পঞ্চাশ টাকা ঘুষ না দেওয়ায় ৩.৩৭একর ভূমি খাস খতিয়ানভুক্ত সার্ভেয়ার
নিউজ২৪লাইন:
নুরুজ্জামান শেখ ,শরীয়তপুর থেকে।
১৯৮০ সালে শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলায় ৯৯ নং পূর্ব নাওডোবা মৌজায় ভূমি জরিপহয়। ভূমি জরিপের সময় সার্ভেয়ার কে ৫০ টাকা ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে খোবের বশবর্তী হয়ে ব্যক্তিমালিকানাধীন এস এ ৮২ও আর এস ৮৪ নং খতিয়ানে মোট ৩ একর ৩৭ শতাংশ ভূমি ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত করেন। গত ২২জুলাই২০২১ ভূমিহীনদের ভূমি অধিগ্রহণের জন্য জাজিরা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং পূর্ব নাওডোবার ভূমি কর্মকর্তা সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে নালিশি ভূমিতে লাল নিশান উড়িয়ে দেন।
বসবাসরত উক্ত ভিটে মাটিতে লাল নিশান উড়িয়ে দেওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে ভূমি মালিক আজিজ হাওলাদার গং উপস্থিত এস এ এবং আর এস দাগ খতিয়ানে তাদের মালিকানা কাগজ প্রদর্শন করেন। তাদের জমি খাস খতিয়ান যুক্ত হয়েছে বিষয়টি জানতে পেরে জমির মালিক আজিজ হাওলাদার গং গত ২৫ আগস্ট ২০২১ তারিখে জাজিরা সহকারী জজ আদালত চিকন্দী, শরীয়তপুর রেকর্ড সংশোধন দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। আজিজ হাওলাদার গং গণমাধ্যমকে জানান মামলাটি চলমান অবস্থায় আছে এবংবিষয়টি আদালতে বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও গত ২১ফেব্রুয়ারি ভূমি কর্মকর্তাগণ তা আমলে না নিয়ে ভূমি মালিকদের উচ্ছেদের হুমকি প্রদর্শন করেন। এর প্রতিবাদ করে ভূমি মালিক আজিজ হাওলাদার গং তাদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন না হলে ভূমিতে আত্মহত্যা ঘোষণা দেন।
বিল্লাল জঙ্গি বলেন সার্ভেয়ার কে ৫০ টাকা ঘুষ না দেওয়ায় আমাদেরই ভিটেমাটি সরকারি ভাবে খাস করেন। আমার এই জমির পশ্চিম এবং পূর্বপাশের জমি বি আর এস রেকর্ড হয়েছে, আমাদেরটা হয় নাই। এই জমিতে বাপ দাদারা প্রায় ষাট বছর যাবত ঘরবাড়ি তুলে থাকতেছে। আমরা এই জমিতে ফসল ফলিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি।প্রয়োজনবোধে বুকের রক্ত দিব, গুলি খাব তোবুও আমাদের বাপ-দাদার ভিটেমাটি ছাড়বো না। সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছি মামলা যা হবে আমরা মেনে নিব। পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল সালাম বলেন ২১ ফেব্রুয়ারি জাজিরা উপজেলার এসিল্যান্ড ও জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ আমরা ভূমিহীনদের জমি অধিকরণে জন্য পরিদর্শনে গিয়ে ছিলাম।
বিষয়টি সম্পর্কে জাজিরা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাফে মোহাম্মদ ছড়া এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীনদের ঘর তুলে দিচ্ছেন। জাজিরা উপজেলায় অনেক গৃহহীনদের ঘর দেওয়া হয়েছে, আর যারা গৃহহীন আছেন তাদেরকে ঘর তুলে দেওয়ার জন্য গত ২১ ফেব্রুয়ারি ৯৯ নং পূর্ব নাওডুবায় সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত জমি পরিদর্শনে গিয়ে ছিলাম। জানতে পেরেছি ওই জমি নিয়ে মামলা চলমান আছে।মামলার ফলাফল অনুযায়ী পরবর্তীতে আমার উর্দ্ধতন কর্মকর্তা যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে।