২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে শরীয়তপুর জেলায় গৃহীতব্য কর্মসূচী নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

নিউজ২৪লাইন:

নিজস্ব প্রতিবেদক :

২৫জুদ  স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন  করবেন  গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,এ উপলক্ষে শরীয়তপুর  জেলাপ্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে,  শরীয়তপুর জেলায় গৃহীতব্য কর্মসূচী নিয়ে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান এর   সভাপতিত্বে  ভার্চুয়াল জুম মিটিং এর আয়োজন করা হয়, প্রধান অতিথি হিসেবে  ভার্চুয়াল জুম  মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পানি সম্পদ উপমন্ত্রী  একেএম এনামুল হক শামীম,  আরো উপস্থিত ছিলেন  শরীয়তপুর ০১ আসনে  সংসদ সদস্য  মোঃ ইকবাল হোসেন অপু, সংসদ সদস্য  সংরক্ষিত মহিলা আসন- পারভিন হক শিকার  এমপি, 

এবং শরীয়তপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বাবু অনল কুমার দে।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ,সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন স্তরের বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি সহ ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

এসময় আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে শরীয়তপুর জেলায় গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

ভেদরগঞ্জের সখিপুরে স্বামী ও সৎ ছেলের হাতে প্রথম স্ত্রী খুন

নিউজ২৪লাইন:

আমান আহমেদ সজিব//শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সুখিপুর পারিবারিক কলহের জেরে সন্তানের সামনে স্বামী ও সৎ ছেলের হাতে নুজাহান বেগম (৫০) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী ও সৎ ছেলেরা পলাতক রয়েছে।

সোমবার (৬জুন) সকালে উপজেলার সখিপুর থানার সখিপুর ইউনিয়নে নইমউদ্দিন সরদার কান্দি গ্রামের নিজ ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরিবার সুত্রে জানা যায়, ফজলুর বেপারী দীর্ষদিন প্রথম স্ত্রীকে রেখে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে কাচিকাটায় ইউনিয়নে দীর্ঘ দিন বসবাস করেন। গত কয়েকদিন আগে কাচিকাটার ঘরবাড়ি ভেঙ্গে সখিপুরে চলে আসেন। এ অবস্থায় পরের স্ত্রীর ছেলেরা দুজন তার মা এবং সৎ মায়ের সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস করছিল। কিন্তু সৎ মা প্রায়ই নুরজাহানকে তার ছেলে মেয়ের বিষয়ে কটূক্তি করতো। তার পর থেকেই পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। গতকাল রাতে ফজলুর বেপারী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মোকশেদা সহ দ্বিতীয় ঘরের ছেলে সাগর বেপারী ও বিল্লাল বেপারী পরিকল্পিত ভাবে দেশী অস্ত্র নিয়ে এসে ফজলুর রহমান তার প্রথম স্ত্রীকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলাকে কেন্দ্র করে সৎ মায়ের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়ে একপর্যায় ছেলে ও মেয়ের সামনে মোকশেদা ও তার দুই ছেলে মিলে নুরজাহানকে এলোপাথাড়ি কুপায় ও পায়ের রগ কেটে ফেলে। এতে নুরজাহান বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে সংবাদ দেয়। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

সখিপুর থানার ওসি (তদন্ত) ওবায়দুল হক জানান, হত্যায় ব্যবহৃত দা জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মামুন বেপারি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।