উখিয়ায় চক্ষু চিকিৎসা শিবির কার্যক্রম উদ্বোধন

সংবাদদাতা:

উখিয়া উপজেলায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী (WFP)-এর সহযোগীতায় সুশীলন কর্তৃক বাস্তবায়িত ইএফএসএন-৪ প্রকল্পের লক্ষিত জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর (হোষ্ট কমিউনিটির) দৃষ্টি শক্তি পরীক্ষার নিমিত্তে বাইতুশ সরফ চক্ষু হাসপাতাল, কক্সবাজার -এর সহযোগীতায় রত্নাপালং ইউনিয়নে চক্ষু চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়। আজ(১৮ আগস্ট) সকাল ১০:০০ টায় গয়ালমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ।এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী (WFP) -এর প্রতিনিধি ফাহিমা আকতার, সুশীলনের উপ-পরিচালক সাচ্চিদানন্দ বিশ্বাস, সুশীলনের সহকারী পরিচালক ও ইএফএসএন-৪ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ নূরুল ইসলাম সহ সুশীলনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এই কার্যক্রমের আওতায় বিনামূল্যে পর্যায়ক্রমে উখিয়া উপজেলার বাকী ৪টি ইউনিয়নের ইএফএসএন-৪ প্রকল্পের লক্ষিত জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর (হোষ্ট কমিউনিটির) দৃষ্টি শক্তি পরীক্ষা করা হবে।

শরীয়তপুরে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান মারদিয়া তাসনীম”ও রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন সেজুতি ইসলাম সুপ্তি

নিউজ ২৪ লাইন ঃ

শরীয়তপুরে ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় জেলার প্রথম হয়েছে শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার প্যাসিফিক ল্যাবরেটরি স্কুল এর অষ্টম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী মোসাঃ মারদিয়া তাসনীম ও রচনা প্রতিযোগিতায় জেলার প্রথম স্থান অর্জন করেছে নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী সেজুতি ইসলাম সুপ্তি। চিত্রাঙ্কনের প্রথম স্থান অর্জনকারী ছাত্রী মারদিয়া তাসনীম পঞ্চম শ্রেনীতেও বৃত্তি পেয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলার মধ্যে প্রথম স্থান আদায় করে নিয়েছিলেন এই মেধাবী ছাত্রী মারদিয়া তাসনীম।

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার বেপারী বাড়ির ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ভেদরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচিত ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সর হারুনর রশীদ বেপারীর মেয়ে এই মারদিয়া তাসনীম।

গত ১৫ আগষ্ট রোজ রবিবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২১ পালন উপলক্ষে শিশুদের জন্য আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন জেলাপ্রশাসক, শরীয়তপুর জনাব মোঃ পারভেজ হাসান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শরীীয়তপুর অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক সার্বিক জনাব মোঃ সাখাওয়াত হোসেন এবং শিশু একাডেমি,শরীয়তপুর এর কর্মকর্তাবৃন্দ।

পঞ্চগড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে পেট্রোল পাম্পে জরিমানা

নিউজ ২৪ লাইন ঃ
পঞ্চগড়ে তিন ফিলিং স্টেশনকে ওজনে কম দেওয়া ও হাল নিবন্ধন না থাকায় ৫৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রম্যমান আদালত।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুল হক তিনটি পেট্রোল পাম্পে ৫৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় বিএসটিআই রংপুর এর পরিদর্শক কামরুল পলাশ ও সদর থানা পুলিশের সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত ছিল।

ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় সদর এলাকায় অবস্থিত করতোয়া ফিলিং স্টেশনে বিএসটিআইয়ের ওজন পরিমাপক যন্ত্রে ডিজেল কম দেওয়ার কারনে ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন ২০১৮ লঙ্ঘনের দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়াও সুবাহানাকা ফিলিং স্টেশন এবং মৈত্রি ফিলিং স্টেশনে প্রয়োজনীয় হাল নিবন্ধন প্রদর্শনে ব্যার্থ হওয়ায় যথাক্রমে আট হাজার ও ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে পেট্রোলপাম্পের মালিকদেরকে ভবিষ্যৎ ডিজেল পেট্রোল ও অকটেন পরিমানে কম না দিতে সতর্ক করা হয়।

ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুল হক জানান, পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলামের নির্দেশনা ও ত্বত্তাবধানে জেলার বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে সঠিক পরিমানে ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন বিক্রয় হচ্ছে কি না তা তদারকির জন্য এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। আগামিতে পর্যায়ক্রমে জেলার সকল পেট্রোল পাম্পে ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।

নেত্রকোনায় এক বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবনযাপনের গল্প!

দক্ষিণ বিশিউড়ায় এক বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবনযাপনের গল্প!
নিউজ ২৪ লাইন ঃ

নেত্রকোনা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের দুগিয়া গ্রামের আব্দুল জব্বার চাচা। বয়স আনুমানিক ৭০ হবে। পেশায় একজন ফেরিওয়ালা। নিজের বয়স্কভাতা, স্ত্রীর পঙ্গুভাতার কার্ডের টাকা আর পাড়ায় পাড়ায় বুট,চানাচুর, বিস্কিট বিক্রির টাকায় সংসার চালান তিনি। ছেলেরা ঢাকায় রিকশা চালায়। উনাকে দেখাশোনা করে না। জায়গাজমি বলতে নিজের ঘরের জায়টাই আছে।

জব্বার চাচার ৬৫ বছর বয়স্ক স্ত্রী রাজু আক্তার শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। জন্মগত পঙ্গুত্বের কারণে একা একা উঠে বসতেও পারেনা। সবসময় শুয়ে থাকতে হয়। সকাল হতেই বের হন জীবিকার সন্ধানে। অসুস্থ স্ত্রীকে দেখাশোনা আর রান্নাবান্নার কাজ একা নিজেকেই করতে হয়। স্ত্রী রাজু আক্তারের অসুস্থতা আর বৃষ্টির কারণে গত তিন দিন যাবত দোখান নিয়ে বের হতে পারেনি। আটকে আছে এই বৃদ্ধ দম্পতির অসহায়ের সংসার। গত তিন দিন ধরেই অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে চিড়ামুড়ি খেয়ে আছেন।

নির্জন জঙ্গলে মধ্যে একটি ঝুপড়ি ঘরে তাদের দু’জনের বসবাস। সামান্য বৃষ্টিতেই চালের ছিদ্র দিয়ে পানি ঢুকে ঘর পানিতে থইথই করে। সেই পানি ঘরের চুলা পর্যন্ত ঢুকে যায়। রান্নাবান্নাও থাকে বন্ধ। চুলায় বৃষ্টির পানি ঢুকে গেলে আগুন ধরাতে পারেন না কয়েকদিন। তখন নিজের আর আধা পাগল স্ত্রীর খাবার জোগাতে খাবার পাত্র নিয়ে ছুটে চলেন মানুষদের বাড়ি বাড়ি।

সম্প্রতি দু’দিন আগে একজনের তথ্যমতে জব্বার চাচার খোঁজ নিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় আমাকে। ঘরে ঢুকতেই প্রথমে চোখে পড়ে চৌকির নিচ দিয়ে একটি ড্রেন। জব্বার চাচার স্ত্রী শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় থাকার চৌকিতেই বাথরুমের কাজ সাড়েন। সেই মলমত্র এই ড্রেন দিয়ে পরিস্কার করেন জব্বার চাচা একা নিজেই।

বয়সের কারনে জব্বার চাচার চোখ দুটোতে ছানি পড়েছে। চোখেও কম দেখেন। কয়দিন আগে উনার স্ত্রীর পা কেটে যাওয়ায় পায়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। চিকিৎসার অভাবে সেই ক্ষত পচে গিয়ে পোকা ধরেছে। সেটির চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে।

চোখে কম দেখেন তারপরও অসুস্থ স্ত্রীর দেখাশোনা, অর্থনৈতিক সংকট, একটি ঘরের অভাব সব কিছু মিলিয়ে জব্বার চাচা বর্তমানে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।

একটি ঘর না থাকায় বৃষ্টির দিনে জব্বার চাচা ও তার প্রতিবন্ধী স্ত্রী কতটা ভোগান্তিতে পড়েন সেটা নিজ চোখে না দেখা উপলব্ধি করার সুযোগ নেই। সমাজের অসহায় শ্রেনীর মানুষদের প্রতি আমাদের সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব রয়েছে। এই দায়িত্বের জায়গাটি হয়ত আমরা এড়িয়ে যাই।

উনার দুটি চোখের অপারেশন প্রয়োজন। উনার একটি ঘর, চোখের অপারেশন ও স্থায়ী একটি কর্মসংস্থান করে দেওয়া দরকার। আমরা জব্বার চাচার সকল দুশ্চিন্তাকে পরাজিত করে উনার মুখে সুখের হাসি ফোটাতে চাই। আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা থাকলে জব্বার চাচার মুখে হাসি ফোটাতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

প্রয়োজনে-
মাসুদুল করিম (মাসুদ)
মোবাইল-০১৭১২৪২৮২৯২
শেখ সারোয়ার (জনি)
মোবাইল-০১৭১১১৭২৬৩০

আফগানিস্তান থাকে চরম ঝুকি নিয়ে ১৫০ আসনের বিমানে ৬৪০ জন যাত্রী

আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ
নিউজ ২৪ লাইন ঃ
১৫০ আসনের বিমানে ৬৪০ জন যাত্রী। কাবুল বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়া মার্কিন সি-১৭ পরিবহণ বিমানের ভেতরের একটি ছবি সংবাদমাধ্যম ডিফেন্স ওয়ানের গ্লোবাল বিজনেস এডিটর মার্কাস উইজারবার টুইটারে পোস্ট করেন। ছবিটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, লোকজন গাদাগাদি করে ফ্লোরে বসে আছেন। তারা কোনোরকমে উড়াল দিতে পারলেই বেঁচে যান।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসির তথ্যমতে, বিমানটির ভেতরে ৬৪০ জনের মতো যাত্রী ছিল। তারা ফ্লোরে ঠাসাঠাসি করে বসে আছেন, চোখে মুখে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।

এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ডিফেন্স ওয়ানকে বলেন, বাড়তি যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে পাইলট বিমান উড্ডয়নের সিদ্ধান্ত নেন। বিমানটিতে আনুমানিক ৬৪০ জনের মতো যাত্রী ছিল।

তালেবান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকেই দেশটির নাগরিকা দেশান্তরী হওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। ভিটেমাটি ছেড়ে অন্য দেশে গিয়ে শরণার্থী হওয়ার আশায় বিমানবন্দরে ভিড় করছেন আফগানরা।

এর মধ্যে সোমবার হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে বিমানে উঠা নিয়ে হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। সে সময় যে যেভাবে পেরেছেন বিমানে উঠার চেষ্টা করে গেছেন।

কক্সবাজার পৌরসভার একটি এলইডি সড়ক বাতির দাম ৭০ হাজার টাকা!

নিউজ ২৪ লাইন ঃ এবারে একটি ১০০ ওয়াটের এলইডি সড়ক বাতির দাম ধরা হয়েছে ৬৯ হাজার ৬৯০ টাকা (প্রায় ৭০ হাজার টাকা)। এছাড়া একেকটি ৪০ ওয়াটের লাইটের দাম ৩১ হাজার ৯৭১ টাকা, ৬০ ওয়াট ৫৫ হাজার ৩২১ টাকা এবং ৮০ ওয়াট লাইটের দাম ধরা হয়েছে ৬৬ হাজার ৬৯৭ টাকা।

এ দাম অস্বাভাবিক ধরা হয়েছে বলে মনে করছে পরিকল্পনা কমিশন। এজন্য সঠিক বাজার দর হিসাবে দাম প্রাক্কলনের জন্য তিন সদস্যর একটি কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে-এ কমিটিকে ক্রয় করতে যাওয়া বাতি এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতির প্রাক্কলন এবং কারিগরি বর্ণনা প্রণয়ন করে (সিল ও স্বাক্ষরসহ) ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) সংযোজন করতে হবে।

‘কক্সবাজার পৌরসভার রাস্তাগুলোতে এলইডি সড়ক বাতি সরবরাহ ও স্থাপনের মাধ্যমে আধুনিকায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের এমন অস্বাভাকি দামের প্রস্তাব করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রকল্পটিতে রয়েছে গোড়ায় গলদ। অর্থাৎ যেনতেনভাবে দায়সারা সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে প্রকল্পটি প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশীদ মঙ্গলবার দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে বলেন, প্রস্তাবিত মূল্য অবশ্যই বাজারের চেয়ে বেশি। এজন্যই আমরা কমিটি গঠন করে দিয়েছি। সাধারণত কমিটি করা হয় না।

তাদেরকেই (প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের) ব্যয় যুক্তিযুক্তকরণ করতে বলা হয়। কিন্তু এ প্রকল্পের ক্ষেত্রে শুধু কমিটিই নয়, এ কমিটি কোন উৎস থেকে দাম প্রস্তাব করবে সেটিও জানাতে বলা হয়েছে। এটা সংশ্লিষ্টদের জন্য একটা বড় ধাক্কা। তাদের প্রস্তাবিত দাম যে কোনোভাবেই গ্রহণ করা হয়নি-সেটির প্রমাণই হচ্ছে কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যারা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত তাদের একাংশ সম্পদ বৃদ্ধির উপায় হিসাবে এমন প্রস্তাব দিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে পরবর্তীকালে অনিয়ম ও দুর্নীতি করা যায়। তবে ভালো দিক হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশন বিষয়টিতে আপত্তি দিয়েছে। কিন্তু যেসব কর্মকর্তা এমন কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসা হয় না। ফলে দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রবণতা অব্যাহত আছে।

এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এমন অনিয়ম বন্ধ হবে না।
সূত্র জানায়, ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্পটির প্রস্তাব করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের কথা রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এবং কক্সবাজার পৌরসভার।

৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্পটির পিইসির (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভা। ওই সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে-সড়ক বাতির যে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে তার যৌক্তিকতার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পিইসি সভায় জানানো হয়, এলজিইডির সিটি গভর্ন্যান্স প্রজেক্টের (সিজিপি) আওতায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে এলইডি সড়কবাতির দর এখানে ব্যবহার করা হয়েছে। এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে পরিকল্পনা কমিশন ওয়েস্টার্ন ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী এলইডি বাতির বর্তমান বাজার দর, বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্য সমন্বয়ে ব্যয় প্রাক্কলনের জন্য সভায় একমত পোষণ করা হয়। এজন্যই কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে।

জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও পরিদর্শন উইংয়ের মহাপরিচালক ইমদাদ উল্লাহ মিয়ানএকটি জাতীয় দৈনিককে বলেন, প্রকল্প প্রস্তাবটি প্রথম পর্যায়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে আসে। এখানে একটি বাছাই কমিটি রয়েছে। সেই কমিটি যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন করলে আমরা সেটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠাই। এর মধ্যে অনেক প্রক্রিয়া রয়েছে। এলইডি লাইটের ক্ষেত্রে শুধু ওয়াট দেখে বিবেচনা করা ঠিক নয়। কেননা এর দাম নির্ভর করে স্পেসিফিকেশন এবং অরিজিনসহ আরও নানা বিষয়ের ওপর।

তবে যে প্রকল্পটির বিষয়ে বলছেন এ মুহূর্তে কাগজপত্র না দেখে সঠিক মন্তব্য করতে পারছি না। পিইসি সভার কার্যবিবরণীতে আরও বলা হয়েছে-প্রস্তাবিত প্রকল্পের ডিপিপিতে যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সংযুক্ত করা হয়েছে তা এনইসি-একনেক অনুবিভাগের ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি জারি করা ফরম্যাট অনুযায়ী হয়নি। সমীক্ষা প্রতিবেদনটিতে পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় কিসের ভিত্তিতে প্রাক্কলন করা হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের সঙ্গে জড়িত সংস্থার মতামত গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

ডিপিপিতে যে আর্থিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ দেওয়া হয়েছে সেখানে আর্থিক ১ হাজার ২৯৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা এবং অর্থনৈতিক ৩২১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে। এখানে আর্থিক খাতের এ হিসাব কিসের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

সেই সঙ্গে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে প্রকৃতপক্ষে যে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সুবিধাদি পাওয়া যাবে তা বিবেচনায় নিয়ে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং আর্থিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ নতুনভাবে করা প্রয়োজন।

সুএঃ সময়ের কন্ঠস্বর

কেরানীগঞ্জে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুজন সহোদর

নিউজ ২৪ লাইন ঃ

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় গত সোমবার গভীর রাতে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুই যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মোহাম্মদ সজীব (৩৫) ও তাইজুল ইসলাম তাজেল (৩৮)।

আজ মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে গিয়ে পরিবারের সদস্যরা মরদেহ শনাক্ত করেন।

নিহতদের মা তাসলিমা বেগম বলেন, আমার দুই ঘরের পাঁচ ছেলে এক মেয়ে। গত ২৩ জুলাই ছেলে সজীবকে বাড়ির পাশ থেকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর ২৫ জুলাই তাজেলকে একইভাবে ধরে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, আমার দুই ছেলে কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুরে মাছের ঘেরের ব্যবসা করতেন। থানায় মাদকের মামলা ছিল। কিন্তু কোনো খুন-খারাপির মামলা ছিল না। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে মাছের ঘের নিয়ে আমার দুই ছেলের ঝগড়া হয়। এ নিয়ে এলাকার প্রভাবশালীরা ধরিয়ে দিয়েছে কিনা সন্দেহ হয়।

নিহত সজীবের স্ত্রী নাজনীন আক্তার ও তাজেলের স্ত্রী মিনা আক্তার বলেন, আমরা পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে মর্গে এসে দুইজনের মরদেহ শনাক্ত করি।

তারা বলেন, সজীবকে গত ২৩ জুলাই ও তাজেলকে ২৫ জুলাই তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা খবর পেয়ে র‌্যাব-১০ এর অফিসে গেলে তারা জানায় র‌্যাব-১১ তে খবর নেন। আমরা র‌্যাব-১১ তে গেলে সেখান থেকে বলে র‌্যাব-হেডকোয়ার্টারে যেতে।

তারা আরও বলেন, আমরা ওখানে গেলে আমাদের সঙ্গে র‌্যাব সদস্যরা কোনো কথা বলেননি। পরে আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাদের খোঁজ পাই না। আজ পুলিশের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে মর্গে এসে মরদেহ শনাক্ত করি। আমরা স্বামী হত্যার বিচার চাই।

1 2