এবার নিখিলের সঙ্গে নতুন সম্পর্কে শ্রাবন্তী!

বিনোদন ডেস্ক- বিচ্ছেদ ইস্যুতে আলোচিত টালিউড অভিনেত্রী নুসরাত ও শ্রাবন্তী। দুজনেই আলাদা থাকছেন স্বামী থেকে। কিন্তু আইনি বিচ্ছেদ এখনও হয়নি তাদের। নিখিলের সঙ্গ ছেড়েছেন নুসরাত। সম্প্রতি মা হয়েছেন তিনি। অন্যদিকে রোশান সিংয়ের অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে নিজের মতো থাকছেন শ্রাবন্তী

এবার নিখিলের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেল শ্রাবন্তীর ছবি। এ নিয়ে বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছে টালিপাড়ায়। অনেকে বলছেন, নিখিল-শ্রাবন্তীর নতুন সমীকরণ! আসলেই কি তাই?

যদিও টালিউডের সমীকরণ বোঝা মুশকিল। বান্ধবী নুসরাতের সাবেক স্বামী নিখিলের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন শ্রাবন্তী। যদিও এ সম্পর্ক ব্যক্তিগত না, পেশাগত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে,

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, নিখিলের ফ্যাশন হাউজের মডেল হয়েছেন শ্রাবন্তী। কালো বেগুনি রঙের পোশাকে সাজিয়েছেন নিজেকে। খোলা চুল আর লিপস্টিকে বেশ সুন্দরী লাগছিল তাকে।

নুসরাত-শ্রাবন্তী বন্ধুত্বের কথা জানেন সকলেই। নিয়মিত ঘরোয়া পার্টিতে দেখা যায় তাদের। অন্তঃসত্ত্বা নুসরাতের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল শ্রাবন্তীকেও। ফটোশুট প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে নিখিল বলেন, ‘শ্রাবন্তী আমার ভালো বন্ধু। আমাদের পোশাকগুলো তার ভালো লেগেছিল। তাই ও শুট করেছে।’

শ্রাবন্তী অনেক দিন থেকেই আমার ভাল বন্ধু। আমার কোম্পানির পোশাক শ্রাবন্তীর খুব ভাল লাগে। তাই শ্রাবন্তী নিজের ফটোশুটে এটি ব্যবহার করেছে। সেই কারণেই আমি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শ্রাবন্তীর সেই পোশাক পরা ছবি দিয়েছি।

অন্যদিকে শ্রাবন্তীও এই ফটোশুটে পোশাকের ক্রেডিটে দিয়েছেন নিখিল জৈনের সংস্থার নাম। এমনকী, শ্রাবন্তীর এই ফটোশুটের সময়, যিনি শ্রাবন্তীকে সাজিয়েছেন সেই সন্দীপ ঘোষাল, নুসরত ও নিখিলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। নিখিল ও নুসরতের বিয়েতে তুরস্কতেও গিয়েছিলেন এই সন্দীপ।

হাটহাজারী মাদ্রাসার শুরা বৈঠকেই মারা গেলেন মাওলানা আব্দুস সালাম চাটগামী

নিউজ ২৪লাইনঃ, চট্রগ্রাম- হাটহাজারী মাদ্রাসার শুরা বৈঠকে মারা গেছেন মাদ্রাসার পরিচালক প্যানেলের সদস্য মাওলানা আব্দুস সালাম চাটগামী।

আজ বুধবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে বৈঠক চলাকালে হুইল চেয়ারেই মারা যান তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)।

তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদ্রাসার পরিচালক প্যানেলের অপর সদস্য আল্লামা শেখ আহমদ। এর আগে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় মাদ্রাসার মহাপরিচালক নির্ধারণ নিয়ে শুরা সদস্যদের বৈঠক শুরু হয়েছিল।

জানা গেছে, তিনি প্রায় সপ্তাহখানেক শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। মৃত্যুর কিছু সময় আগেই তিনি হাটহাজারী মাদরাসার মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

রামুতে সন্ত্রাসী হামলায় কলেজ ছাত্র রাহমতুল আমিন ও তার পিতা গুরুতর আহত

বিশেষ প্রতিনিধি, রামু;

কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং পালং ইউনিয়নের পূর্ব ধেছুয়াপালং (মরিচ্যা-তেলখোলা রোড) মাদ্রাসা পাড়ায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়েছে পিতা ও পুত্রকে। স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রতিদ্বন্ধিতার জেরে স্থানীয় ইয়াবাকারবারী গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় লোকজন আহত পিতা ও পুত্রকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

 

জানা গেছে, খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ৪ নাম্বার ওয়ার্ড পূর্ব ধেছুয়াপালং মাদ্রাসা পাড়া এলাকার মৃত হাজি জাফর আলমের ছেলে হোসেন আহম্মেদ (৪৫) ও তার ছেলে রাহমতুল আমিন (২২)।

 

শুক্রবার রাত ৯.০০টার দিকে মরিচ্যাবাজার থেকে বাড়ী ফিরছিল। পথিমধ্যে মরিচ্যা-তেলখোলা সড়কে মাদ্রাসার পাশে ইয়াবা কারবারী গিয়াস উদ্দিনের বাড়ীর সামনে চলাচলের রাস্তায় তাদেরকে গতিরোধ করে ধারালো কিরিচ দিয়ে এলোপাতাড়ি মাথায় কুপানো হয় এবং বেদম মারধর করা হয়।

এতে আহত হন ৪ নাম্বার ওয়ার্ড থেকে আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য মেম্বার পদপ্রার্থী হোসেন আহম্মদ ও তার ছেলে রাহমতুল আমিন। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয় নগদ ১৫ হাজার টাকা, মোবাইল সেট, ঘড়িসহ অন্যান্য মালামাল।চিৎকারে পাশ্ববর্তী দোকানে উপস্থিত লোকজন এগিয়ে এসে দুর্বৃত্তদের কবল থেকে আহতদের উদ্ধার করে। আহতদেরকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন।

 

আহত হোসেন আহম্মদের ছেলে ফায়সাল কবির বলেন, তার বাবা হোসেন আহম্মদ ও ভাই রাহমতুল আমিন বাজার থেকে বাড়ী ফেরার সময় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে মেম্বার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী মমতাজ আহম্মেদের ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে তার ছেলে মামুন, গিয়াস উদ্দিনের ভাই সালাহ উদ্দীন, আলা উদ্দিন, মৃত আবদুর রশিদ মনুর ছেলে নয়ন, ইউছুপের ছেলে শাহবাজসহ দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়।

 

তিনি আরও বলেন, প্রথমে তার বাবাকে মারধর ও কুপিয়ে আহত করার পর ভাই রাহমতুল আমিন এগিয়ে এসে বাবাকে বাঁচানোর চেস্টা করলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়।

 

এই ব্যাপারে রামু থানার ওসি (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হামলার ঘটনার খবর পেয়েছি। জড়িতদের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এদিকে, এলাকাবাসী জানান, গিয়াস উদ্দিন ও তার ভাই সালাহ উদ্দীন বড় মাপের ইয়াবা কারবারী। এরমধ্যে গত কয়েক বছর আগে স্বল্প বেতনে আনসারে চাকরি নিয়ে ছিল গিয়াস উদ্দিন। কিন্ত গত কয়েক বছরের ব্যবধানে ১৭ টি বিভিন্ন ধরনের গাড়ি, নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার জমি, এনজিও পরিচালনা, ঠিকাদারীসহ কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে গেছেন তারা। এলাকায় কোন জনপ্রিয়তা না থাকলেও ইয়াবার ছোঁয়ায় এখন জনপ্রতিনিধির তালিকায় নাম লেখানোর চেষ্টায় রয়েছে গিয়াস উদ্দিন। এব্যাপারে এলাকাবাসী ইয়াবা গড ফাদার গিয়াস উদ্দিন ও তার সিন্ডিকেটের সদস্যদের গ্রেফতারের দাবী জানান।