শরীয়তপুরে কিশোরী বধুর হত্যা কে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

নিউজ২৪লাইন: মোঃ শাহিন আলম:

গত ১৭-১০-২০২১ইং শরীয়তপুর জেলার পালং থানাধীন ধানুকা গ্রামে স্বামীর পরিবারের সদস্য কর্তৃক আছমা আক্তার নামক এক গৃহবধুকে হত্যা করে গলায় দড়ি লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ০৫/০৬/২০১৬ইং তারিখে দুপুর অনুমানিক ১.০০ ঘটিকায় আছমা আক্তারকে মোঃ নাছির উদ্দিন ও তার কিছু সহযোগী অপহরণ করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করেন। এ ব্যাপারে আসমা আক্তারের পিতা আবুল হোসেন সদরঘাট থানায় একটি মামলা করেন (ধারা- ২০০৩ এর ৭/৩০, তারিখ: ১০/০৬/২০১৬ইং) তারপর নাছিরের সাথে কোর্টের মাধ্যমে বিবাহ হয়।

বিবাহের কিছুদিন পর আছমা আক্তার গর্ভবতী হলে জোর পূর্বক তাকে গর্ভপাত করানো হয় এবং আছমা আক্তার রাজি না থাকায় তাকে গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়, এসময় আছমা আক্তারের চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে, এতে আছমা আক্তার অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে তার বোন ও মা দেখতে যান, এসময় আছমা আক্তারের শ্বশুর বাড়ীর লোকজন তাদের উপর আক্রমণ করে এবং তাদের অলঙ্কার ছিনিয়ে নেয়। এ ব্যপারে আছমা আক্তারের বোন পাখী আক্তার বাদী হয়ে সদরঘাট থানায় একটি মামলা করেন- (ধারা- ৩৮০/৩২৫/৩৫৪/৩০৭, তারিখঃ ২৩/১০/২০১৬ইং)।
উল্লেখিত মামলার পর আসমা আক্তারের পিতা ও শ্বশুর পক্ষের মধ্যে একটি পারিবারিক বৈঠকের মাধ্যমে আপস-মিমাংসা করা হয়। অতপর আসমা আক্তারকে তার শ্বশুর বাড়ী গ্রাম- ধানুকা, পোঃ পালং, থানা- পালং, জেলা- শরিয়তপুরে নিয়ে যান কিন্তু সেখানেও আসমা আক্তারকে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে জানা যায় যে, শশুর বাড়ীতে নেওয়ার পথে ফেরি থেকে ফেলে আছমা আক্তারকে হত্যার চেষ্টা করা হয় এতে ব্যর্থ হয়ে তাকে শারীরিকভাবে নির্মম নির্যাতন করা হয়, তাতে সে ঘোরতর অসুস্থ হলে পালং সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পরবর্তীতে বাড়িতে এনে গত ১৭/১০/২০২১ইং নাছির তার শ্বশুর বাড়ি ফোন দিয়ে বলেন,তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
উক্ত ঘটনার তিনমাস পরে আসমা আক্তারের পিতা আবুল হোসেন সরদার শরীয়তপুর এসে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন।সংবাদিক সম্মেলনে আবুল হোসেন সরদার বলেন,তার মেয়েকে নাছির ও তার বাবা মা হত্যা করেছে, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি।আমার মেয়ে আমাকে সব সময় বলতো যে তারা খুব নির্যাতন করেন।আমার মেয়েকে প্রচুর মারধোর করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে তারপর কয়েক দিন পর বাড়ি নিয়ে বলতেছে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ আমার কাছ থেকে জোড় করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রাখেন।পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে রহস্যজনক আচরন করেছে। আমার মেয়ে কে যেমন ফাঁস দিয়ে মারা হয়েছে, তেমনি আসামী নাছিরের ফাঁসি চাই।