শৌলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী,ইব্রাহীম খান

শৌলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী,ইব্রাহীম খান

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
মোঃ ইব্রাহীম খান, শরিয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের গয়ঘর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

২০১২ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাষ্টাষ শেষ করে বর্তমানে ঢাকা জজ কোর্টে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত আছেন।

পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুজ্জামান খান ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবেসে, তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং দেশরক্ষায় রাখেন বিশেষ অবদান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতি পিতার ভালোবাসা দেখে তিনিও আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। তাইতো ২০০৩ সালে দশম শ্রেণীর ছাত্র থাকা অবস্থায়, শৌলপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ১নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শৌলপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সে ধারাবাহিকতায় শরিয়তপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের ১নং সাংগঠনিক সম্পাদক, ১নং যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক থাকা কালিন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন।

বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ শৌলপাড়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি,

বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগ শরিয়তপুর জেলা শাখার আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতেছেন।

বিগত ২০১৬ সালে শৌলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলিয় মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন। কিন্তু দলের প্রতি আনুগত্য থেকে মনোনয়ন প্রাপ্তর সাথে থেকে দলের পক্ষে কাজ করেন। তাই আগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শৌলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। দলের জন্য কি কাজ করেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে, ইব্রাহিম খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে সকল নির্বাচনে দলিও কাজ করেছি। ২০০১ সালে হেমায়েতউল্লা আওরঙ্গ বিপক্ষে, নৌকার পক্ষে কাজ করে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়েছি। বিএনপির গঠিত তত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিনিয়ত আন্দোলন করেছি। ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের পক্ষে মাঠে কাজ করেছি। সামাজিকভাবে আমার সাধ্যানুযায়ী মসজিদ, মাদ্রাসা, ওয়াজ মাহফিলে অনুদানসহ গরিব অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করে থাকি। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর মধ্যে নগদ অর্থসহ খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছি। তিনি আরোও বলেন, আমি আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলিও মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। যদি আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে আমি সুনিশ্চিত বিজয় লাভ করবো এবং শৌলপাড়া ইউনিয়নের সকল জনগনের মৌলিক অধিকার তথা শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসা, খাদ্য ও বস্তু নিশ্চিত করবো।

ইউনিয়ন থেকে মাদক, সন্ত্রাস সহ রাষ্ট্র বিরুদ্ধী কাজ থেকে জনগণকে মুক্ত করে, একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে জনগণকে উপহার দেব।

আদিল চৌধুরী’র নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ হোন রত্নাপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ

মাহবুবুল আলম মাহবুব

২০১৪ সাল আওয়ামীলীগের দলীয় নমিনি পেয়ে উখিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করছিলাম। নিজেকে তিল তিল করে গড়ে তুলেছিলাম। ছাত্র রাজনীতির সময় কখনো নিজেকে মাদক সহ অন্যান্য অপকর্মের সাথে সম্পৃক্ত করিনি। উপজেলা আর জেলায় ছাত্র ও যুব রাজনীতি করে দলের দুঃসময়ে বিশেষকরে উখিয়ায় বিশাল কর্মী বাহিনী সৃষ্টি সহ উখিয়া টেকনাফে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে গিয়ে কক্সবাজারে নিজের পরিশ্রমের ঘামে কেনা একখন্ড জমি, আর একটি বাড়ি বিক্রি ও কোটবাজারে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে রাজনীতি করেছি।রাজনীতি করতে গিয়ে দলের আর বিরোধী দলের কোন মানব সন্তান কে সামান্য পরিমান ক্ষতি করলাম না কোন সময়।জাতীয় নির্বাচনে বার বার দলীয় প্রার্থীর জন্য নিজের পকেটের টাকা খরচ করেছি। সর্বশেষ গেলবার জাতীয় নির্বাচনে সাবেক এম পি কয়েকজনকে বলেছেন মাহবুব আমার কাছ থেকে নির্বাচনী খরচ না নিয়েই কাজ করেছে। স্থানীয় নির্বাচনেও দলীয় প্রার্থীর জন্য সবসময় সোচ্চার ছিলাম। অথচ ২০১৪ ও ২০১৯ দু’বার উপজেলা নির্বাচন করলাম যাদের জন্য সারাজীবন কতকিছু করলাম তারা আমার জন্য কি করলেন উখিয়ার মানুষ স্বাক্ষী মহান সৃষ্টি কর্তা সব দেখেছেন।সেদিন দু- একজনের কাছ থেকে সহযোগিতা আশা করছিলাম তাঁদের  ১০০ ভাগের ৫ ভাগ সহযোগিতা পেলে ইনশাআল্লাহ রেজাল্ট ভালো করতাম। সাধারন নেতা-কর্মী ও মানুষ আমার পক্ষে ছিল। আমি চেয়ারে বসলে কয়েকজনের মাথা ব্যথা ছিল  ব্যাস এতটুকুই। সামনে রত্না পালং এ নির্বাচন হচ্ছে সেখানে ও কয়েকবার চেষ্টা করে ও আদিল ভাইকে একই অবস্থায় জেতাতে পারিনি। এবারও সেই একই অবস্থা দেখতে পাচ্ছি। আদিল ভাইকে নিয়ে ও কয়েকজনের মাথা ব্যথা আছে। তারা সর্বোচ্চ চেস্টা চালাবে। রত্নায় এখন ও পর্যন্ত নীতি  আদর্শবান নেতা বলতে আমি তাঁকেই মনে করি। আমি অতীতের মতো এবারও তিনি নৌকা পেলে উনার জন্যই নির্বাচন করবো।তবে একটা অনুরোধ থাকবে আদিল ভাইয়ের প্রতি। উনি চেয়ারম্যান হলে  যেন অন্যান্য পদ পদবীতে অন্যদের সুযোগ দিবেন। সব কিছুতে যেন নিজে দাড়িয়ে না যান। এই বিষয়ে উখিয়ার একটি পরিবারকে নিয়ে খুব বেশী কানাঘুষা চলছে। সেটা রাজনীতির জন্য অশনি সংকেত। সব খানেই এক পরিবার এটা শুদ্ধ রাজনীতির চর্চা হতে পারেনা। তাই রত্না বাসীর প্রতি দল মত ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে আবেদন থাকবে অন্তত এবার আদিল ভাই নৌকা পেলে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। বিশেষ করে রত্নায় যারা আওয়ামী রাজনীতিতে আছেন আপনারা দলের ও নিজেদের ইজ্জতের কথা একবার ভাবুন। আর কত মানুষ হাসাবেন। অতীতের কথা বাদ দেন। সারাদেশেই আওয়ামীলীগের জয় জয়কার। রত্নায় আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধ হলে বিশেষ করে আদিল ভাইয়ের বেলায় নির্বাচিত হওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ। আর আদিল ভাইয়ের প্রতি অনুরোধ আপনি দলের নেতা-কর্মীদেরর্মীদের আন্তরিকতার সাথে ডাকুন, কথা বলুন।  আপনার আত্মীয় স্বজন দের ও ডাকুন কথা বলুন। ইনশাআল্লাহ  রত্নায় দীর্ঘদিন পর হলে ও নৌকার চেয়ারম্যান পাবো। ঐক্যবদ্ধ হোন প্রিয় রত্না বাসী।

 

মাহবুবুল আলম মাহবুব

“সাংগঠনিক সম্পাদক ”

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উখিয়া উপজেলা,

সাবেক “আহবায়ক”

আওয়ামী যুবলীগ উখিয়া উপজেলা।

সাবেক “সাধারন সম্পাদক”

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, উখিয়া উপজেলা।

লন্ড‌নে টিউ‌লিপ সি‌দ্দি‌কের গাড়ি‌ ভাঙচুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
❏ সোমবার, অক্টোবর ৪, ২০২১ ☵ আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক- লন্ড‌নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌ‌হিত্র, ব্রিটিশ এম‌পি টিউ‌লিপ রে‌জোয়ানা সি‌দ্দি‌কের গাড়ি‌তে প্রতি‌হিংসামূলক হামলার ঘটনা ঘ‌টে‌ছে। রবিবার ব্রিটিশ গণমাধ‌্যম‌কে টিউ‌লিপ জানি‌য়ে‌ছেন, এ হামলার ঘটনায় তি‌নি ভীত নন।

বৃহস্প‌তিবার সকা‌লে লন্ড‌নে তার বাড়ির সাম‌নে পার্ক ক‌রে রাখা গাড়ি‌তে হামলা চালা‌নো হয়। ব্রিটিশ গণমাধ‌্যমকে টিউ‌লিপ জানান, গাড়ির দরজার গ্লাস ভে‌ঙে রাজ‌নৈতিক বার্তা লেখা চিরকুট রে‌খে যায় হামলাকারীরা। ত‌বে ভেতর থে‌কে কিছুই খোয়া না যাওয়ায় এ‌টি উদ্দেশ‌্য প্রণো‌দিত হামলা ব‌লেই মনে করছেন তিনি।

নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র জানান, এ ঘটনা এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা থেকে তাকে সরাতে পারবে না। দ্য গার্ডিয়ানকে তিনি বলেন, ‘আমি ভীত হচ্ছি না। আমি আমার দায়িত্ব পালন বন্ধ করব না।’

টিউলিপ জানান, এ ঘটনার পর লেবার পার্টি থেকে ইতিবাচক অনেক বার্তা পেয়েছেন। হাউস অফ কমন্সের স্পিকার স্যার লিন্ডসে হলি ফোনও করেছেন।

এর আগে অনলাইন ট্রলিং কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, এ নিয়ে নারী এমপিদের ট্রেনিং নিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন টিউলিপ। এজন্য কিছু এমপি মিলে একটি অনানুষ্ঠানিক গ্রুপ গঠনও করেন।

তখনও নানা ধরনের প্রচ্ছন্ন হুমকি পান টিউলিপ। এ বিষয়ে ২০১৬ সালে গার্ডিয়ানকে তিনি বলেন, ‘আমাকে ভয়ানক অবস্থায় পড়তে হয়েছিল…আপনি কেন হিজাব পরেন না, পারলে আপনাকে মেরে ফেলতাম ইত্যাদি…।’

২০১৫ সাল থেকে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে তিনি ব্রিটিশ সরকারের চিলড্রেন ও আর্লি ইয়ার্স ডিপার্টমেন্টে ছায়া মন্ত্রীর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

মহানবী (স.)-এর ব্যঙ্গচিত্র আঁকা সুইডিশ কার্টুনিস্ট সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক- মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর ব্যঙ্গচিত্র আঁকা সুইডিশ কার্টুনিস্ট লার্স ভিল্কস এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, লার্স ভিল্কস সুইডেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মার্কারিড শহরের কাছাকাছি স্থানে একটি পুলিশের গাড়িতে থাকা অবস্থায় একটি ট্রাকের সঙ্গে গাড়িটির সংঘর্ষ হয়। এতে কার্টুনিস্ট ভিল্কস ও দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং ট্রাকচালক আহত হন।

পঁচাত্তর বছর বয়সী ভিল্কস মহানবী (স.)-এর কার্টুন আঁকার ঘটনায় প্রাণনাশের হুমকিতে পড়ার পর পুলিশি নিরাপত্তায় বসবাস ও চলাফেরা করতেন।

পুলিশ রোববারের ওই দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করেনি, কিন্তু ভিকসের পার্টনার দাগেনস নিহিয়ার্তের সংবাদপত্রকে তার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কীভাবে ওই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে তা এখনও পরিষ্কার হয়নি কিন্তু এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত ছিল প্রাথমিকভাবে এমন কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি।

ডেনমার্কের একটি সংবাদপত্র নবীকে (সাঃ) নিয়ে কার্টুন প্রকাশ করার পরের বছর ২০০৭ সালে ভিকসের বিতর্কিত ওই ব্যাঙ্গচিত্রটি প্রকাশিত হয়েছিল। নবীর কোনো ধরনের ছবি প্রকাশ করা গর্হিত বলে বিবেচনা করেন ইসলাম ধর্মের অনুসারিরা।

ভিকসের ওই ব্যাঙ্গচিত্রের প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। এতে সুইডেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ফ্রিয়াদ্রিক রাইয়েনফেল্ডট পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে ২২টি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।

এর কিছুদিনের মধ্যেই ইরাকের আল কায়েদা ভিকসকে হত্যার জন্য এক লাখ ডলার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছিল।
২০১৫ সাল ভিকস কোপেনহেগেনে বাক স্বাধীনতা নিয়ে আয়োজিত এক বিতর্ক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন, তখন সেখানে বন্দুক হামলা হয়েছিল। ওই হামলায় একজন চলচ্চিত্র পরিচালক নিহত হন। কিন্তু হামলার উদ্দেশ্য সম্ভবত তিনিই ছিলেন বলে মন্তব্য করেছিলেন ভিকস।