শরীয়তপুরে ছাত্রী ধর্ষণের মামলা নিতে পালং থানাকে আদালতের আদেশ

নিউজ২৪লাইন:
শরীয়তপুর সদরে একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা। ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুস সালাম বুধবার সদরের পালং মডেল থানাকে মামলাটি রেকর্ড করার আদেশ দিয়েছেন।

মামলায় মাসুদ রানা (২৩) ও হারুন মোল্যা নামে দুজনকে আসামি করা হয়েছে। হারুন একটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ওয়ার্ড সদস্য। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রীকে মাসুদ রানা গত দুই বছর ধরে উত্ত্যক্ত করতেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় সালিস হয়।

২৩ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যান মাসুদ। পরে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে নিয়ে ইউপি সদস্য হারুনের সহায়তায় ধর্ষণ করেন।

ছাত্রীর বাবা বলেন, তিনি গরিব। অনেক কষ্টে মেয়ের পড়াশোনার খরচ বহন করেন। কিন্তু দুই বছর ধরে মাসুদ তাঁর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। আত্মীয়স্বজনকে জানিয়ে সতর্কও করা হয়। কিন্তু তিনি (মাসুদ) মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করবেন, তা বুঝতে পারেননি। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ তা নেয়নি। পরে আদালতের দ্বারস্থ হন।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হারুন মোল্যা বলেন, মাসুদ মেয়েটিকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এরপর তিনি স্থানীয় মুরব্বিদের নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করেন বলে তাঁকেও মামলার আসামি করা হয়েছে।

মামলার পর থেকে মাসুদ রানা পলাতক। তাঁর মুঠোফোন নম্বরও বন্ধ। শরীয়তপুর জজকোর্টের আইনজীবী শহীদুল ইসলাম বলেন, থানায় মামলা করতে না পেরে ভুক্তভোগীর পরিবার আদালতের আশ্রয় নেয়। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করতে পালং থানাকে আদেশ দিয়েছেন।

মামলা না নেওয়া প্রসঙ্গে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। এখনো আদালতের আদেশের কপি হাতে পৌঁছায়নি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সেই রাইডারকে মোটরসাইকেল দিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানি।

নিউজ২৪লাইন ডেস্ক:
ঢাকায় নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে আলোচনায় আসেন শওকত আলী (৪৬) নামের এক পাঠাও রাইডার। এই ঘটনা ভাইরাল হলে অনেকেই তাকে মোটরসাইকেল উপহার দিতে চান।

বুধবার রাতে তাকে একটি বাইক উপহার দেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানি।

এর আগে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি থেকে এই ঘোষণা দিয়ে রাব্বানী জানান, ‘মানুষ কতটা কষ্ট পেলে, কতটা অসহায়ত্ব তাকে গ্রাস করলে ক্ষোভে-দুঃখে উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন আগুনে পুড়িয়ে দেয়, মানবিক হৃদয় দিয়ে সেটা অনুধাবনের চেষ্টা করুন!

ছাত্রলীগের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক ফেসবুকে লিখেছেন, ‘জনাব শওকত আলম সোহেল; করোনা দুর্যোগে নিজের ছোট্ট দোকানের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে, জীবন জীবিকার তাগিদে কয়েকমাস ধরে পাঠাও রাইডার হিসেবে রাস্তায় নামেন! চরম অর্থনৈতিক দৈন্যদশার মাঝে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’… একটা মানুষ কতটা কষ্ট পেলে, কতটা অসহায়ত্ব তাকে গ্রাস করলে ক্ষোভে-দুঃখে উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন, মোটরসাইকেলটি আগুনে পুড়িয়ে দেয়, মানবিক হৃদয় দিয়ে সেটা অনুধাবনের চেষ্টা করুন! আমি Team Positive Bangladesh (TPB) এর পক্ষ থেকে ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভালোবাসার উপহার’ হিসেবে শওকত আলম ভাইকে একটি ভালো মানের মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছি। তার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে, কিছুক্ষণ পরেই টিপিবি’র অফিসে আসবে। সরাসরি কথা বলে দ্রুততম সময়ে বাইক হস্তান্তর করা হবে ইনশাআল্লাহ।

দুই দিনের মধ্যে তিনি বাইক নিয়ে শওকতের কাছে হাজির হন। বাইক দেয়ার সময় ফেসবুক লাইভে যুক্ত ছিলেন রাব্বানি। বাইক উপহারের পর রাব্বানি তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, Team Positive Bangladesh (TPB) এর পক্ষ থেকে শওকত আলম সোহেল ভাইকে ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র উপহার’ হিসেবে একটি ব্রান্ড নিউ ডিসকভার-125 সিসি’র মোটরসাইকেল প্রদান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি।