ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে “স্কাস” এর পোল্ট্রিফার্ম উদ্বোধন

 

আনোয়ার সিকদার, কক্সবাজার;

সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) -এর উদ্যোগে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে কক্সবাজার থেকে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের জন্য স্কাস চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমার নিজস্ব তহবিল থেকে পরিচালিত জীবিকায়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে পোল্ট্রিফার্মের উদ্বোধন করা হয়েছে।

 

রবিবার (২জানুয়ারি) বিকেলে  নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) এর উদ্যোগে- এ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত।

এসময় তিনি বলেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের শুরু থেকেই সরকারের সহযোগী পার্টনার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। স্কাসের চলমান কার্যক্রম নিয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং

কক্সবাজার থেকে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করার জন্য স্কাসকে ধন্যবাদ দেন। এর আগে প্রধান অতিথি শাহ রেজওয়ান হায়াত ফিতা ও কেক কেটে পোল্ট্রিফার্মের উদ্বোধন করেন।

পরে স্কাসের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা মুসল্লীদের জন্য পবিত্র কোরআন শরিফ, তাজবিহ, টুপি ও জায়নামাজ বিতরণ করেন তিনি।

পোল্ট্রিফার্ম উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন, ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩ এর সহকারি পরিচালক কমান্ডার আনোয়ারুল কবির, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, লেফটেন্যান্ট আব্দুর রশিদ, ভাসানচরের ক্যাম্প ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম, সহকারি ক্যাম্প ইনচার্জ রায়হান আলী, স্কাসের চিফ অ্যাকাউন্টেন্ট মোহাম্মদ রাশেদুল রহমান শেখ ও স্কাসের হেড অব ইন্সপেক্টর  এস এম মামুন।

তাছাড়াও রোহিঙ্গাদের জন্য নব নির্মিত পোল্ট্রিফার্মে গত শনিবার দুপুরে সংস্থার পক্ষ থেকে খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

 

উল্লেখ্য ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের শুরু থেকেই স্কাস চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে।

সাদ্দাম কন্যা রাঘাদ সাদ্দাম” ইরাকিদের ঐক্যবদ্ধ হতে বলেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

নিউজ২৪লাইন:

বাবার ফাঁসির ১৫ বছর পূর্তিতে মুখ খুললেন সাদ্দাম কন্যা রাঘাদ সাদ্দাম হুসাইন। তিনি ইরাকিদের ঐক্যবদ্ধ হতে বলে বিশ্বে যে পরিবর্তন ঘটছে তার সাথে ইরাকিদের খাপ খাওয়ানোরও আহ্বান জানিয়েছেন। -আল আরাবিয়া

গতকাল শুক্রবার বাবার প্রতিকৃতির সামনে বসে রাঘাদ সাদ্দাম হোসেন এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সম্প্রদায় ও পটভূমি বিবেচনায় না নিয়ে ইরাকিদের একে অন্যকে ক্ষমা করে দেয়ার সময় এসেছে। এমনকি যারা ভুল করেছে তাদেরও ক্ষমা করে দেয়ার কথা বলেন তিনি। এর আগে, চলতি বছরে এক সাক্ষাৎকারে রাঘাদ সাদ্দাম বলেছিলেন, বৈধ কর্তৃপক্ষ না থাকায় ইরান মনে করে তারা সহজে বশে আনতে পারবে ইরাককে। এছাড়া সর্বশেষ বক্তৃতায় তিনি ইরানকে সংঘাত ও বিরোধিতা ত্যাগ করার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে কতিপয় আন্তর্জাতিক রাষ্ট্র ইরাক আক্রমণ করে। তারা এই যুক্তি দেখিয়ে আক্রমণ করে যে, সাদ্দাম ব্যাপক ধ্বংসাত্বক জীবাণু অস্ত্র তৈরি করছেন (যদিও যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এমন কোন অস্ত্রের হদিস মেলেনি)। পরে ১৩ ডিসেম্বর ২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেন আমেরিকান সেনাদের কাছে ধরা পড়েন। পরবর্তীতে আমেরিকা ইরাকি সরকারের হাতে সাদ্দাম হোসেনের বিচার করে। সাদ্দামের বিরুদ্ধে ছিল মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর ইরাকি সময় সকাল ৬.০৬ মিনিটে ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকর হয়।