মাদারীপুর শিবচরে পিকআপ খাদে পড়ে নিহত ৬

নিউজ ২৪লাইন ডেক্সঃ শিবচরে যাত্রীবোঝাই একটি পিকআপ খাদে পড়ে ঘটনাস্থলে ২ জন এরপর স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জনের মৃত হয়। এছাড়া গুরুত্বর আহত অবস্থায় ফরিদপুর নেয়ার পথে আরো ২ জনের মৃত্যু হয়। এই নিয়ে এই ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো ১০ জন।

শনিবার (৩১ জুলাই) রাত নয়টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের শিবচর উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের হাজী শরিয়তউল্লাহ সেতুর টোলের কাছে ঘটে এ দুর্ঘটনা। শিবচর হাইওয়ে থানা পুলিশ ও শিবচর ফায়ার সার্ভিস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহতরা হলো, শিবচরের আড়িয়াল খাঁ টোলের কর্মরত শ্রমিক নির্মল, সোহান, পুলক।এদের তিনজরের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলায়।আর দুর্ঘটনার ট্রাকে থাকা শ্রমিক ভোলার লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্চ গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে মিরাজ (৩০), চরফ্যাশন উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আরিফ (৩৫) ও পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার পসারিয়া গ্রামের বিল্লাল গাজীর ছেলে হান্নান গাজী (২৬)।

আর আহতরা হলেন ভোলার লালমোহন উপজেলার রায়পুরা কান্দি গ্রামের রতনের ছেলে ইউনুছ গাজী (৩৫) ও তার স্ত্রী শিরিন বেগম (২৮) ও নিতহ আরিফের স্ত্রী সোনিয়া। এছাড়া ৪ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও শিবচর ফায়ার সার্ভিস ও শিবচর হাইওয়ে থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ভোলার লালমোহন থেকে যাত্রীবোঝাই করে একটি পিকআপ (৩ টন) (ঢাকা মেট্রো ন- ১৫৬৭৮৭) ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে শিবচরের হাজি শরিয়তুল্লাহ সেতুর টোলের কাছে আসলে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে টোলের কাজে কর্মরত তিন শ্রমিককে চাপা দিয়ে সড়কের রেলিং ভেঙ্গে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপে থাকা মিরাজ ও টোলের শ্রমিক সোহানের মৃত্যু হয়।

পরে স্থানীয়রা, শিবচর ফায়ার সার্ভিস ও শিবচর হাইওয়ে থানা পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে শিবচরের পাচ্চর রয়েল হাসপাতালে নিয়ে যান ও কয়েকজনকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল নেওয়া হয়।তবে এদের মধ্য রয়েল হাসপাতালে আরিফ ও ভাঙা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলকের মৃত্যু হয়।এছাড়াও রাত বারটার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে হান্নান গাজী ও নির্মল নামে আরো ২ জনের মৃত্যু হয়। এদুঘর্টনায় ৬ জনের মৃত্যু হলেও এখনো আহত আছেন আরও ৫জন।

এদিকে পাচ্চর রয়ের হাসপাতালে আহত ৩ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

টোল প্লাজার স্টাফ আনিস জানান, পিকআপটি টোল প্লাজার দায়িত্বে থাকা কর্মচারীদের উপর দিয়ে চলে যায়। পরে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। বেপরোয়াভাবে চালানোতেই এই দুর্ঘটনা।

জাজিরা থানার অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান মসজিদে গিয়ে মুসুল্লিদের করোনা প্রতিরোধে করোনীয় আলোচনা করেন

নিউজ ২৪লাইনঃ
শরীয়তপুরের জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহবুবুর রহমান মসজিদে গিয়ে মুসুল্লিদের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা মুলক কথাবার্তা বলার পাশাপাশি মূল্যবান দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি নিয়মমাফিক প্রতি শুক্রবার জাজিরা থানার বিভিন্ন গ্রামে মসজিদে মসজিদে গিয়ে জুম্মার নামাজের সময় করোনা প্রতিরোধে মুসুল্লিদের সচেতন করে থাকেন। পাশাপাশি মাস্ক ব্যাবহার করার গুরুত্ব নিয়ে সাধারণ মুসুল্লিদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করে থাকেন।

তিনি ওসি (মাহাবুবুর রহমান) বাংলাদেশ পুলিশের সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সাধারণ মানুষকে বিট অফিসার বা অফিসার ইনচার্জের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন পুলিশের সেবা পেতে এখন আর কোনো দালালের প্রয়োজন নেই। আমি থানায় থাকাকালীন আপনারা যে কোনো আইনি সহযোগিতার জন্য সরাসরি আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। থানায় জিডি বা নিয়মিত মামলা দায়ের করতে কোনো ধরনের টাকা পয়সার প্রয়োজন নেই। তাই দালাল ধরে থানায় এসে প্রতারিত হবেন না। পাশাপাশি তিনি করোনা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভুমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।

এদিকে সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যাবহার নিশ্চিত করণে ওসির এমন ভূমিকা প্রশংসা কুড়িয়েছে জাজিরা বাসীর মনে।

একদিনের নোটিশে কারখানা খুলে শ্রমিকদের হয়রানি করা হয়েছে’

একদিনের নোটিশে নিরাপত্তা ও পরিবহন ছাড়া কারখানা খুলে শ্রমিকদের হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি।

শনিবার (৩১ জুলাই) ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আয়োজিত কর্মসূচিতে সংগঠনের নেতারা এ অভিযোগ করেন।

সংগঠনের দায়িত্বশীল প্রবীর মিত্র জানান, শনিবার বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি কেন্দ্রীয় উদ্যোগে সকল শ্রমিক এলাকায় যার যার জায়গায় দাঁড়িয়ে ১ দিনের নোটিশে গণপরিবহন ও নিরাপত্তা ছাড়া কারখানা খুলে শ্রমিক হয়রানির প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়।

শাহবাগে জাতীয় যাদুঘরের সামনে কেন্দ্রীয় সভাপ্রধান তাসলিমা আখ্তার, সাধারণ সম্পাদক জুলহাসনাইন বাবু, অর্থ সম্পাদক প্রবীর সাহা এবং দফতর সম্পাদক মুসা কলিমুল্লাহ প্রতিবাদ জানান।

তিনি জানান, একইসময়ে আশুলিয়া, সাভার, মিরপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে শ্রমিকাঞ্চলে ও গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদ জানায়। সারাদেশে শ্রমিকসহ সকল শ্রেণী-পেশার নাগরিকদের এই ঘটনার প্রতিবাদে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে ছবিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ ও প্রচারণার আহ্বানও জানান তারা।

সংগঠনের নেতাদের অভিযোগ, আজ থেকে লাখো শ্রমিক পরিবহন ছাড়া আবারও কারখানার দিকে ঢল নামছে। গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় কোনোরকম গণপরিবহন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে সহসা কারখানা খোলার সিদ্ধান্তে শ্রমিকরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন, যা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক

1 22 23 24