গোসাইরহাটে ম্যানেজিং কমিটির হাতে জিম্মি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নিয়োগ নিয়ে কোর্টে মামলা।

নিউজ২৪লাইন:
শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি এনায়েত করিম মিলুর বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা চলমান থাকার পরে ও উক্ত মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবুল হাসনাতকে বেতন ভাতা বন্ধ করার ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে একজন সহ-সুপার, একজন নিরাপত্তা কর্মী,একজন আয়া নিয়োগ দেওয়ার প্রচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, নাগেরপাড়া আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য দৈনিক সমকাল ও দৈনিক হুংকার পত্রিকায় গত ১৭/০৮/২১ একজন সহ সুপার, একজন নিরাপত্তা কর্মী,একজন আয়া নিয়োগ দেওয়া হবে মর্মে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়। উক্ত বিজ্ঞপ্তি বহুলভাবে প্রচারিত হয়নি মর্মে অভিভাবক সদস্য ফারুক হাওলাদার শরীয়তপুর সহকারী জজ কোর্টে একটি মামলা করেন যাহার নাম্বার ২৪০/২০২১। উক্ত মোকদ্দমার বাদীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়।২৪০/২০২১ মামলাটি প্রত্যাহার হওয়ার পর আবার অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য পায়তারা করলে উক্ত মাদ্রাসার একজন শিক্ষার্থীর বাবা জামাল বেপারী গত ২৭/০৯/২০২১ তারিখে মামলা করেন যাহার নাম্বার ২৭২/২০২১. সরজমিনে গিয়ে জানাযায় গত ৪ তারিখে উক্ত মাদ্রাসার সভাপতি এনায়েত করিম মিলু উক্ত মাদ্রাসার সুপারকে দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য ডিজি বরাবর একজন প্রতিনিধি চেয়ে মিটিং ডাকেন কিন্তু উক্ত মিটিংয়ে কমিটির ১০ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ৬ ছয় জন উপস্থিত ছিলেন।

নাগেরপাড়া আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এনায়েত করিম মিলু বলেন, আমরা কোর্টের কোন কাগজ পাইনি পেলে মিটিং করতাম না।এখন ব্যস্ত আছি পরে কথা বলবো

নাগেরপাড়া আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবুল হাসনাত বলেন,আমি মিটিং ডাকতে চাইনি, সভাপতি সাহেব আমাদের বেতন ভাতা বন্ধ করে দিবে, কোন স্বাক্ষর দিবেনা বলে হুমকি দেয়, কিন্তু কোর্টে একটা মামলা করেছিল ফারুক হাওলাদার, সেটা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাদী।এখন একটা মামলা হয়েছে সেটার সমনের কাগজ পেয়েছি।

গোসাইরহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন,নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষমতা ম্যানেজিং কমিটির কাছে দেওয়া হয়েছে, তবে কমিটি ডিজি বরাবর প্রতিনিধি চেয়ে যে মিটিং করেছে সেখানে এই মর্মে লিখিত দিতে হবে যে এই নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে কোর্টে মামলা নাই, যদি মামলা থাকে তাহলে কোন প্রতিনিধি দেওয়া হবে না। ম্যানেজিং কমিটি যদি শিক্ষকদের হুমকি দিয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এব্যাপারে গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কিছুই জানেন না,উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার কে জিগ্যেস করতে বলেন,

মাত্র সাত শতক জমির জন্য নিজের মেয়েকে হত্যা করে ভাতিজাদের নামে মামলা

নিউজ ২৪লাইন:

নিজ মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা
খুনি মামলার বাদী, সহযোগীরা সাক্ষী

খুনি মামলার বাদী, সহযোগীরা সাক্ষী
ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ
মাত্র সাত শতক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজাদের ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করলেন এক বাবা।

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের বসন্তপুর এলাকায় পাষণ্ড বাবার লোভের বলি হন মাদ্রাসা ছাত্রী সালমা আক্তার (১৪)।

অথচ পাষণ্ড বাবা সোলেমান মেয়ের হত্যার দায় চাপিয়েছেন নিজ ভাইয়ের ছেলেদের উপর। খুনি নিজেই বাদী হয়ে ভাতিজাদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) কুমিল্লা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানালেন এমনই তথ্য।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর জানান, বাড়ির ৭ শতক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজাদের ফাঁসাতে সোলেমান তার মেয়ে সালমা আক্তারকে গত ১অক্টোবর রাতে প্রথমে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে এলোপাতাড়ি গলা, পেট, কাঁধ ও পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়, মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর সালমাকে পাশের পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের সময় সোলেমান নিজেও অস্ত্র দিয়ে মেয়েকে আঘাত করেন।

হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন সোলেমান নিজে, বন্ধু খলিল ও তার দুই ভাইসহ মোট সাতজন। শুধু তাই নয়, ঘটনাকে আরো বিশ্বাসযোগ্য করতে সালমা আক্তারের বাবা নিজের গলা কেটে ফেলেন।

তিনি জানান, জমি নিয়ে সোলামানের সাথে তার দুই ভাতিজা শাহজালাল ও মো. শাহ কামালের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলার বিচারও চলমান। কিন্তু মামলায় সুবিধা করতে না পারায় নিজে মেয়েকে হত্যা করে তাদের ফাঁসাতে সঙ্গীদের নিয়ে এমন নৃসংশ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ন করেন।

পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের ধরন, মামলার বিবরণ, সাক্ষ্য ও বাদীদের নানান বক্তব্য গরমিলে নিবিড় তদন্তে নামে পুলিশ। মামলার সাক্ষী সোলেমানের বন্ধু মো: খলিল ও আব্দুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়। তারা স্বীকার করেন জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজাদের ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে হত্যা করেন সোলেমান।

মামলার সাক্ষীদের বরাত দিয়ে জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, এছাড়াও সোলেমানের দুই ভাই লোকমান ও বাতেন, প্রতিবেশী আবুল হোসেন, মূল পরিকল্পনাকারী আবদুর রহমান, প্রতিবেশী শফিউল্লাহ ও সোলেমানের বন্ধু খলিল হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন।

পুলিশ আরও জানায়, হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মা ও অন্য সন্তানদের সামনে সালমাকে হত্যা করা যাবে না-এ চিন্তা থেকে কৌশলে স্ত্রী ও দুই ছেলে এবং অন্য মেয়েকে নিজের শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়ে দেন সোলেমান। সালমা রান্নাবান্না করবে এমন কারণ দেখিয়ে তাকে বাড়িতেই রেখে দেওয়া হয়। আবদুর রহমানের পরিকল্পনায় ঘটনার রাতের কোনো এক সময় বাড়িতে প্রবেশ করেন সোলেমানসহ অন্য খুনিরা।

হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা আবদুর রহমান ও সোলেমানের বন্ধু খলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসমিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানায় পুলিশ।

যুবলীগ বিশ্বের কাছে মানবিক যুবলীগে পরিনত হয়েছে, ডাঃ খালেদ শওকত

নিউজ২৪লাইন:

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডাঃ খালেদ শওকত আলী বলেছেন, আপনাদের একটি ভুল শেখ হাসিনার অনেক বড় ক্ষতি করে দিতে পারে তাই মনে রাখবেন যুবলীগের ভুল করার কোনো সুযোগ নেই। আপনারা দেখুন আমাদের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এরদিকে তিনি একজন সততার প্রতীক, নিষ্ঠা প্রতীক, ত্যাগের প্রতীক। আমাদের লাল-সবুজের প্রতীক যদি শেখ মুজিবুর রহমান হয়, আমাদের উন্নয়নের প্রতীক যদি শেখ হাসিনা হয়, তাহলে আমাদের যুব সমাজের উন্নয়নের প্রতীক হবে শেখ ফজলে শামস পরশ। যখন বঙ্গবন্ধু মারা গিয়েছিল তখন অনেকেই প্রশ্ন করেছিল এখন বঙ্গবন্ধু হবে কে কিন্তু শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছে সে বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরী সপ আজকে বিশ্বের একজন নেত্রী ‌।

আজ বাংলাদেশের যুবসমাজ তাকিয়ে আছে আমাদের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হাসান খান নিখিলের দিকে। কারন আজ তাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বিশ্বের কাছে একটি মানবিক যুবলীগের পরিনত হয়েছে। মঙ্গলবার ৫ অক্টোবর দুপুরে শরীয়তপুর জেলা যুবলীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডাঃ খালেদ শওকত আলী একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আপনাদের দায়বদ্ধতা শেখ হাসিনার কাছে,আপনাদের দায়বদ্ধতা আমার বিধবা খালার কাছে যে বিধবা খালা শেখ হাসিনার কারণে বিধবা ভাতা পায়, আপনাদের দায়বদ্ধতা আমার মুক্তিযোদ্ধা চাচার কাছে যে মুক্তিযোদ্ধা চাচারা শেখ হাসিনার কারণে ৩০ হাজার টাকা করে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পায়, আপনাদের দায়বদ্ধতা আমাদের গার্মেন্টসে কাজ করা ভাই-বোনদের কাছে যারা শেখ হাসিনার জন্য মাসে ১০০০০ টাকা করে বেতন পায়,আপনাদের দায়বদ্ধতা সেই ছোট্ট শিশুটির উপরে যে পহেলা জানুয়ারিতে নতুন বই পায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মানবতার নেত্রী, জননেত্রী, মাদার অফ হিউম্যানিটি শেখ হাসিনা কারণে।

শরীয়তপুর পৌরসভা সুপার মার্কেট মাঠে জেলা যুবলীগের সভাপতি এম,এম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ হেলাল উদ্দিন, ঢাকা বিভাগীয় দক্ষিণের দায়িত্ব প্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল,মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মুক্তা আক্তার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান আজম, শরীয়তপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুহুন মাদবর প্রমুখ।

রাঙামাটিতে অস্ত্রগুলিসহ উপজাতীয় ৫ সন্ত্রাসী আটক

নিউজ২৪লাইন:, রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটির বরকলের ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থানকৃত উপজাতীয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাড়াঁশি অভিযান পরিচালনা করছে বিজিবি ও পুলিশের সমন্বয়ে যৌথবাহিনী।

মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত চলমান এই যৌথ অভিযানে ৮টি অস্ত্র, ভারতের তৈরি ২০ রাউন্ড তাজা কার্তুজসহ ৫ জন উপজাতীয় সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে বলে বরকল বিজিবি ও পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাগণ নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশের একজন সার্কেল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত অভিযান চলমান রয়েছে এবং বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ ঘটনার পুরো তথ্যাবলি নিশ্চিত করা যাবে।

নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্রে জানাগেছে, মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উপজাতীয় পাঁচ সন্ত্রাসীকে আটক করে যৌথবাহিনী। আটককৃতরা হলো: থানচুয়াল পাংকুয়া (১৬), অংপুইয়া পাংকুয়া (৩৮), আদি পাংকুয়া (১৬), লাললম সাং পাংকুয়া (২৫), এলবিট পাংকুয়া (২০)।

আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের তথ্য যৌথবাহিনীর কাছে স্বীকার করে এবং বিপুল পরিমান অস্ত্র-শস্ত্র মজুদ করার তথ্য প্রদান করে। পরবর্তীতে বুধবার সারাদিন যৌথবাহিনীর সদস্যরা আটককৃতদের সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করতে থাকে।
অভিযান চলাকালীন সময়ে আটককৃত সন্ত্রাসীদের দেখানো তথ্যানুসারে গোপন আস্তানার স্থানগুলোতে যৌথবাহিনী তল্লাশি চালিয়ে ৮টি অস্ত্র উদ্ধার করে। সন্ত্রাসীরা দাবি করে ৮টি অস্ত্রের মধ্যে ৪টি অস্ত্র বৈধ লাইসেন্সকৃত আর বাকি ৪টি অস্ত্র অবৈধ।

এদিকে বরকলের বড় হরিণা বিওপি হতে ১০০ গজ পশ্চিমে কর্ণফুলি নদীর চেক পোস্টে একটি নৌকায় তল্লাশী চালিয়ে ভারতের তৈরি শটগানের ২০ রাউন্ড কার্তুজ , পয়েন্ট ২২ বোরের খালি খোসা ১০ টি, পটাসিয়াম ০১ প্যাকেট, টেস্টিং সল্ট ০৩ প্যাকেট, মোবাইল ০৪ টি, নেপালের বুট ডিএমএস ০২ জোড়া উদ্ধার করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

এদিকে বরকল বিজিবি ও পুলিশের পৃথক দুইজন উদ্বর্তন কর্মকর্তা উপরোক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আমরা অভিযান এখনো পর্যন্ত চালিয়ে যাচ্ছি অভিযান শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।

একদিন ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে বিল অর্ধেক

নিউজ২৪লাইন:- ট্যারিফ অপরিবর্তিত রেখে কেবল গ্রেড অব সার্ভিস এবং এর শর্ত সংশোধন করে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে আইএসপির মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবায় সংযোগ বিচ্ছিন্নতার ক্ষেত্রে কয়েকগুণ মাশুল গুণতে হবে।

বুধবার (৬ অক্টোবর) বিটিআরসি এ নির্দেশনা সব আইএসপি, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইএসপিএবি, আইআইজিএবি ও এনটিটিএনকে পাঠিয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, সব ধরনের আইএসপির ক্ষেত্রে এক দিন অব্যাহতভাবে ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে মোট বিলের ৫০ শতাংশ মাসিক বিল (পূর্বের নির্দেশনায় সাত দিন ছিল), দুই দিন অব্যাহতভাবে ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে মোট বিলের ২৫ শতাংশ মাসিক বিল (পূর্বের নির্দেশনায় ১৪ দিন ছিল) এবং তিন দিন অব্যাহতভাবে (পূর্বের নির্দেশনায় ২০ দিন ছিল) ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে ওই মাসে কোনো মাসিক বিল গ্রাহকের কাছ থেকে নেয়া যাবে না।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, গ্রাহক সেবা ও সেবার মান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পেনাল্টি শর্তসহ কোয়ালিটি অব সার্ভিস অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্সকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি সেবার মানদণ্ড নির্ধারণে বর্ণিত গ্রেড এ, বি এবং সি অনুযায়ী গ্রেড অব সার্ভিস বজায় রাখতে প্রতিটি আইএসপি বাধ্য থাকবে।

এতে আরও বলা হয়, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮-এর প্রতিশ্রুত ‘ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যবহারের মূল্য যুক্তিগঙ্গত পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে’- বাস্তবায়নের জন্য একটি বাস্তবসম্মত এবং গ্রাহক বান্ধব ইন্টারনেট ট্যারিফ প্রণয়নে সারাদেশের জন্য ‘এক দেশ, এক রেট’ ট্যারিফ জারি করা হয়। ট্যারিফের সঙ্গে গ্রাহক সেবা ও সেবার মান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় জরিমানা শর্তসহ কোয়ালিটি অব সার্ভিস অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্সকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি সেবার মানদণ্ড নির্ধারণে গ্রেড অব সার্ভিস তৈরি করা হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, ট্যারিফের বাইরে অনুমোদন ছাড়া কোনো সেবা পরিচালনা করলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এতে আরও বলা হয়, গ্রাহক অভিযোগ (টিকেটিং নাম্বারসহ) দ্রুততার সঙ্গে সমাধান করতে হবে। গ্রাহক কোনো অভিযোগ জানালে বিটিআরসি প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া অভিযোগ ও অভিযোগ সমাধানের তথ্য কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।

এদিকে নতুন এই নির্দেশনা জারির বিষয়ে ইন্টারনেট সেবাদানকারীদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি এবং বাংলাদেশের বিদ্যমান অবকাঠামোগত অবস্থায় মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) মহাসচিব ইমদাদুল হক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামো অনুসরণ করা সম্ভব না। এটা করা হয়েছে অ্যামেরিকান মান অনুযায়ী। কারণ সেখানে এক পক্ষ ট্রান্সমিশন দেয়, আরেক পক্ষ সার্ভিস দেয়। আর আমাদের এখানে সবাই ট্রান্সমিশন ও সার্ভিস দেয়।

তিনি বলেন, আমাদের এখানে সিটি করপোরেশনের কাজের সময় লাইন কেটে যায়। প্রতিনিয়ত এটা হচ্ছে। লাইন কেটে গেলে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে। সেক্ষেত্রে এই দায় কেন আমাদের ওপর চাপানো হচ্ছে?

তিনি আরও বলেন, সরকার আমাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এটা করেনি। আমাদের এখানে প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতা হয়। আজ খারাপ সেবা দিলে কাল অন্যজন কানেকশন দেয়।