ইসলামী মাহাস, ‘আর.এস.ও.’ ও মুন্না গ্রুপের ত্রাসের রাজত্ব এখন ১৮নং রোহিঙ্গাক্যাম্পে

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন;

বা থেকে, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন আর.এস.ও’র নেতা রহমত উল্লাহ(ভুইশ্যা), সাহাব উদ্দিন, হাছু মিয়া          ——— ছবি- সংগৃহীত। 

বহুল আলোচিত মাস্টার মুহিবুল্লাহ নিহত হওয়ার পর মুহিবুল্লাহ্ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে আলিকিন সদস্যদের ব্যাপকভাবে ধরপাকড় শুরু হয়। একই সাথে বাড়ানো হয় নজরদারি। তবে এরই ফাঁকে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ছোট ছোট সংগঠনগুলো তাদের শক্তি বৃদ্ধি করতে শুরু করে। অত্যন্ত সুকৌশলে তারা বিভিন্ন ক্যাম্পে হেড মাঝি, ব্লকমাঝি, সাবব্লকের মাঝি থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব হাতিয়ে নেয়।

তারই মধ্যে উল্লেখ যোগ্য কয়েকটি নাম প্রতিবেদকের হাতে এসেছিল।

 

এদের মধ্যে রয়েছে,

ইসলামী মাহাসের নেতা ১৮নং ক্যাম্পের মৌলভী রফিক কমান্ডার, পিতা- নুরুল ইসলাম, মৌলভী দিল মোহাম্মদ(প্রকাশ-হালিম সাহেব), কাদের, পিতা- গুরা মিয়া, হারুন, পিতা – গুরা মিয়া, সাহাব উদ্দিন, পিতা- ছিদ্দিক আহমদ, নাইম উদ্দিন, পিতা- ছিদ্দিক আহমদ, রহমত উল্লাহ, পিতা- নুর জামান।

 

রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আর.এস.ও.) লিডারদের মধ্যে ১২নং ক্যাম্পে জি-৯ এ আবদুল্লাহ, পিতা- আলী যোহর , ১২নং ক্যাম্পে এইচ-৬ এ খুর্শেদ,  ১৯ নং ক্যাম্পে মাহবুবুর রহমান, দিনে সেনাবাহিনীর ভলান্টিয়ার রাতে আরএসও’র হয়ে ক্যাম্প ১১তে কাজ করে মোঃ আল আমিন, তার অবস্থান এ-৩ তে। ১১ নং ক্যাম্পের হেড মাঝি সাব্বির’ও আরএসও’র সদস্য বলে যানা গেছে। ১১ নং ক্যাম্পে এ-৩ এর নুরুল ইসলাম, পিতা- হামিদ হোছন, ১ নং ক্যাম্পে ই-৭ এর সাহাব মিয়া পিতা- আবদু ছালামও আরএসও’র নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে যানা গেছে।

মুন্না গ্রুপের নেতা মুন্না

আর রেজিস্টার্ড ক্যাম্পে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতেছে মুন্না গ্রুপের প্রধান মুন্না ও সহযোগীরা।

 

ক্যাম্পের সাধারণ রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, আলিকিন দমনের পর তারা কিছুদিন শান্তিতে থাকতে পারলেও নতুন করে গড়ে উঠেছে কিছু বাহিনি। তারা রাতে টহলের নামে বিভিন্ন পরিবার থেকে সুন্দরী মেয়েদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করতেছে। ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়ে যুবকদের ধরে নিয়ে ব্যাপকভাবে মারধর করে, পরে কিছু মাদক বা অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী বা মাদক ব্যাবসায়ী সাজিয়ে প্রশাসনের হাতে তুলে দিচ্ছে। অনেককে আবার ধরে নিয়ে যাওয়ার পর আর কোন খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছে না অভিযোগ করেছেন তারা।

 

সাধারণ রোহিঙ্গাদের দাবি, ইসলামি মাহাসের নেতারা ক্যাম্প প্রশাসনের চোখে ভালো সেজে সাধারণ রোহিঙ্গাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালাচ্ছে। তারা ক্যাম্পে মসজিদ ও মাদ্রাসাকে ব্যবহার করে অপরাধগুলো সংঘটিত করছে। ক্যাম্প ইনচার্জের চারিপাশে ইসলামি মাহাস ও আরএসও’র নেতাদের অবস্থান বিধায় সাধারণ রোহিঙ্গারা ক্যাম্প প্রশাসনকে অভিযোগ দেওয়ার সাহস পাচ্ছে না। তারপরও যারা দুঃসাহস দেখিয়ে অভিযোগ করে তাদেরকে প্রথমে বাড়িতে গিয়ে হুশিয়ারী পরে নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়।

 

সাধারণ রোহিঙ্গারা এই ধর্মীয় লেবাসধারী সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে মুক্তি পেতে ক্যাম্প ইনচার্জ ও ক্যাম্প প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন।

’অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে এক প্রবাসীর স্ত্রীর গলায় জুতার মালা পরিয়ে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্যের

নিউজ২৪লাইন:

বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের সিংগাতী গ্রামে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে এক প্রবাসীর স্ত্রীর গলায় জুতার মালা পরিয়ে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্যের নামে। ঘটনাটি শোনার পরে বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মোল্লাহাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিন্দ্য মন্ডল ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুনিয়া আক্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তখন ওই নারীর সাক্ষাৎ পাননি এই কর্মকর্তাগণ। কেননা, বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা নাগাত নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি সবার নজরে আসে।

 

এ ঘটনার পর থেকে লজ্জায় গা ঢাকা দিয়েছেন ওই নারী ও তার পরিবারের সদস্যরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নারীর এক প্রতিবেশী বলেন, সকাল বেলা চুনখোলা ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য কাউছার চৌধুরীসহ বেশকিছু লোক এসে প্রবাসীর স্ত্রীর গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয়। তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে তারা মারধরও করে প্রবাসীর স্ত্রীকে। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন মুঠোফোনে এই নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে। ভিডিওতে তো আপনাকেই ওই নারীকে পেটাতে দেখা যায় এমন প্রশ্নে ইউপি সদস্য কাউছার চৌধুরী বলেন, আমি পিটাইনি। স্থানীয়রা পিটিয়েছেন। ইউপি সদস্য কাওসার চৌধুরী বলেন, ওই নারীর দীর্ঘদিন ধরে একাধিক মানুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক করে আসছিল।

 

সোমবার রাতে তার প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা এক লোকের সঙ্গে অসামাজিক অবস্থায় হাতে-নাতে ধরে ফেলে ওই নারীকে। স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে আমি ওই এলাকায় যাই। এলাকাবাসীই ওই নারীকে পিটিয়েছে। আমি পিটাইনি। মোল্লাহাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিন্দ্য মন্ডল ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুনিয়া আক্তার এসেছিলেন। আমাকে এ ধরণের কাজ করতে নিষেধ করে গেছেন। এ বিষয়ে মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদ হোসেন বলেন, বিষয়টি শোনার পরই পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিন্দ্য মন্ডল ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুনিয়া আক্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। তবে ওই নারীকে তারা খুঁজে পায়নি। ওই নারীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এলাকায় থমথমে বিরাজ করছে নানা মহল থেকে নিন্দার ঝড় উঠেছে

 

 

নরসিংদীতে খোরশেদ মিয়ার জমিতে সরিষার বাম্পার ফলন

 

নিউজ২৪লাইন:
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের চরমরজাল এলাকার খোরশেদ মিয়ার জমিতে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে এখন হলুদের ঢেউ। চারদিকে তাকালে শুধু হলুদ রংয়ের সমারহ দেখা যায়। এ যেন এক অপরূপ সৌন্দর্যের আধার। সরিষার এই ফলনে কৃষকের চোখেমুখে আনন্দের আভা ফুটে উঠেছে।
এদিকে বিভিন্ন চাষিসহ খোরশেদ মিয়া সংবাদ কর্মী রদ্রকে বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। ফসল ভালো হলেও এই সরিষার প্রতি দিন দিন মানুষের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। তবে বাপ দাদাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা এখনো খেঁটে সরিষা চাষ করি।
কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনুকূল আবহাওয়া আর যথাযথ পরিচর্চার কারণে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঘ মাসের শেষ দিকে ও ফাল্গুনের শুরুতে ক্ষেত থেকে সরিষা তোলা শুর হবে।
অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষার উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এবং গত কয়েক বছর ধরে বাজারে সরিষার ভালো দাম থাকায় চাষিরা দিন দিন সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৬টি উপজেলায় এবছর সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা পরিলক্ষিত হয়। আশা করা যাচ্ছে, এবার সরিষার উৎপাদনও বাড়বে।’
জেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘অনুকূল আবাহাওয়া ও নিবিড় পরিচর্যার কারণে এ জেলার কৃষকেরা সরিষার ভালো ফলন পেয়েছেন। জেলায় প্রতিবছরই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হচ্ছে। বাজারে সরিষার দাম বেশি থাকায় এবং ফল ভালো হওয়ায় কৃষকেরা সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়ছে।

জমে উঠেছে ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রথীদের প্রচার প্রচারণা

নিউজ২৪লাইন:

শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬নংওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থীদের প্রচারণায় জমে উঠেছে ৬নংওর্য়ডের দুইটিগ্রাম, ২ইটি গ্রাম নিয়ে একটি ওর্য়াড গ্রাম দুটি হলো -দামগাড়িয়া ও নাজিমপুর,৬নংওর্য়াডে এই ওর্য়াডে ২টি স্কুল ২টি বাজার
১/ ভেনপা নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ২/২৫নং নাজিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩/ভেনপা বাজার ৪/ আনন্দবাজার ৫/ মাদ্রাসা ও অসংখ্য মসজিদ আছে। ৬নংওর্য়াডে মেম্বার প্রথী মোট চারজন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে দুইজন, মোট ভোটার সংখ্যা ১৪৯০।

১/ মেম্বার প্রথী মোঃ শাজাহান কাজী,সাবেক দুইবারের মেম্বার অত্যন্ত সাদা সিধে সবসময় মুখে হাসি ছোট-বড় যাকেই দেখেন তাকেই একটি সালাম দেয়, মেম্বার থাকা কিলি সময় সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছিলেন বর্তমানে তার মার্কা ফুটবল।

২/ মেম্বার প্রথী মোঃ লীল চান কাজী, বতর্মানে রানিং মেম্বার হাসি খুশি মানুষ সুনাম ও ভালো বতর্মানে তালা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করছেন।

৩/মেম্বার প্রথী মোঃ বিল্লাল হোসেন বেপারী, ৭১ সালের রণাঙ্গনের বীর সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ ব্যাপারীর বড়ো ছেলে, বাংলাদেশ আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমিটির শরীয়তপুর জেলার অন্য তম সদস্য ভদ্র ও নম্ম সভাবের ব্যবসায়ী সবসময় হাসি খুশি সভাবের ও নামাজী, প্রথম বার নির্বাচনে মার্কা মোরগ।

৪/ মেম্বার প্রথী মোঃ আবুল হোসেন,ছাএ জীবন থেকেই ছোট বড়ো সামাজিক কাজের সাথে জরিত তরুণ সমাজ সেবক হিসেবে সমাজে পরিচিত শিক্ষিত তরুণ প্রথম বারের মতো মার্কা আপেল।

 

এলাকার ভোটার দের মাঝে উৎসাহ উৎকণ্ঠা দেখা গেছে    যোগ্য প্রার্থী যাচাইয়ের  সচেতন হবে বলে মনে হচ্ছে।

জনপ্রিয় চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন পরিষদের আলহাজ্ব মোঃ আনোয়ার হোসাইন খান এর মনোনয়ন পত্র দাখিল

নিউজ২৪লাইন:
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক প্রচার সম্পাদক, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সম্মানিত সদস্য, শরীয়তপুরে নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন পরিষদ এর বারবার নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান সম্মাননা পদকপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আনোয়ার হোসাইন খান আসন্ন ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চতুর্থবারের মত চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের লক্ষে মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেন ডিঙ্গামানিক ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ আনোয়ার হোসাইন খান

বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান দীর্ঘ দিন ধরে
ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন এর বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি ঘুরে সাধারণ জনগণ এর খোজখবর নিচ্ছেন এবং জনগণ এর সেবায় দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি সকলের দোয়া প্রার্থী, সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন তিনি পুনরায় ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আজীবন ডিঙ্গামানিক বাসীর সেবায় নিয়োজিত থাকতে পারেন।

এসময় আলহাজ্ব মোঃ আনোয়ার হোসাইন খান বলেন,
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর রহমত ও আপনাদের দোয়ায় মনোনয়ন পত্র দাখিল করলাম। আপনাদের সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি। ইনশাআল্লাহ পূনরায় আপনাদের পাশে থাকার সুযোগ দিলে ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।

সাধারণ ভোটার দের সাথে আলাপ কালে ভোটার রা বলেন আনোয়ার হোসেন চেয়ারম্যান অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ সে যতোদিন জাবত এই ইউনিয়ননে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের দুংখ কস্ট মিটে গেছে এখন আর কোন গরিবের মেয়ে ছেলের বিয়ে দেবার জন্য কারো কাছে যেতে হয়না চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে গেলে সমস্যা মিটে যায় সুধু তাইনা সে ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষের খোঁজ খবর সবসময় রাখেন
তাই এবার ও আমারা তাকেই ভোট দেবো।

শরীয়তপুরে নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে সমন্বয় সভা

নিউজ২৪লাইন:
বিশেষ প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুরে নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকাল ৪টায় জেলা শহরের নুর হোটেল সংলগ্ন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) জেলা কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অভিবাসী তথ্য কেন্দ্র (এমআরসি) বাংলাদেশের সহযোগিতায় শরীয়তপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এ সভার আয়োজন করে।

সভায় এমআরসি বাংলাদেশের প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফা ও ইকবাল হোসেন বক্তব্য রাখেন। তারা তাদের বক্তব্যে নিরাপদ অভিবাসনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। নিরাপদ অভিবাসনের বিভিন্ন আইন, বিধি ও নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করেন এবং বৈধ অভিবাসনে চুক্তিপত্রের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছাড়া মানব পাচার, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং অভিবাসনের নানা দিক সহ, অভিবাসী তথ্য কেন্দ্র বাংলাদেশের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কার্যাবলিসমূহ তুলে ধরেন।
তারা বলেন, জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে নিরাপদ অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক।

তারা জানান, নিরাপদ, শৃঙ্খল এবং নিয়মিত অভিবাসন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অভিবাসী তথ্য কেন্দ্র বাংলাদেশ (এমআরসি) ইতিমধ্যে শরীয়তপুর কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)-কে ফিঙ্গার ইম্প্রেশন মেশিন ও ল্যাপটপ প্রদান করেছে। যার মাধ্যমে শরীয়তপুর প্রবাস প্রত্যাশীদের দীর্ঘদিনের কষ্টের লাঘব হয়েছে । অথচ এই ফিঙ্গার ইম্প্রেশন বা আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার জন্য শরীয়তপুরবাসীকে যেতে হতো গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর বা ঢাকায়।

এছাড়াও নিারাপদ অভিবাসনের তথ্য সাধারণ জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এমআরসি শরীয়তপুর কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)-কে সাথে নিয়ে গত ৫ থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্তু বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে প্রাক-বহি:গমন প্রশিক্ষণ পরিচালনা, অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রের সেবা, যোগাযোগের উপায়, উঠান বৈঠক, বেসরকারী প্রশিক্ষন্দ্রের শিক্ষার্থীদের সাথে অভিবাসন বিষয়ক আলোচনা, তথ্য প্রদান ইত্যাদি । ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এই সকল কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন সচেতনামূলক সভা, আলোচনা অনুষ্ঠান এবং মতবিনিময় সভায় নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে মৌলিক তথ্য প্রদান, অভিবাসন আইন, অভিবাসন বিষয়ে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের ভুমিকা, দায়িত্ব-কর্তব্য, বিশেষ করে শ্রম অভিবাসন, নৈতিক এবং নিরাপদ নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং আরও অনেক বিষয়ে তাদের জ্ঞান ও বোঝার উপলব্ধি প্রসারিত করা।
এমআরসি বাংলাদেশ এসডিএস-এর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রায় ১০০ জন প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে নিরাপদ অভিবাসন কি, নিরাপদ অভিবাসনের ধাপ, পদ্ধতি ইত্যাদি নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে । এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, বোয়েসেল, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে অবস্থিত শ্রম কল্যাণ উয়িং এবং বায়রার কার্যক্রম নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।

এছাড়া এমআরসি বাংলাদেশ টিটিসি সাথে নিয়ে চররোসুন্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৫০ জন মহিলা ও পুরুষ নিয়ে নারী অভিবাসন নিয়ে একটি উঠান বৈঠকের আয়োজন করে। যেখানে নারী অভিবাসনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং নিরাপদ নারী অভিবাসনে করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই প্রোগ্রামগুলোর লক্ষ্য হলো সরকারী কর্মসূচীতে স্থানীয় প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা। বিশেষ করে নিরাপদ অভিবাসনে বিশ্বস্ত এজেন্সীর মাধ্যমে এলাকার মানুষের সচেতনতা বাড়াতে তাদের ভুমিকা ও করণীয় চিহ্নিত করা।

ওই অনুষ্ঠানে শরীয়তপুর কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) অধ্যক্ষ এস.এম জাহাঙ্গীর আকতার উপস্থিত ছিলেন।তিনি এসআরসি বাংলাদেশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, দক্ষ হয়ে বিদেশে গেলে অর্থ ও সম্মান দুই’ই পাওয়া যায়। সকলকে তিনি দক্ষ হয়ে বিদেশে যাওয়ার আহবান জানান। তিনি আরও বলেন, এই ধরণের তথ্য প্রচার ও প্রসারে সব সময় নিরাপদ অভিবাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি বলেন, শরীয়তপুর থেকে প্রচুর লোক বিদেশে যায়। আমরা তাদের কাছে অভিবাসনের এসব তথ্য তুলে ধরবো। এছাড়াও আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেই। সুতরাং, আমরা সকলে নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও বৈধ অভিবাসনের এসকল তথ্য বিভিন্নভাবে প্রচার করবো।