ভেদরগঞ্জে অগভীর নলকুপের প্লাটফর্ম স্থাপনের কাজে ব্যাপক অনিয়ম

নিউজ২৪লাইন:

আশিকুর রহমান হৃদয়।।

সরকারি প্রকল্পের অগভীর নলকুপের প্লাটফর্ম স্থাপনের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ভেদরগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। কল স্থাপনের বছর পেরিয়ে গেলেও অধিকাংশ কলের প্লাটফর্ম করা হয়নি। প্লাটফর্ম ছাড়া কলগুলি ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উপকারভোগী গরিব অসহায় মানুষদের।

সম্প্রতি শরীয়তপুর ০২ আসনের সংসদ সদস্য, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমের দেয়া উত্তর তারাবুনিয়া ও দক্ষিন তারাবুনিয়া ও কাচিকাটা ইউনিয়নে ২শ’ টি কল বরাদ্দ দিয়েছেন। তবে কল কুপে দেয়ার বছর পেরোলেও নির্মান করে দেয়া হয়নি কলের প্লাটফর্ম। ঠিকাদারের সাথে সক্ষতা রেখে প্লাটফর্মের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা বিরুদ্ধে ।

যে সকল বাড়িতে টিউবওয়েল নেই সরকার তাদের জন্য টিউবওয়েল দেন শুনে, দক্ষিন তারাবুনিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা গরির কৃষক গফুর মোল্যা সরকারি প্রক্রিয়া অনুযায়ী আবেদন করেন।তার পরে কল পাওয়ার জন্য ১৬ শত’টাকা জমা দেন।তার বাড়িতে এক বছর আগে একটি কল স্থাপন করে দেয়া হয়েছে। কলটি এখনো বুঝিয়ে দেয়নি স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। দীর্ঘদিন বিষয়টি জনপ্রতিনিধি ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানালে দিচ্ছে শুধু আশার বানী। এখনো কলটি পাকা প্লাটফর্ম করা ছাড়াই কলটি ব্যবহার করছেন তিনি।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, তিনটি ইউনিয়নের ২শ’ কলের সবকয়টি স্থাপন করা হলেও ৭০ % কলের প্লাটফর্ম করে দেয়া হয়নি। কল স্থাপনের ১ বছর অতিবাহিত হলেও বুঝিয়ে দেয়নি উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর অফিস। স্থানীয় দক্ষিন তারাবুনিয়া ইউনিয়নের মরু মোল্লা বলেন গেলো এক বছর আগে আমাকে কল দিয়ে গেছে সরকার। এখনো তো পাকা করে দিলো না। শুনেছি পাকা করে দিবে না আর। তাইলে আমাগোটা আমরাই পাকা করে নিবো।

উত্তর তারাবুনিয়ার আসলাম হোসেন সরকার দীর্ষদিন অপেক্ষা করে পরে নিজের টাকা দিয়েই প্লাটফর্ম করেছেন। ঐ ইউনিয়নের মজিবুল মাঝিকে ৪ হাজার টাকা বরাদ্দের মধ্যে দিয়েছেন ১৫ শ’ টাকা পাকা করনের জন্য। আবার কেউ পেয়েছেন এক বস্তা সিমেন্ট ও কিছু ইটের ছুরকি।

উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের তথ্য মতে প্রতিটি কলের প্লাটফর্মে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪ হাজার টাকা। যোগফল বলছে ২শ’ কলের প্লাটফর্ম করতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮ লক্ষ টাকা। তাহলে যদি ১৪০ টি প্লাটফর্ম স্থাপন করে দেয়া বাকি থাকে সেখানে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা গেলো কার পকেটে?

দক্ষিন তারাবুনিয়া ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক আলী হোসেন ঢালী বলেন, আমাদেরকে চেয়ারম্যান সাহেব বলেছেন মন্ত্রী মহোদয় কল দিবে গরিব মানুষকে তোমরা ৪/৫ টা গরিবের নাম দেও। আমরা দিয়েছিলাম। পরে কল গারছে ১ বছর হয় কলগুলি পাকা করে প্রত্যেককে বুঝিয়ে দেয়নাই।

কল সর্থাপনের ঠিকাদার মাহাবুব খান বলেন, প্লাটফর্ম করে ফেলার কথা তো অনেক আগেই। আমি উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে তো কিছু টাকা দিয়ে রাখছি।কেন তিনি কাজ করেনি! আর আমি এখনো সম্পুর্ন বিল পাই নাই। আমি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে ফোন দিচ্ছি।

দক্ষিন তারাবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাজালাল মাল বলেন, কল দিয়েছেন মন্ত্রী মহোদয় গরিব মানুষ দেখে। সেখানে ঠিকাদার বছর পেরুলেও পাকা করে কল বুঝিয়ে দিলো না কেন! আর উপজেলা প্রকৌশলী অফিস তাহলে কি দায়িত্ব বা তদারকি করলো। আমি বিষয়টি মন্ত্রী মহোদয়কে জানাবো।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা সমেশ আলী বিষটি অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন টাকা নেইনি ঠিকাদারের কাছ থেকে। আমার অফিসে কল দিতে কোন টাকা নেয়া হয়না।কল দেয় জনপ্রতিনিধিরা। মন্ত্রী স্যারের কলগুলো স্থাপন করা হয়েছে তবে প্লাটফর্ম করা বাকি আছে।আমরা ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজগুলি করিয়ে নিবো।

শরীয়তপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা ফজলুর রহমান বলেন, ঠিকাদারের কাজ ঠিকাদার করবে ইঞ্জিনিয়ার করবে কেন। তবে কল তো ১ বছর হয় স্থাপন করা হয়েছে। প্লাটফর্ম এখনো করেনি বিষটি আমার জানা নেই।যদি প্লাটফর্ম না করে থাকে তাহলে ঠিকাদারের বিল আটকিয়ে দেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন,কল যদি এক বছর আগে স্থাপন করা হয় তাহলে পাকা করে দেয়ার কথা আরো আগে। আমি বিষয়টি আপনাদের কাছ থেকে শুনলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

ভেদরগঞ্জে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ভাতিজিকে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী চাচা জেলহাজতে

নিউজ২৪লাইন:

আমান আহমেদ সজীব :

শরীয়তপুর  জেলার   ভেদরগঞ্জ পৌরসভায় এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ভেদরগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড গৈড্যা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেফতার রকৃত ব্যক্তি হলেন মোঃ   জাহাঙ্গীর গাইন (৪২) বাড়ি ভেদরগঞ্জ পৌরসভায়।  শুক্রুবার ভেদরগঞ্জ থানা থেকে তাঁকে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও পরিবার সুত্রে জানা যায়, প্রতিবন্ধী মেয়েটি জাহাঙ্গীর গাইনের সম্পর্কে ভাতিজি হয়। সে গতকাল বিকালে মেয়েটিকে তার ঘরে নিয়ে যায়। পরে তার ধর্ষণ করে । পরে প্রতিবেশীরা  দেখতে পেয়ে মেয়েটির বাবাকে ডেকে আনে। পরে  রাতেই ভেদরগঞ্জ থানায় মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে একটি ধর্ষন মামলা করেন।

ভেদরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) বাহালুল 

খান বাহার বলেন, ঘটনার পরে প্রতিবন্ধী মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে একটি ধর্ষন মামলা করেন। আমরা আসামিকে গতকাল ভেদরগঞ্জ হাসপাতাল রোড থেকে গ্রেপ্তার করি। পরে তাকে আমারা  সকালে আসামীকে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠিয়েছি। আর প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য শরীয়তপুর সদর সরকারি হাসপাতালে পাঠাই।

 

পদ্মায় চলন্ত ফেরীতে আগুন

নিউজ২৪লাইন:

মঞ্জুরুল ইসলাম রনি শরীয়তপুর 

মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে যানবাহন নিয়ে ছেড়ে যাওয়া ফেরিটি মাঝিরকান্দি চ্যানেলে প্রবেশ করতেই লেলিহান শিখা চোখে পড়ে। ফেরির পাম্প কাজে লাগিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

শনিবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে মাঝিরকান্দি চ্যানেলে প্রবেশ করতেই আগুনের সূত্রপাত হয়।

জানা যায়, এ সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফেরির চালক দ্রুত ফেরিটি চালিয়ে নিয়ে শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি ঘাটে ভিড়িয়ে যানবাহন নামিয়ে দেয়।

এ ঘটনায় ফেরির মাস্টার মিন্টু রঞ্জন দাস জানান, ক্যান্টিনের পাশে কেবিনের ওপরের সিটে আগুন লাগে। এতে ফেরির ওই কেবিনটির বিছানা, সিলিং দরজা ও কেবিনের বাইরের সিলিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের সময় কেবিনে কেউ ছিলো না তাই হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, চলন্ত ফেরির একটি তালাবন্ধ কেবিন থেকে আগুন ও ধোঁয়া বের হতে থাকে। পরে ফেরিতে থাকা পাম্প ও আগুন নেভানোর মেশিনের সাহায্যে আগুণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফেরিটি মাঝিরকান্দি ঘাটে গিয়ে আনলোড করেছে। সেটি আবার যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসারও প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ওই ফেরিতে ৩৫-৪০টি যান এবং বেশকিছু যাত্রী ছিল। সবাই নিরাপদে অবস্থায় গন্তব্যে পৌঁছেছে। ফেরি সার্ভিস স্বাভাবিক রয়েছে।

এসময় আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে বলেও জানান বিআইডব্লিউটিসির এ কর্মকর্তা।