পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেতুর দুই প্রান্তে র‍্যাবের নিরাপত্তা

নিউজ২৪লাইন:

মঞ্জুরুল ইসলাম রনি, শরীয়তপুর
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা নিয়ে র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘পদ্মা সেতুর আশপাশ আমরা তদারক করছি। এখানে কোনো ধরনের নাশকতার আশঙ্কা নেই। তার পরও সব ধরনের প্রস্তুতি রেখেছি। পদ্মা সেতু নিয়ে অনেকে বিভ্রান্তকর তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ প্রতিটি জায়গায় নজর রাখছি।’

আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্ত ও সমাবেশস্থল পরিদর্শন শেষে মাদীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নাশকতাসহ যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় র‍্যাবের প্রতিটি টিম সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকবে। ইতিমধ্যে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে গুজব, উসকানিমূলক তথ্য প্রচার রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

র‍্যাবের মহাপরিচালক বলেন, সেতুর দুই প্রান্তে র‍্যাবের নিরাপত্তা, সমাবেশস্থল টোল প্লাজা ফলক উন্মোচন, হেলিপ্যাডসহ সর্বস্তরের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড মাঠে কাজ করবে। এ ছাড়া র‍্যাবের এয়ার উইংয়ের হেলিকপ্টার সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে বলে জানান তিনি।

ভেদরগঞ্জের সখিপুর ঠিকাদারের অবহেলায় নৌকায় পারাপাড়ে ভোগান্তিতে জনসাধারণ

নিউজ২৪লাইন:

আমান আহমেদ সজীব // শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নে একটি পুরাতন ব্রিজ ভেঙে ঠিকাদার উধাও হয়েগেছে। তালিক্কা কান্দি গ্রামের খালের ওপর একটি নতুন ব্রিজ নির্মানের টেন্ডার হলেও দীর্ঘ সময় ধরে কোন প্রকার উদ্যোগ নেই এলজিডির কিংবা ঠিকাদারের। এছাড়া পুরাতন ব্রিজ ভাঙলেও করা হয়নি বিকল্প কোন যাতায়েতের পথ। ফলে চরম ভোগান্তিতে পরেছে ঐ ইউনিয়নটির তালিক্কা কান্দি, বাহাউদ্দীন মুন্সীর কান্দি বেপারী কান্দিসহ ৪ গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা।
ভেদরগঞ্জ এলজিইডি ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে সখিপুর ইউনিয়নের তালিক্কা কান্দি গ্রামের খালের উপরের পুরাতন ব্রিজটি দিয়ে প্রতিনিদিন কয়েক হাজার লোক যাতায়েত করে থাকে। কিছুদিন আগে ঐ স্থানে একটি নতুন ব্রিজের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি । ৩৬ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রিজটির ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। মেসার্স কেকে এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড মিজান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি জয়েন্ট প্রতিষ্টান ব্রিজটি নির্মানের দায়িত্ব পায়। আগামী ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে ব্রিজ নির্মানের সম্পুর্ন্নের কথা। ইমন নামে এক উপঠিকাদার ওই ব্রিজ সম্পুর্ণের দায়িত্ব নেয়। বর্ষার পুর্ব মুহূর্তে বিকল্প কোন যাতায়েত ব্যবস্থা না করেই পুরাতন ব্রিজটি ভেঙে ফেলেছে ওই উপঠিকাদার। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও কাজের কোন অগ্রগতি নেই। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই এলাকার ছাত্রছাত্রী শিশু, ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ। সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মানিক সরদার বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে ঠিকাদারকে বার বার বলা হয়েছে যাতায়াতের জন্য একটি বিকল্প ব্যবস্থা করতে। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি ঠিকাদার যদি যাতায়াতের ব্যবস্থা না করে তবে আমরাই নিজস্ব উদ্যোগে একটি যাতায়েত ব্যবস্থা করব।

এবিষয়ে উপঠিকাদার ইমন কে মোট ফোনে একাদিক কল দেওয়ার পর কলটি রিসিভ করেন নি পরে কল রিসিভ করে বলেন ঐ খানে কাজ চলমান রয়েছে, আমি এখন ব্যস্ত আছি পরে আপনার সাথে কথা বলবো।

এবিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী অনুপম চক্রবতী বলেন ঐ কাজের ঠিকাদার কে যাতায়েতের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছিলো।