দুর্যোগ কবলিত উপকূলের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবী

বিশেষ প্রতিবেদক:

দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলের জন্য ন্যায্য ক্ষতিপূরণ আদায়ে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৬) কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ আন্দোলন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।নাগরিক সংগঠন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন এবং বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স ও ফেইথ ইন একশন আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে তারা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করে উপকূলের জীবন-জীবিকা রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন ও  সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র। সমাবেশে বক্তৃতা করেন উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের আমিনুর রসুল বাবুল, নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র মিহির বিশ্বাস, স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, ফেইথ ইন একশনের নির্বাহী পরিচালক নৃপেন বৈদ্য, সমাজ কল্যাণ উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা, সচেতন সংস্থার সাকিলা পারভীন, সাংবাদিক গাজী শাহনেওয়াজ, শহীদ আলীম সাহিত্য সংসদের সানজিদুল ইসলাম প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আগামী নভেম্বরে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বার্ষিক তহবিল বাড়ানোর দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। প্রতিবছর বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ নির্মাণ এবং উপকূলের মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আগামীতে পদক্ষেপ নিতে হবে।সরকারের প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা মানুষের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে।সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বয় এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বানও জানান তারা।

সমাবেশে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি উপকূলজুড়ে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানানো হয়।বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অভিযোজন প্রক্রিয়া বাড়াতে হবে। সুপেয় পানির স্থায়ী সমাধান করতে হবে। এ জন্য বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ বুঝিয়ে দিতে হবে।এই ক্ষতিপূরণ আদায়ে সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের যথাযথ ভূমিকা তারা প্রত্যাশা করেন।

 

সমাবেশে উত্থাপিত দাবিনামায় বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ পুন:নির্মাণ করতে হবে। পর্যাপ্ত সাইক্লোন সেন্টারসহ প্রতিরোধক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে জরুরী তহবিল গঠন ও বাঁধ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করতে হবে। উপকূলীয় সকল মানুষের খাবার পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধান করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশ্ব জলবায়ু তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থ যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে বছরব্যাপী বিভিন্ন প্রচারণামূলক কার্যক্রম শুরু করতে হবে। ঝড়-ঝঞ্ঝা ও ভূমিক্ষয় রোধে উপকূলে ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি গ্রহণ এবং সবুজবেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। একইসঙ্গে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

স্পেন-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি এইচ এম রাসেল হাওলাদারকে ইতালিতে সংবর্ধনা

নিউজ২৪লাইন ডেস্ক :
স্পেন বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি এইচ এম রাসেল হাওলাদারের ইতালিতে সংবর্ধনা প্রদান করেন ভেনিস বসবাসরত বাংলাদেশিরা। রোববার (২৪ অক্টোবর) ভেনিস শহরে স্থানীয় একটি হলরুমে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

ভেনিসের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাইখ আহমেদের সভাপতিত্বে ও কবি কাজী মাহফুজ রানার পরিচালনায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পেন-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি এইচ এম রাসেল হাওলাদার।

এসময় ভেনিসে বসবাসরত প্রবাসীরা তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এছাড়াও ইতালিস্থ চ্যানেল প্রবাহ তাঁকে গুণীজন সম্মাননা পদক প্রদান করে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ভেনিস বাংলা স্কুলের সভাপতি সৈয়দ কামরুল সারোয়ার, রফিক সৈয়াল, নরসিংদী ফাউন্ডেশনের বিল্লাল হাসাইন ,মোস্তাক আহমেদ, কিশোরগঞ্জ সমিতির সভাপতি মোবারক হোসেন, মোস্তফা সৈয়ল কালু, মোক্তার মোল্লা, মহিউদ্দিন মহি ঝন্টু, কবি মনির উদ্দিন, আব্দুল হাকিম, আবুল কালাম আজাদসহ ভেনিসে বসবাসরত আরও অনেক প্রবাসী।

বিএনপি আরো একটি ওয়ান ইলেভেনের স্বপ্নে বিভোর : সেতুমন্ত্রী

নিউজ২৪লাইন:  আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আরো একটি ওয়ান ইলেভেনের স্বপ্নে বিভোর।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায়, তবে তা ব্যালটের মাধ্যমে নয়, ভিন্ন কোনো অগণতান্ত্রিক এবং চোরাগলি পথে। বিএনপি আরো একটি ওয়ান ইলেভেনের স্বপ্নে বিভোর। এ দেশে আর এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে মনে হয় না।’

ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার সকালে সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

‘আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, মীমাংসিত ইস্যু নিয়ে একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের বক্তব্য আত্মঘাতী প্রবণতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে বিএনপি এখনো পুরনো ধুসর পথে হাঁটছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে সময় ও স্রোতের  মত নির্বাচনও বসে থাকবে না। নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হবে না, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। যারা গুজব ও অপপ্রচারকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে নিয়েছে তাদের চেহারা জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নিজেরাই নিজেদের ফাঁদে আটকা পড়েছে। তাইতো তারা এখন উভয় সংকটে, না পারছে আন্দোলন জমাতে, না পারছে নির্বাচনে যেতে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, প্রকৃত অর্থে বিএনপিই এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা এখন জনবিচ্ছিন্ন। তাই তারা নির্বাচনকে ভয় পায় এবং তাদের আন্দোলনের কথা শুনলে মানুষ হাসে।বিএনপি ষড়যন্ত্র ও গুজব নির্ভর, তাদের রাজপথে কোন অস্তিত্ব নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের অস্তিত্ব শুধু ফেসবুক আর অনলাইনে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তৃণমূল থেকে নাম প্রেরণের ক্ষেত্রে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে দলের পরিক্ষীত ও ত্যাগীদের নাম কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আপিল করার সুযোগ রয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে জমা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কিছু কিছু স্থানে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তৃণমূল একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে স্থানীয় সরকার পরিষদের মনোনয়নের জন্য প্রস্তাবিত প্রার্থীর তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ইউনিয়ন থেকে উপজেলা তারপর জেলা হয়ে কেন্দ্রে নামের সুপারিশ আসে।
ওবায়দুল কাদের জানান, এর আগে নাম তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কোনোরূপ স্বজনপ্রীতি ও লোভের বশবর্তী না হয়ে এবং প্রার্থী সম্পর্কে তথ্য গোপন না করে নাম প্রেরণের জন্য দলীয় ভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।