এসপি মোক্তার হোসেনে বিরুদ্ধে তারই সহকর্মী এক নারী ইন্সপেক্টর ‘বিয়ের প্রলোভনে ফুসলিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ

নিউজ ২৪লাইনঃ
পিবিআইতে কর্মরত পুলিশ সুপার (এসপি) মোক্তার হোসেনে বিরুদ্ধে তারই সহকর্মী এক নারী ইন্সপেক্টর ‘বিয়ের প্রলোভনে ফুসলিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ’ এনে মামলা দায়ের করেছেন। যে ঘটনা বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। যা নিয়ে নানান গুঞ্জন চলছে এবং মানুষের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে। অভিযোগ করা হচ্ছে- দেশ-বিদেশে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওই নারী কর্মকর্তাকে ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৮ দিন ধর্ষণ করেছেন এসপি মোক্তার। এমন পরিস্থিতিতে ওই নারী কর্মকর্তার দায়ের করা অভিযোগের বর্ণনা তুলে ধরা হলো।

আদালতের দাখিল করা আবেদনে ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তা এসপি’র বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উল্লেখ করেন-

দারপুরে ক্যাম্পে:

ওই নারী ইন্সপেক্টরের অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি দায়িত্বরত অবস্থায় সুদানের দারপুর ক্যাম্পে ভিন্ন তারিখে ৩ দিন ধর্ষণের শিকার হওয়ার কথা বলেছেন। তার বর্ণনা অনুযায়ী- সুদানের নর্থ দারপুরে এসসিসি-৫, সুপার ক্যাম্পে তার বাসায় ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর আনুমানিক দুপুর ৩ টায় এবং এর দুই দিনের মাথায় ২২ ডিসেম্বর দুপুর ১ টায় তাকে ধর্ষণের ঘটনা।

এর কিছুদিন পর ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি মৌখিকভাবে বিয়ে করে পরবর্তীতে নিকাহ রেজিস্ট্রি করার প্রলোভন দিয়ে আবারও ধর্ষণ করা হয়।

সুদানের খার্তুম হোটেলে:

অভিযোগ অনুযায়ী- সুদানের খার্তুম হোটেলে টানা ৫ দিন তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন- ২০২০ সালের ২৬ থেকে ৩০ জুন টানা ৫ দিন সুদানের খার্তুম হোটেল শামলোতে তাকে ধর্ষণ করা হয়।

উত্তরার হোটেল ডি মেরিডিয়ানে:

নারী কর্মকর্তার অভিযোগ অনুযায়ী- উত্তরার হোটেল ডি মেরিডিয়ানে বিভিন্ন তারিখে ৫ দিন ধর্ষণের শিকার হন তিনি। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন-

২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১১ টা থেকে পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫ টা পর্যন্ত হোটেল ডি মেরিডিয়ান লিমিটেডের ২০৬ নম্বর কক্ষে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ওই বছরেরই ১০ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত একই হোটেলের ৩০৬ নং কক্ষে আবারও ধর্ষণের শিকার হন।

মিরপুরের গ্র্যান্ড প্রিন্স হোটেলে:

অভিযোগ অনুযায়ী মিরপুরের গ্র্যান্ড প্রিন্স হোটেলে নিয়েও তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর মিরপুর-১ এর গ্র্যান্ড প্রিন্স হোটেল লিমিটেডের ৭০৫ নম্বর কক্ষে তাকে ধর্ষণ করা হয়।

শান্তিনগরের হোটেল হোয়াইট হাউজে:

রাজধানীর শান্তিনগরের হোটেল হোয়াইট হাউজেও ওই নারী কর্মকর্তাকে টানা ৪ দিন ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী- ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শান্তিনগরের হোটেল হোয়াইট হাউজের ২০৯ নম্বর কক্ষে তাকে ধর্ষণ করা হয়।

কাবিনের দাবিতে গেলে মধুমতি অফিসার্স কোয়ার্টার্সে হুমকি:

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ১২ এপ্রিল আসামীর বাসা এইচ-০৯, রাজারবাগ মধুমতি অফিসার্স কোয়ার্টার্সে বাদিনীকে হুমকি-ধমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়।

আদালতে দাখিল করা ওই নারী কর্মকর্তার বিস্তারিত অভিযোগে বলা হয়-

আসামী মোক্তার হোসেন বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ সুপার জাতিসংঘের শান্তিমিশনে বাংলাদেশ পুলিশের কন্টিনজেন্ট এর কমান্ডার হিসাবে ২০১৯ সালের মে মাসে সুদানে নিযুক্ত হন। বাদিনী সুদানে উক্ত মিশনের পূর্ববর্তী সদস্য হিসাবে কর্মরত থাকা মিশন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় আসামী বিভিন্ন অজুহাতে বাদিনীর সহিত সহযোগিতা নেওয়ার নাম করে যোগাযোগ করতেন।

বাদিনী সরল বিশ্বাসে নিজের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সার্বিক দাপ্তরিক সহযোগিতা প্রদান করতেন। আসামী বাদিনীকে তার জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে বললে বাদিনী লজিস্টিক অফিসার হিসেবে আসামীকে একটি বাসার ব্যবস্থা করে দেন।

খাবার খাওয়ার সুযোগ:

একপর্যায়ে আসামী নিজে রান্না করে খেতে পারেন না, তার খাওয়া-দাওয়ার খুবই কষ্ট হয় এবং রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিলেন এমন কথা বাদিনীকে জানিয়ে বাদিনীর সাথেই খাবার খাওয়ার সুযোগ দিতে অনুরোধ করেন। বিদেশের মাটিতে নিজের দেশের একজন মানুষ এবং নিজের একজন বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে আসামীকে নিজ বাসাতেই খাওয়াতে রাজি হন বাদিনী।

এভাবেই আসামী নিয়মিত বাদিনীর বাসায় খাওয়া দাওয়া করতেন। এভাবে কিছুদিন যেতে না যেতেই আসামী বাদিনীকে বিভিন্ন ব্যক্তিগত তার নিজ স্ত্রীর সাথে পারিবারিক কলহের বিষয়ে প্রয়োজনাতিরিক্ত কথোপকথন করতে উদ্যত হন। বাদিনী আসামীকে বারবার বুঝাইতে চাইতেন যে- বাদিনী আসামীর কাছ থেকে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা আশা করেন না। এবং বাদিনী আসামীকে বিভিন্ন ইংগিতে এটিও বুঝাতে চান যে- বাদিনীর স্বামী আসামীর বাদিনীর বাসায় আসা-যাওয়া, খাওয়া ও অপ্রয়োজনীয় কথা পছন্দ করেন না। তবুও আসামী বাদিনীর সাথে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা চালাতে থাকতেন।

সেদিন ক্যাম্পে যে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছিলো:

এক পর্যায়ে ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে মধ্যাহ্নভোজ সেরে আসামী বাদিনীর বাসা হতে বেরিয়ে গেলে বাদিনী বিশ্রাম নিতে থাকেন। এর ১ ঘণ্টা পর আসামী বাদিনীর দরজা নক করিলে ঘুমের ঘোরে বাদিনী দরজা খুললে আসামী বাদিনীর বাসায় প্রবেশ করে সোফায় বসে বাদিনীকে বাদিনীর ব্যবহৃত গাড়ির চাবিটি দিতে বলেন।

ওই সময়ে বাদিনী ইউনিফরমের প্যান্টের পকেট থেকে চাবি বের করতে গেলে আসামী বাদিনীকে পেছন দিক দিয়া জাপটে ধরেন। এই সময় বাদিনী আত্মরক্ষার্থে ঘরময় ছুটে বেড়ানোর এক পর্যায়ে আলমারির চিপায় আশ্রয় নিলে আসামী বাদিনীকে জোর করে টেনেহিচড়ে বের করে এনে আলমারির পার্শ্ববর্তী টেবিলের উপর শোয়াইয়া বাদিনীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

ক্ষমা চাইতে গিয়ে আবারও ধর্ষণ:

এরপর এই ঘটনা কাউকে না জানাতে বাদিনীকে ভয়ভীতি দেখান ওই এসপি। পরবর্তীতে বাদিনীর সাথে দেখা করে আসামী বাদিনীর কাছে ক্ষমা চাইতে বারবার অনুরোধ জানিয়ে ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর বাদিনীর বাসায় গিয়ে আগের ঘটনার জন্য বাদিনীর কাছে ক্ষমা চান। এবং পরক্ষণেই আসামী আগের মতো আচরণ করে ওইদিনই দুপুর ১ টায় বাদিনীর বাসায় বাদিনীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। এই ঘটনার পর বাদিনী আসামীকে আর বাদিনীর বাসায় ঢুকতে দিতেন না। কিন্তু আসামী সবসময় বাদিনীর বাসার দরজা উচ্চশব্দে ধাক্কাধাক্কি করতেন এবং টেলিফোন করিয়া বিভিন্ন অজুহাত দেখাইয়া বাদিনীর সাথে দেখা করিতে চাইতেন।

দরজা ধাক্কাধাক্কির বিষয়টি টের পেয়েছিলেন অন্যরা:

বাদিনীকে জরুরি কথা বলার নাম করে ফোনে জোর করে বাদিনীর বাসায় আসামী প্রবেশ করিতে চাহিলে বাদিনী আসামীকে বাদিনীর বাসায় প্রবেশ করতে দিতে চাইতেন না। বাদিনী আসামীকে বারবার বলেন “…আপনি আমার দরজা ধাচ্ছেন কেন? আমি আপনাকে আমার বাসায় ঢুকতে দিব না। আপনি আমার বাসায় ঢুকে আমাকে জোর করে ধর্ষণ করেছেন।. .আমি আপনাকে নিষেধ করার পরও আপনি আমার বাসায় জোর করে ঢুকতে চাচ্ছেন কেন? দয়া করে আপনি চলে যান।”

ওই সময়ে দরজা ধাক্কাধাক্কির কারণ জানতে পাশের অন্যান্য বসবাসকারীরা বাদিনীকে জিজ্ঞাসা করতে বাদিনী মানসম্মানের ভয়ে কাউকে কিছুই জানাতে পারেননি।

ডিপার্টমেন্টাল হয়রানীর ভয়ভীতি:

আসামী বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে, বাদিনীকে অসহায় ও ভীতসন্ত্রস্ত করে এবং ডিপার্টমেন্টাল হয়রানীর ভয়ভীতি দেখিয়ে বাদিনীর বাসায় প্রবেশ করে বাদিনীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছেন। এবং ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি আসামী বাদিনীকে ফুসলিয়ে, ভুল বুঝিয়ে, প্রতারণা করার উদ্দেশ্য মুখে কালেমা পড়ে বাদিনীকে মৌখিকভাবে বিয়ের প্রতারণা করেন এবং বাদিনীকে আশ্বস্ত করেন- বাংলাদেশে ফিরে এই মৌখিক বিয়েকে রেজিস্ট্রি কাবিন করে গ্রহন করবেন বলে আবারও বাদিনীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।

একসঙ্গে দেশে ফিরে উত্তরার হোটেল ডি মেরিডিয়ানে:

পরবর্তীতে বাদিনীকে সঙ্গে করে ছুটি নিয়ে দেশে এনে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক রাত ১১ টা থেকে পরদিন ভোর ৫ টা পর্যন্ত উত্তরার হোটেল ডি মেরিডিয়ানের ২০৬ নম্বর কক্ষে বাদিনীকে আসামী বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর ছুটি শেষে সুদানে গিয়ে ওই বছরেরই ২৬ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সেদেশের খার্তূম হোটেল শামলোতে বাদিনীকে আসামী বিবাহের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করেন।

আবারও ছুটিতে ওই নারী ইন্সপেক্টরকে সঙ্গে করে দেশে ফেরেন এসপি। তিনি আগের মতোই ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত উত্তরার হোটেল ডি মেরিডিয়ান লিমিটেডের ৩০৬ নম্বর কক্ষে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করেন।

আসামীর দেওয়া পূর্ব আশ্বাসের ভিত্তিতে বাদিনী আসামীকে মৌখিক নিকাহ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার জন্য তাগিদ দিলে আসামী বাদিনীর সাথে অশোভন আচরণ শুরু করে এবং এক পর্যায়ে কৌশলে বাদিনীকে এড়িয়ে যেতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে বাদিনী চলতি বছরের ১২ এপ্রিল আসামীর রাজারবাগের মধুমতি এইচ-০৯ বাসায় উপস্থিত হয়। এর তিনি ওই এসপির দেওয়া আশ্বাস অনুযায়ী বিয়ের কাবিন সম্পন্ন করতে পুনরায় তাগিদ দেয়। এক পর্যায়ে আসামী কাবিন সম্পন্ন করতে অস্বীকৃতি জানায়। এবং আসামী, আসামীর স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে বাদিনীকে মারধর করেন এবং আসামী বাদিনীকে বিভিন্ন রকম হুমকি-ধমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এমন পরিস্থিতিতে বাদিনী অসহায় হয়ে পড়ে এবং বুঝতে পারে যে- আসামী বাদিনীর সরলতার সুযোগ নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় প্রথমে বাদিনীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে এবং পরবর্তীতে বাদিনীর সাথে প্রতারণা করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদিনীকে ধর্ষণ করেছে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, এই বিষয়ে বাদিনী গত ১০ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারণে মামলা গ্রহণ না করে আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেয়।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের দারায় নিজ চেম্বারে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ

নিউজ ২৪লাইনঃ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বালুয়া বাজারে শাহারুল ইসলাম নামের এক পল্লী চিকিৎসকের চেম্বারে চিকিৎসা নিতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে কালুয়া বাজারে ডাক্তারের চেম্বারে এ ঘটনায় ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের গন্ধববাড়ী গ্রামের এক গৃহবধূ অসুস্থ জনিত কারণে বালুয়া বাজারের পল্লীচিকিৎসক শাহারুলের চেম্বারে আসেন। এ সময় কেউ না থাকার সুযোগে পল্লী চিকিৎসক শাহারুল চেম্বারের দরজা বন্ধ করে ওই নারী রোগীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন।
ওই রোগী চেম্বার থেকে বের হয়ে বিষয়টি আশেপাশের লোকজনকে জানালে উপস্থিত লোকজন ওই চিকিৎসকের চেম্বার ঘিরে ধরে বিচার দাবী করে চিকিৎসককে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল চেম্বার থেকে শাহারুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) তাজুল ইসলাম রাতেই ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে পল্লী চিকিৎসক শাহারুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইলে মামলা দায়ের করেছেন।

মায়ের জানাজা পড়ালেন মন্ত্রী

নিউজ ২৪লাইনঃ- লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সকাল থেকে টানা বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারও মানুষের শ্রদ্ধায় সমাহিত হলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদের মা শামসুন্নাহার বেগম (৯০)। আর সেই মায়ের জানাজার ইমামতী করেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নিজেই।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বিকেলে কালীগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে স্বামী মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা করিমুদ্দিন আহম্মেদের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

এর আগে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে করিম উদ্দিন সরকারি পাবলিক ডিগ্রি কলেজ মাঠে শামসুন্নাহার বেগমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পড়ান তার বড় ছেলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ।

এর আগে বুধবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১২টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন শামসুন্নাহার বেগম। ওইদিন বিকেল ৩টায় তার প্রথম জানাজা হয় ঢাকায়।

পরে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে শামসুন্নাহারের মরদেহ ঢাকা থেকে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জে উপজেলায় তার নিজ বাড়ি আনা হয়। এ সময় বাড়িতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

খবর পেয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত হয় তার বাড়িতে।

জানাজায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ ও তার পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়স্বজন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল হক ভূঁইয়া, রংপুর বিভাগীয় সমাজসেবা অফিসার, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর, জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. মতিয়ার রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান ও লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

জানাজা শেষে মরহুমার কফিনে ফুল দিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ, জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

একসঙ্গে ৯ জন্ম দিলেন সন্তান হালিমা

নিউজ ২৪লাইনঃ
একসঙ্গে যমজ সন্তান জন্ম দেওয়ার খবর হরহামেশায় শোনা যায়। তবে এবার শোনা গেল ভিন্ন খবর। একসঙ্গে ৯ সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক নারী। চিকিৎসকরা আগে থেকেই ওই নারীর দুই শিশুর অস্তিত্ব বুঝতে পেরেছিলেন।বুধবার (৫ মে) পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এমন খবর প্রকাশ করা।

এ ঘটনার পর ৯ সন্তান জন্ম দেওয়া নারীর হালিমা সিসে (২৫) আলোচনায় চলে আসেন। আর ৯ সন্তান জন্ম দিয়ে ননুপ্লেটস অন্তর্ভুক্ত নারী হিসেবে বিরল দৃষ্টান্ত গড়লেন তিনি। এ বিষয়টি দেশটির নেতারাও বেশ গুরত্ব সরকারে দেখেন।

চলতি বছরের মার্চে চিকিৎসকরা জানান, হালিমার বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। তখন দেশটির পরিবর্তনকামী নেতা বাহ এনদাও তাকে মরক্কো পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তিনি মরক্কো আসলে সেখানে মঙ্গলবার (৪ মে) সিজার করে পাঁচ কন্যা ও চার ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।

মালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফান্টা সিবাই বলেন, এখন পর্যন্ত মা ও নবজাতকরা সুস্থ আছেন। চিকিৎসকের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

মরক্কোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রছিদ কৌধারি বলেন, দেশের একটি হাসপাতালে একসঙ্গে এত শিশু জন্মগ্রহণ করবে তা আমি কখনো ধারণাই করতে পারিনি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, হালিমা ও তার ৯ সন্তানের স্বাস্থ্যের বিষয়ে চিকিৎসকরা বেশ সচেতন আছেন। ননুপ্লেটস খুবই বিরল ঘটনা। একসঙ্গে এত শিশুর জন্মের ক্ষেত্রে নানা জটিলতা দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রেই কয়েক শিশুর মৃ.ত্যু.;র আশঙ্কা থাকে।