ভোটের কেন্দ্র দখল করতে গিয়ে অবরুদ্ধ ছাত্রলীগ সভাপতি

নিউজ২৪লাইন:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনে একটি কেন্দ্র দখল করতে গেলে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ ও তার সমর্থকদের। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ৬৯ নম্বর পশ্চিম মাসদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১২টার দিকে রিয়াদ শতাধিক লোকজন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে। ওই সময় তারা শাহজাহান মাতবরের পক্ষে স্লোগান দেন।

এখানকার বর্তমান মেম্বার জাকারিয়া জাকির অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের নেতা রিয়াদ লোকজন নিয়ে শাহজাহান মাতবরের পক্ষে সিল মারছে। এ নিয়ে সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। লোকজন ধাওয়া করলে রিয়াদ একটি কক্ষে অবস্থান করেন। একপর্যায়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগের লোকজন প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে পুলিশ গিয়ে বাধা দেয় ও ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। তখন রিয়াদকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে বেলা ১টায় সেখানে বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়। পরবর্তীতে বিজিবি ও র‍্যাব সদস্যা মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।

এদিকে ছাত্রলীগ নেতার অবরুদ্ধের খবর পেয়ে ভোট কেন্দ্রে ছুটে আসেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম। নির্বাচনের আইন অনুযায়ী ভোটের সময়ে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তিনি গাড়িযোগ বেলা সোয়া ১টা ৬৯ নম্বর পশ্চিম মাসদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হাজির হন।

ওই সময়ে তিনি কেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে প্রার্থী জাকারিয়া জাকিরকে হুমকি-ধামকি দিয়ে বলেন, ‘তোমাদের গ্যাঞ্জাম করতে বলেছে কে, কোনো ঝামেলা করবে না। ওই মিয়া তোমার এত সাহস কেন। খবরদার। কোন গণ্ডগোল হবে না। ভোটের মাধ্যমেই সব হবে।’

ওই সময়ে নিজামের পাশেই ছিলেন শাহজাহান মাতবর যার পক্ষে দুপুরে কেন্দ্রে গিয়ে অবরুদ্ধের শিকার হন মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে সিগারেট বিক্রি বন্ধের আইন কার্যকরের দাবি

নিউজ২৪লাইন, ঢাকা- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধের আইন কার্যকরের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

মানববন্ধনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের উপদেষ্টা আবু নাসের খান বলেন, সিগারেট একটি তামাকজাত দ্রব্য। এর কারণেই ক্যানসার বেশি হয়। বিভিন্ন কোম্পানি এ রোগের ওষুধ বিক্রি করছে। ওষুধ কোম্পানিগুলো বড় মুনাফা অর্জনকারী। এসব কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে তামাক কোম্পানিগুলো এক হয়ে চাইছে না তামাকজাত দ্রব্য বন্ধ হোক।

বক্তারা বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮ (১) এবং স্থানীয় সরকারের (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ তফসিল ১ ও ৫ অনুসারে, তামাকজাত দ্রব্য বিক্রেতাদের লাইসেন্সের আওতায় এনে বিক্রয় সীমিতকরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ গাইডলাইন বাতিলের জন্য তামাক কোম্পানিগুলো মরিয়া হয়ে উঠেছে। কারণ তাদের প্রধানতম টার্গেট শিশু-কিশোর-যুবক। এদের সিগারেটের নেশা ধরিয়ে দিতে পারলেই কোম্পানিগুলোর দীর্ঘমেয়াদী ভোক্তা তৈরি হয়ে যায়। এজন্য তামাক কোম্পানিগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশ-পাশে সিগারেট বিক্রির বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।

তারা আরও বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণের গাইডলাইন কার্যকর থাকলে তামাক কোম্পানিগুলোর প্রধান ভোক্তা তৈরি বাধাগ্রস্ত হবে। লাইসেন্স ব্যবস্থা কার্যকরের মাধ্যমে একটি এলাকায় তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়কেন্দ্র বর্তমানের তুলনায় অনেক বেশি সীমিত করা সম্ভব হবে। তামাক কোম্পানিগুলো নীতিনির্ধারকদের বিভিন্নভাবে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে, যা পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও তারা করে থাকে। এসব কোম্পানি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করছে প্রতিনিয়ত।

এ পরিস্থিতিতে বক্তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের পাশে তামাক বিক্রি বন্ধের দাবি জানান তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিল মাদক বিরোধী সংগঠন প্রত্যাশা, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট ও এইড ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা।