জাতীয় বাজেটে সাংস্কৃতিক খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবীতে শরীয়তপুরে সাংস্কৃতিক সমাবেশ

নিউজ২৪লাইন:

শরীয়তপুর থেকে  সুমন 
শরীয়তপুরে “সাংস্কৃতিক খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ৮ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে” সাংস্কৃতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শরীয়তপুর জেলা শাখা এই সমাবেশ এর আয়োজন করে। ১৮ জুন শনিবার বিকাল ৫ টায় শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শরীয়তপুরসহ ৬৪ টি জেলায় একযোগে এই সমাবেশের আয়োজন করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। এই সমাবেশে শরীয়তপুরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন যোগদান করে।

সমাবেশে সাংস্কৃতিক কর্মিরা তাদের দাবীগুলো তুলে ধরেন। সাংস্কৃতিক কর্মীরা বলেন। সাংস্কৃতিকে জাতির মনন বিকাশে, সাংস্কৃতিক খাতে উন্ময়নে জাতীয় বাজেটের ১% বরাদ্দ, প্রত্যেকটি উপজেলায় ৫০০ আসনের আধুনিক মিলনায়তন নির্মান, উপজেলা পর্যায়ে মুক্তমঞ্চ ও শিল্পকলা অফিসার নিয়োগ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ জাতীয় ভিত্তিক সকল সাংস্কৃতিক সংগঠণ স্থায়ী দফতর নির্মানে জমি প্রদান, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি ভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন, এবং সাংস্কৃতিক কর্মীদের আবাসনের জন্য সাংস্কৃতিক পল্লী নির্মান করতে হবে। তাহলে একটি পরিচ্ছন্ন আধুনিক সমাজ নির্মাণে মুক্তমনা সংস্কৃতি ভূমিকা রাখবে। সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি বলেন ২৫জুন পদ্মা সেতু উদ্ধোধন হলে শরীয়তপুরেও সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটবে। আমাদের সংস্কৃতি জাতীয় পর্যায়ে আমরা তুলে ধরতে পারবো এবং বিভিন্ন অঞ্চলের সাথে আমাদের সাংস্কৃতির বিনিময় ঘটবে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সম্পাদক কবি ইশতিয়াক আতিক খান।

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম’র পক্ষ থেকে তাহিরপুরে পানিবন্দি ক্ষতিগ্রস্তদের খাবার বিতরণ

নিজেস্ব প্রতিবেদ

নিউজ২৪লাইন:

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় নিম্নাঞ্চলের একশত পরিবার পানিবন্দি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে “বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম” এর কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

আজ (১৯জুন) রবিবার সকালে পানিবন্দি ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের দ্বারে দ্বারে গিয়ে এসব শুকনো খাবার বিতরণ করেন জাতীয় দৈনিক লাল সবুজের দেশ পত্রিকার সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ও তাহিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জাহান তালুকদার।

তাহিরপুর উপজেলার বন্যার্তরা খাদ্য সহায়তা পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং জাতীয় দৈনিক লাল সবুজের দেশ ও ক্রাইম ম্যাগাজিন অপরাধ জগতের সম্পাদক আলহাজ্ব সোহেল আহমেদ কে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্হরা এ ত্রান পেয়ে অত্যন্ত খুশী হয়েছেন।
স্থানীয় সাংবাদিক, সচেতন মহল ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাষ্টি বোর্ড চেয়ারম্যান আহমদ আবু জাফর, সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক খান সহ সংগঠনের সকল সদস্যদের।

কারন এই প্রথম কোন সাংবাদিক সংগঠন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্হ অসহায় মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়ালো। প্রমান করে দিলো সাংবাদিকরা শুধু সংবাদের মাধ্যমে দেশের ও জনমানুষের উপকার করে না, তারা মহাদূর্যোগে মানুষের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে থাকে। সাতদিনব্যাপী বন্যাদুর্গত এলাকা সমূহে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত থাকবে।♠

পদ্মায় জাজিরা প্রান্তে চলন্ত দুই ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত-১, আহত ১০

নিউজ২৪লাইন:

মঞ্জুরুল ইসলাম রনি, শরীয়তপু

পদ্মা নদীর শিমুলিয়া-সাত্তার মাদবর মঙ্গলমাঝি ঘাট নৌরুটে দুই চলন্ত ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১০জন। আজ রোববার ভোর পৌনে ৪টার দিকে নৌরুটের শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে টার্নিং পয়েন্টে ফেরি বেগম রোকেয়া ও সুফিয়া কামাল ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দূর্ঘটনায় সুফিয়া কামাল ফেরিতে থাকা গাড়িতে চাপা পরে নিহত হয় খোকন শিকদার (৪০) নামের এক গাড়ি চালক।

নিহত খোকন ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া চিংবাখালি এলাকার হারুন শিকদারের ছেলে। তিনি একজন পিকাপভ্যান চালক ছিলেন।

বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) মো : জামাল হোসেন ও বিআইডব্লিউটিএ সাত্তার মাদবর মঙ্গলমাঝি ঘাটের শুল্ক আদায়কারী তৌফিকুল ইসলাম জানান, ফেরি সুফিয়া কামাল ৩০টি যানবাহন নিয়ে শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে আসছিলো, একই নৌপথে ৩৪টি যানবাহন ও অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মাজিকান্দির অভিমুখে যাচ্ছিলো ফেরি বেগম রোকেয়া। দুটি ফেরি পদ্মা নদীর টানিং পয়েন্ট জাজিরা প্রান্তে পৌছালে এসংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুটি ফেরি সামনের অংশ। বিকল হয়ে যায় বেগম রোকেয়া ফেরি গাড়ি উঠানামার রেম্প। এসময় ফেরি সুফিয়া কামাল ফেরিতে থাকা এতটি গাড়িতে চাঁপা পড়ে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয় খোকনের। আহত হয় অন্তত ১০ জন। এতে ফেরিতে থাকা ১০/১২টি গাড়ির ক্ষতি হয়। পরবর্তীতে সুফিয়া কামাল শিমুলিয়াঘাটে ও বেগম রোকেয়া মাজিকান্দিঘাটে পৌছে নোঙর করেছে। অন্যান্য যাত্রীরা নিরাপদ রয়েছে।

ফেরি সুফিয়া কামাল ফেরির মাস্টার মোহাম্মদ হাসান বলেন, নদীতে প্রচণ্ড স্রোতে টার্নিংয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। তবে যাত্রীরা জানিয়েছেন, অবহেলার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

মাওয়া নৌপুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আবু তাহের জানান, ফেরি দুর্ঘটনায় নিহত ব্যাক্তির মরদেহ মাওয়া নৌপুলিশ ক্যাম্পে রয়েছে। আইনী পক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে কোন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে কি না এখনো বলা যাচ্ছে না।