অবিবাহিত তারকাদের জামাই আর জামার অভাব হয় না: পপি

বিনোদন ডেস্ক- জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়িকা সাদিকা পারভীন পপি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া বিবাহ নিয়ে নানা গুঞ্জন, নানা কথা। সোশ্যাল মিডিয়া বা মুঠোফোনেও তার সাড়া মিলছে না। হঠাৎ অন্তরালে চলে যাওয়ায় চলচ্চিত্র পাড়ায় গুঞ্জন ছিল- পপি বিয়ে করে ঘর-সংসার করছেন। যদিও এ ঘটনার সত্যতা মেলেনি। তবে পপি এবার নিজেই মুখ খুলেছেন।

পপি নিজেকে ‘নিখোঁজ’ বলতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘আমি কিছু ঝামেলায় আছি। ঝামেলা শেষ হয়ে গেলেই আমি আবার সবার সঙ্গে যোগাযোগ করবো। আমি সব কিছুই নজরে রাখছি। সময় মতো সব মোকাবিলা করবো। আমি গণমাধ্যমের সৃষ্টি। ‘আনন্দ বিচিত্রা’ আমাকে তারকা জগতে উত্তরণের সিঁড়ি তৈরি করে দিয়েছে। তাই গণমাধ্যম আমার স্বজন। গণমাধ্যমের কারণেই আমি আজকের পপি। সেই গণমাধ্যমের সঙ্গে বিতণ্ডায় যাওয়া আমার পছন্দ নয়।’

বিয়ে প্রসঙ্গে পপি বলেন, ‘অবিবাহিত তারকাদের জামাই আর জামার অভাব হয় না- আমারও অভাব নেই। কিন্তু বিয়ে করতে হলেও পুরুষ লোকটির সঙ্গে দুটো মিষ্টি কথা বলতে হয়। আমার তো সে সময়ই নেই। এছাড়া আমি কারো সঙ্গে মিষ্টি করে কথা বলতে পারি না।’

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ সময় শোবিজ থেকে দূরে ছিলেন পপি। সেই বিরতি ভেঙে তিনি কাজে ফিরেন রাজু আলীম ও মাসুমা তানির যৌথ পরিচালনায় ‘ভালোবাসা প্রজাপতি’ নামের একটি ছবি দিয়ে। শুটিংও করেন কিছুদিন।

এরপর হঠাৎ করেই উধাও এই নায়িকা। কোথাও তাকে দেখা যায়নি। কোনো কাজও করেননি। অনেক পরিচালকই তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়েছেন নাগাল পেতে। তখন থেকেই মূলত তার বিয়ের খবর ছড়াতে থাকে।

খবর রটে, বিয়ে করেছেন বলেই নিজেকে আড়ালে নিয়ে গেছেন পপি। তখন অনেকে দাবি করেন, গোপনে সংসার পেতেছেন একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেত্রী।

মায়ের মাথা ফাটালেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা,

নিউজ ২৪লাইনঃ,
বিনোদন ডেস্ক- ইউপি নির্বাচন করার জন্য বাবার জমির ভাগ দিতে না চাওয়ায় মায়ের মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সাজুর বিরুদ্ধে। গুরুতর অবস্থায় তার মা রানীজান এখন কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় সাজুর বড় বোন উলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

২০০৮ সালে বেসরকারি টিভি চ্যানেল এনটিভিতে রিয়েলিটি শো ক্লোজআপ ওয়ান তারকা দ্বিতীয় রানারআপ নির্বাচিত হন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের মৃত আজগার আলী ও মোছা. রানীজান বেগম দম্পতির ছেলে সাজু আহমেদ (৩৫)।

২০০৩ সালে মারা যান সাজুর বাবা। প্রায় ১৯ বছর ধরে সাজুকে কোলে করে আগলে রেখেছিলেন তার মা। ছোট ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে, তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সর্বস্ব ঢেলে দিয়েছেন মা। কিন্তু আজ মায়ের মুখেই সন্তানের বিরুদ্ধে বিচার দাবি। বারবার ছেলের হাতে অপমান-অপদস্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ সেই মায়ের।

গত শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) শিল্পী সাজু আহমেদ তার মায়ের কাছে জমির ভাগ ও টাকা না পাওয়ায় হামলা করে মাথা ফাটিয়ে দেন বলে অভিযোগ করেছেন তার মা। তার বৃদ্ধা মাকে গুরুতর আহত অবস্থায় আত্মীয়স্বজনরা কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। তার মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে বলে জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। তিনি এখন কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সাজুর মা রানীজান জানান, আমি অনেক সহ্য করেছি। বাচ্চা মানুষ, আমার কোলের সন্তান। সে আমাকে আর মা বলে পরিচয় দেয় না। ওর জন্য আমি ভিক্ষা করেছি। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। সে অপরাধ করেছে। আমি মা, অনেক সহ্য করেছি, অনেক ক্ষমা করে দিয়েছি। কিন্তু আর না,’ বলেই অঝর নয়নে কান্না শুরু করে কঠোর শাস্তি দাবি করছেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা শিল্পী সাজু আহমেদের গর্ভধারিনী মা মোছা. রানীজান বেগম (৬৫)।

সাজুর মা আরও জানায়, সে চেয়ারম্যান পদে (ইউনিয়ন পরিষদের) নির্বাচন করবে বলে জমির ভাগ চাচ্ছে এবং এজন্য প্রায়ই সে আমাকে অপদস্ত করে আসছে। ২০০৮ সালে তার ক্লোজআপ ওয়ান তারকা হওয়ার জন্য এসএমএসের পেছনে জমি বন্ধক রেখে লাখ লাখ টাকা শেষ করছি। এখন তার নিজের জমানো অর্থ দিয়ে নির্বাচন করতে বলেছি এবং পরে জমির অংশ দিতে চেয়েছি। কিন্তু সে নির্বাচনের আগেই জমির অংশ নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এজন্য আমার ওপর হামলা করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই,যাবজ্জীবন জেল চাই ।

থানায় অভিযোগকারী সাজুর বড় বোন আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, সে আমাকেও কয়েকবার মারতে উদ্যত হয়েছিল। পরে আমার মা প্রতিবাদ করায় সে মাকে চাকু দিয়ে আঘাত করে। আমার চোখের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। এসময় অনেকে বাড়িতে উপস্থিত ছিল।

এ ব্যাপারে শিল্পী সাজু আহমেদের সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ভুক্তভোগীর বড় মেয়ে বাদি হয়ে অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।