে।

স্থানীয় কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সেতারা বেগম, নাসিমা বেগম, আল-আমিন ও সালাম গণমাধ্যমকে বলেন অসুস্থ আব্দুস সাত্তার দীর্ঘদিন ঢাকায় ছিলেন করোনাকালীন সময়ে দেশে এসে কোন কাজ কর্ম না পেয়ে তার বাড়ির ঘাটায় টিন দিয়ে একটি দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করেন। কিন্তু নলতা বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং নেতা নাসির সরদার এরা এখানে দোকান করতে দেবেনা এবং ছাত্তারকে বলেন আমাদের নলতা বাজারে এসে দোকান করো। তাদের কথা না শোনায় তাদের ইন্দনে আব্দুস সাত্তারকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে এবং দোকানঘর ভাঙচুর করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে রেজিস্ট্রেশন বিহীন নলতা বাজার কমিটির সদস্যরা নলতা বাজার কে জমজমাট ও প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে স্হনীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদেরকে নিয়ে আলোচনায় বসে কয়েকবার।ওই আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় ওই এলাকার আশেপাশে গ্রাম মহল্লায় কেউ দোকান দিয়ে ব্যবসা করতে পারবে না, দোকান করতে হবে এই নলতা বাজারে এইভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়। ওই বাজার কমিটির সদস্যদের নিয়ন্ত্রিত লোকজনের মাধ্যমে ওই নলতা বাজারে দোকান করতে বাধ্য করেন এমন অভিযোগ উঠেছে ওই কমিটির বিরুদ্ধে।

নলতা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বাবলু গণমাধ্যমকে বলেন আমরা এই নলতা বাজার কে জমজমাট ও প্রতিষ্ঠা করার জন্য কয়েকবার আলোচনায় বসে ছিলাম। পাড়াগ্রাম মহল্লায় দোকান গড়ে উঠলে এই নলতা বাজার কে জমজমাট প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। আমরা আলোচনায় এটাও ঘোষণা করেছি এই বাজারে কেউ দোকান করতে চাইলে তাকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। তিনি বলেন কিছুক্ষণ আগে শুনেছি পূর্ব নলতা ৫ নং ওয়ার্ডের আব্দুস সাত্তার হাওলাদার কে কয়েকজন পোলাপান হামলা করে এবং দোকানপাট ভাঙচুর করছে।কে বা কারা করেছে তা আমি জানিনা তবে আমাদের কেউ যদি করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিব।

ভুক্তভোগী আব্দুস সাত্তার গণমাধ্যমকে বলেন আমার মাঝায় ব্যাথা আমি ভারি কাজ করতে পারিনা ,তাই আমি আমার বাড়িড় ঘাটায় ছোট্ট একটি দোকান করে কোন রকম দিন পার করছি। পশ্চিম নলতা বাজার কমিটির সভাপতি শামসুদ্দিন আহমেদ চৌকিদার, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বাবলু এবং যুবলীগ নেতা নাসির সরদার সহ কমিটির সদস্যরা আমাকে নলতা বাজারে দোকান করার বাধ্য করতে চেষ্টা করেন। আমি তাদের কথা না শুনলে তারা তাদের লোকজন দিয়ে আমার দোকান ভাঙচুর করে। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে দেশীও ধারালো অস্ত্র লাঠিসোটা দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আমি আপনাদের মাধ্যমে সঠিক বিচার দাবি জানাচ্ছি।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি অবনী শংকর কর এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন আমি শুনেছি উভয় পক্ষে মারামারি করেছে। আব্দুস সাত্তার হাওলাদার একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে এসআই বাশারকে সঠিক তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি।ঘটনা যদি সত্য হয় অভিযোগের ভিত্তিতে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জামালপুরের মাদারগঞ্জ” সারিয়াকান্দি ফেরী’ উদ্বোধন করলেন উন্নয়নের জাদুকর” খ্যাত মির্জা আজম এমপি

নিউজ ২৪লাইনঃ

উন্নয়নের জাদুকর” খ্যাত মির্জা আজমের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফল ‘মাদারগঞ্জ- সারিয়াকান্দি ফেরী’ উদ্বোধন

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বগুড়ার সারিয়াকান্দি খেয়াঘাট থেকে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার জামথল পথে যমুনা নদীতে ফেরি সার্ভিস এর শুভ উদ্বোধন হলো আজ ।

বৃহস্পতিবার ( ১২ আগষ্ট) দুপুরে সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জামথল ফেরিঘাটে ফেরী সার্ভিসের শুভ উদ্বোধন করেন মাননীয় নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি ।

এস আগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মত বিনিময় সভায় সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাদারা মান্নান এমপি এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জননেতা জনাব আলহাজ্ব মির্জা আজম এমপি,

বিআইডব্লিউটিসি এর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ তাজুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিসি এর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক,বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবুর রহমান মজনু, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু।

আরও উপস্থিত ছিলেন জামালপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, জিএস মিজানুর রহমান, জেলা লীগের জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমিন চাঁন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সাবিনা ইয়াসমিন প্রমূখ।

শোকাবহ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস- মোঃ রফিকুল ইসলাম (কোতয়াল)

নিউজ ২৪লাইনঃ শরীয়তপুর পৌরসভার সাবেক সফল মেয়র,বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি, লক্ষ জনতার নয়নের মনি, কর্মী বান্ধব, দুঃখি মানুষের আশ্রয় স্থল, জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম (কোতয়াল) বলেন- শোকাবহ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ ও বাঙালির সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী শোকের দিন। এই দিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শাহাদাৎ বার্ষিকী।

১৯৭৫ সালের এই দিনের কালরাত্রিতে ঘটেছিল ইতিহাসের সেই কলঙ্কজনক ঘটনা। কিছু উচ্ছৃঙ্খল ও বিপথগামী সৈনিকের হাতে স্ব-পরিবারে প্রাণ দিয়েছিলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব পরিবারে হত‍্যার মধ‍্য দিয়ে বাংলদেশ একটি অকার্যকর রাস্ট্রে পরিনত করার ষড়যন্ত্র করেছিল খুনিচক্র। তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি। আজকে সত‍্য প্রমানিত হলো যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কে হত‍্যার পর খুনিদের স্বপ্ন পুরন হয় নাই। জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত‍্যু মুজিব অনেক বেশী শক্তিশালী। বঙ্গবন্ধু হত‍্যার ৪৬বছর পর তার আদরের দুলালী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সোনার বাংলা বির্নিমানে এগিয়ে যাচ্ছে। আজ বঙ্গবন্ধু হত‍্যার বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন‍্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে আজ বাংলাদেশ। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ২০২১ সালে মধ‍্য আয়ের দেশে পরিনত হয়েছে বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরন হবে।

আর তিনি শাহাদাৎ বার্ষিকী সম্পর্কে বলেন যে- রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালিত হচ্ছে জাতির জনকের শাহাদাৎ বার্ষিকী। এই দিনে বাঙালি জাতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করে তাঁর শ্রেষ্ঠ সন্তানকে।

তিনি আর বলেন, ১৫ আগস্ট ২০২১ ইং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

আমি বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছার এবং পরিবারের সকল সদস্যেকে যারা শাহাদাৎ বরণ করেছে তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা’র দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন যে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টেই আওয়ামীলীগের মহাসমাবেশে ছোড়া হয় গ্রেনেড হামলা। এই গ্রেনেড হামলায় আওয়ামীলীগের নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং অন্তত ৫০০ নেতা কর্মী আহত হয় এবং অনেকে পঙ্গু পর্যন্ত হয়ে যায়।

আর এই আগস্ট মাসেই ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলার মত মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে, যা আমাদের আজও কাদাঁয়। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্টে আধা ঘন্টার ব্যবধানে সারা দেশের ৬৩টি জেলায় ৩০০টি স্থানে ৫০০ টিরও বেশী সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

সবশেষে তিনি বলেছেন সকলকে করোনাকালীন অবস্থাকে মোকাবেলা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। আর সকলকে করোনা ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন নিশ্চত করে টিকা নেওয়ার জন্য সকলকে আহ্ববান জানান।

করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে আবারও লকডাউন

নিউজ ২৪লাইন, ঢাকা- করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অবনতি হলে আবারও দেশজুড়ে বিধিনিষেধ বা লকডাউন আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন

তিনি বলেন, জীবন-জীবিকার তাগিদে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে আবারও বিধিনিষেধ দেওয়া হবে।

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে সরকারের পরবর্তী কৌশল কী হবে, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুটি কৌশলই আমরা অবলম্বন করব। একটা হলো বিধিনিষেধ বা লকডাউন দেয়া। আরেকটি হচ্ছে ছেড়ে দেয়া। কিন্তু সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।’

তাহলে পরিস্থিতি খারাপ হলে আবার লকডাউন দেবেন, এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, পৃথিবীর যে কোনো দেশে বাড়লেই, যেমন অস্ট্রেলিয়াতে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে, কারফিউ দেয়া হয়েছে। আমেরিকাতে দেয়া হয়েছে। দেয়া হচ্ছে কেন? কারণ এর কোনো বিকল্প নেই।’

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টা সবাইকে উপলদ্ধি করতে হবে। অর্থনৈতিক বিপর্যয় পুরো বিশ্বেই। আর লকডাউন একমাত্র কোনো সমাধান নয়। একটানা ২৯ দিন, তারপর আরও কিছুদিন ছিল। সরকার চায় সবার সহযোগিতার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে।’

আজ শুভ জন্মদিন সিকদার গ্রুপের চেয়ারম্যান” শরীয়তপুর জেলার অহংকার “জয়নুল হক সিকদার এর

আমি” এস এম আবুল কালাম আজাদ,”
নিউজ ২৪লাইনঃ
বিত্তশালী পিতার সাহায্য ছাড়াই কঠোর পরিশ্রমে এক প্রজন্মেই সফলতা পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নুল হক সিকদার। ধনীর সন্তান হলেও জীবনের প্রয়োজনে পাকিস্তান ইপিআরে চাকরির পাশাপাশি নিজের ট্রাকে ড্রাইভারিও করেছেন। পরিবহন ব্যবসা থেকেই শুরু, যা পরবর্তীকালে ব্যাংক, বীমা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, এভিয়েশন, গার্মেন্টসসহ নানা ধরনের ব্যবসায় সফল ছিলেন জয়নুল হক সিকদার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর ও দেশ-বিদেশে সফল এই ব্যবসায়ী নারী শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি শিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে অবহেলিত এক জনপদকে আলোকিত করেছেন। আজন্ম কাজপাগল এই মানুষটি ৯০ বছর বয়সেও মাসের ৩০ দিনই অফিস করেছেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ৯১ বছর বয়সে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষানুরাগী ও বিশিষ্ট শিল্পপতি জয়নুল হক সিকদার মারা যান।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী ও সিকদার গ্রুপের চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদারসহ তার চার ভাইয়ের জন্ম আসামে। জয়নুল হকের জন্ম ১২ আগস্ট ১৯৩০ সালে। শৈশবে ভারতের বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করলেও বরিশাল থেকে ১৯৪৯ সালে তিনি ম্যাট্রিক পাস করেন। ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ভেঙে দুটি আলাদা রাষ্ট্র তৈরি হওয়ায় ঢাকায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য জয়নুল হক সিকদার পিতার কাছে পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় জমি ক্রয় করে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ৫০ হাজার টাকা চেয়েছিলেন। তার পিতা এ প্রস্তাবে সম্মত না হওয়ায় তিনি ১৯৪৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আসামের বাড়ি থেকে পালিয়ে আবারও ঢাকায় চলে আসেন। এরপর থেকেই চলতে থাকে জয়নুল হকের জীবন সংগ্রাম।

আসামের বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় এসে একজন দক্ষ ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে আধাসামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়ে চাকরির পাশাপাশি রাতে নিজে ট্রাকের ড্রাইভারের কাজ করতে দ্বিধা করেননি। শুরুতে ট্রাক ব্যবসায় সমস্যার মুখে পড়লেও পরবর্তীকালে ঠিকঠাক চলতে থাকেন। ভাড়ার চাহিদাও বাড়তে থাকে। মাত্র চার মাসের ব্যবধানে আরও তিনটি ট্রাক ক্রয় করেন তিনি। ১৯৫৮ সালের অক্টোবরে আইয়ুব খানের জারি করা মার্শাল ল’র আগে প্রভিনশিয়াল ইঞ্জিনিয়ার্স কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে চারটি ট্রাক দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। কঠিন অধ্যবসায়, অবিরাম সাধনা, দৃঢ় প্রত্যয় দ্বারা জয়নুল হক সিকদার তার বালক বয়সের চিন্তা ‘আবাসন ব্যবসা’র সফলতা বাস্তবে রূপ দেন। নিজ প্রচেষ্টায় সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি ছিলেন জয়নুল হক সিকদার। আজীবনের যোদ্ধা জয়নুল হক সিকদার প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী, দূরদর্শী, বিচক্ষণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্ষিপ্রগতিসম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন। দেশের অর্থনীতিতেই তার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাননি। বিদেশেও বিনিয়োগ সম্প্রসারিত করেছেন। সফলতা কুড়িয়েছেন।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের পাশাপাশি শিল্পেও সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে গেছেন জয়নুল হক সিকদার। ইপিআরে চাকরিকালীন সময়ে একটি ট্রাক কেনার মাধ্যমে যে ব্যবসার সূত্রপাত সেটিই গত ছয় দশকে রূপান্তরিত হয় একটি বৃহৎ শিল্প গ্রুপে। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় বিনিয়োগ রয়েছে সিকদার গ্রুপের। দেশের গন্ডি পেরিয়ে সিকদার পরিবারের ব্যবসা সম্প্রসারিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের অন্তত এক ডজন দেশে।

চিকিৎসা সেবায় নারীদের এগিয়ে নিতে দেশের প্রথম বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল করেন তিনি। ১৯৯২ সালে জন্ম নেয় জেড এইচ সিকদার মহিলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। বর্তমানে মোট ১০ লাখ বর্গফুট আয়তনের ভবনের মধ্যে এক লাখ বর্গফুট কলেজের জন্য এবং ৯ লাখ বর্গফুট হাসপাতালের জন্য নির্মিত। ৫০০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে গরিব রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৫০টি ফ্রি বেড রয়েছে। এই হাসপাতালটির গুলশান শাখা উদ্বোধন হয় ২০০০ সালে, যেখানে ২০০ শয্যা রয়েছে। হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসা তিনিই প্রবর্তন করেছিলেন গুলশান ও রায়েরবাজারের জেড এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও কার্ডিয়াক হাসপাতাল করে। ভারতের প্রখ্যাত হার্টের সার্জন ও নার্স এনে স্বল্পমূল্যে দেশে হৃদরোগের বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করেন।

জয়নুল হক সিকদার তার নিজ জেলা শরীয়তপুরে স্কুল-কলেজ, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতালসহ বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে তুলেছেন। নিজ খরচে পাকা রাস্তাঘাট বানিয়েছেন। প্রান্তিক অঞ্চলে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের মধুপুরে মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ গড়ে তুলেছেন তিনি। একই এলাকায় জেড এইচ সিকদার ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করেছেন। গ্রামের মানুষের আর্থিক সেবা নিশ্চিত করতে শরীয়তপুরে ন্যাশনাল ব্যাংকের ১০টি শাখা স্থাপন করেছেন। এমনকি সেখানে তৈরি হচ্ছে হেলিকপ্টার ট্রেনিং স্কুল ও বিমানবন্দর। এ অঞ্চলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে অবহেলিত এক জনপদকে আলোকিত করেছেন।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বীরের মতো লড়াই করেছেন বঙ্গবন্ধুর সহচর জয়নুল হক সিকদার। প্রায় তিন হাজার মুক্তিযোদ্ধার একটি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। গড়ে তুলেছিলেন আক্কাস বাহিনী। স্বাধীনতার পর সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সবাই যখন নিশ্চুপ ছিলেন, তখন একমাত্র জয়নুল হক সিকদার ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু পরিবারের কুলখানি করেন।

জয়নুল হক সিকদার সপরিবারে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে থিতু হয়েছিলেন আশির দশকের শুরুতে। যদিও আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে যাতায়াত ছিল তার। জয়নুল হক সিকদার ও তার স্ত্রী মনোয়ারা সিকদার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। পাশাপাশি এ দম্পতির আট সন্তানের প্রায় সবার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব রয়েছে। এ দম্পতির তিন মেয়ে হলেন নাসিম সিকদার, পারভীন হক সিকদার, লিসা ফাতেমা হক সিকদার। এর মধ্যে পারভীন হক সিকদার বাংলাদেশে বসবাস করেন। বাকি দুই কন্যাই স্থায়ীভাবে বসবাস করেন যুক্তরাষ্ট্রে। জয়নুল হক সিকদারের পাঁচ ছেলের মধ্যে সবার বড় হলেন মমতাজুল হক সিকদার। অন্য ছেলেরা হলেন নিক হক সিকদার, দিপু হক সিকদার, রিক হক সিকদার ও রন হক সিকদার। তবে দেশের বাইরে অবস্থান করলেও এ দম্পতির সব সন্তানই সিকদার গ্রুপের পরিচালক। পাশাপাশি জয়নুল হক সিকদারের নাতি-নাতনিদের মধ্যে মনিকা সিকদার, মেন্ডি সিকদার, জেফ্রী সিকদার, জোনাস সিকদার, সিন হক সিকদার, জন হক সিকদারও শিল্প গ্রুপটির পরিচালক হিসেবে রয়েছেন।

1 2