পবিত্র কাবাঘর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিলেন সৌদি সরকার
ইসলামী জীবন
নিউজ২৪লাইন:
করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পবিত্র কাবা ঘর মুসলিম উম্মার জন্য উন্মুক্ত করে দিলেন আজ সৌদি সরকার।
ইসলামী জীবন
নিউজ২৪লাইন:
করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পবিত্র কাবা ঘর মুসলিম উম্মার জন্য উন্মুক্ত করে দিলেন আজ সৌদি সরকার।
নিউজ২৪লাইন:
শেখ নজরুল ইসলাম
আজানের সময় মোবাইলের গান বন্ধ করতে বলায় ছুরিকাঘাত করে স্কুল ছাত্রকে হত্যা করেছে কিশোর গ্যাং বাহীনি ! এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। মঙ্গলবার ২আগস্ট রাত ৮:৩০টায় নড়িয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য লোংসিং মাদবর বাজার এলাকায় শাহলম ছৈয়ালের পুকুর পারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সিজান আকন(১৬)ওই এলাকার বিল্লাল আকনের ছেলে। সে নড়িয়া বিহারী লাল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাশাপাশি এলাকার লালমিয়া ছৈয়ালের ছেলে লাবিব ছৈয়াল (২২),সমেদ হাওলাদারের ছেলে রহিম হাওলাদার(২২),জহির বেপারির ছেলে ঈব্রাহীম জয়(২২),জালাল বেপারির ছেলে নাইম বেপারী(১৮) ও মালেক ছৈয়ালের ছেলে জুবায়ের ছৈয়াল (১৯)মোবাইলে ফুল সাউন্ড দিয়ে গান সুনছিল,তখন এশার নামাজের আজান দিলে একটু দুরে বসে থাকা সিজান আকন লাবিব ছৈয়ালকে বলে “গান বন্ধ কর” এই তুই বলার কারনে জুনিওর সিনিওর নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়, একপর্যায় ক্ষিপ্ত হয়ে লাবিব ছৈয়াল সিজান আকনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এসময় উদ্ধার করতে এসে সিজানের বন্ধু মুন্না ছৈয়াল ও আসিফ ব্যাপারী আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিজান আকনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মারাক্তক ভাবে আহত মুন্নাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরন করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই ইব্রাহিম জয় ও রহিম হাওলাদারকে আটক করেছে নড়িয়া থানা পুলিশ।
নিহত সিজানের চাচা ও পতিবেশি কালাচান আকন,মোখলেসুর রহমান,আব্দুর সাত্তার বলেন-লাবিব ছৈয়াল, ইব্রাহিম জয়, রহিম হাওলাদার, নাইম ছৈয়াল ও জুবায়ের ছৈয়াল মিলে সিজান আকনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। আমরা হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, ঘটনার পর দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা বাকি আসামীদের ধরার চেস্টা চালাচ্ছি ৷
নিউজ২৪লাইন
আমান আহমেদ সজীব// শরীয়তপুরঃ
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর আরশিনগর ইউনিয়নের চরফেলিছ বেপারী কান্দি গ্রামে ইকবাল বেপারীর একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়েছে, তার বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে দেখতে ও সনদ পত্র
হাতে তুলে দেন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। এই ইউনিয়নে
বাচ্চা হলেই বাড়ি বাড়ি মিষ্টি নিয়ে যান তিনি। এবং ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধন ফ্রি করার পরামর্শ দেন, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃজাহাঙ্গীর আলম।
এসময় স্থানীয়রা এমন উদ্যোগে সাধুবাদ জানান।
এবিষয়ে আরশিনগর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা বল্লে তিনি বলেন,
শোকের মাস প্রথমেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ ভাঙালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার সহ সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও তাদের আত্মার মাকফিরাত কামনা করেন। এবং গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে সপ্ন দেখেছেন ৪৫ দিনের মধ্যে কোন শিশু সন্তান জন্ম গ্রহণ করার সাথে সাথে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রক সম্পুর্ন করা বাবা মার একটি নৈতিক দায়িত্ব, মানুষ যাতে এতে গুরুত্ব দেয় তাই আমি মিষ্টি নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাই এমন একটি উদ্যোগ নেই।
আসুন আমরা সকলেই মিলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ৪৫ দিনের মধ্যে আমার এবং আপনার শিশুর জন্মনিবন্ধনের কার্যক্রম সম্পুর্ন করি।
নিউজ২৪লাইন:
শরীয়পুর থেকে আমান আহমেদ সজীব :
শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা। অফিসের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারির যোগ সাজেসে অফিসের আনসার ও দালাল সদস্য দিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধার শিকার হচ্ছে।
অফিসটি এখন দালালসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও রাজনৈতিক প্রভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
অপর দিকে কর্তৃপক্ষের সহায়তায় বাহিরে দালালচক্রের দৌরত্ব চরমে পৌঁছেছে। পাসপোর্ট অফিসে দায়িত্বরতরা কৌশলে দালালির সাথে জড়িত বলেও অভিযোগ সেবাপ্রার্থীদের।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসটি ঘিরে রয়েছে কম্পিউটার দোকান ও এজেন্ট ব্যাংকিং। এসব যায়গায় ফরম পূরণের আড়ালে চলছে রমরমা পাসপোর্ট দালালি।
যদিও সব কিছু জেনেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস কর্তৃপক্ষ।
শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালদের হাত ধরে যে সকল গ্রাহক এসেছে তাদের আবেদন ফরমে বিভিন্ন স্থানে ‘বিশেষ চিহ্ন’ দিয়ে দেওয়া হয়। তাদের ফরম যাচাইয়ে কাউন্টারে শুধু চিহ্ন দেখা হয়। যে সকল ফরমে চিহ্ন থাকে সেই সকল ফরম গ্রহণ করে পাসপোর্ট অফিসে।
পাসপোর্ট করতে আসা রিদয় বেপারী নামে এক ব্যক্তির অভিযোগ, দশদিন অফিসে ঘুরেও পাসপোর্ট করতে পারেননি তিনি। ডিসি অফিস ও ইউএনও অফিসে লিখিত আবেদন করেও কোনো সমাধান পায়ননি। পড়ে বাধ্য হয়ে দালালের মাধ্যমে পাসপোর্টের কাগজ জমা ও ফিঙ্গার দিতে পারেন।
এই পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন গড়ে ২ থেকে ৩ শতাধিক ফাইল জমা হয়। এর মধ্যে দালালের মাধ্যম ছাড়া ফাইল জমা দেওয়া হলে হয়রানির শিকার হতে হয় সেবাপ্রার্থীকে। প্রতিটি ফাইলে দালালকে দিতে হয় ২ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এভাবেই প্রতিদিন কয়েক লক্ষ টাকার ঘুষ বাণিজ্য হয় এই আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ঘিরে।ভেদরগঞ্জ থেকে কিছু দিন আগে বিদেশে জাবার জন্য ছদ্মনাম স্বপন বেপারী গিয়েছিলেন শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে,পসপোট করার জন্য আমার কাগজপত্র সবকিছু ঠিক ছিলো তারপরেও আমাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, আমি কিছু ভেবেনা পেয়ে অফিসের সামনে থেকে দালাল দিয়ে জমাদেই। তাতে আমার ২৫শত টাকা বেশি লাগে।
অফিসটির কাউন্টার থেকে শুরু করে প্রতিটি ধাপেই ভোগান্তি পিছু ছাড়ে না সেবাপ্রার্থীর। দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়েও ফাইল জমা না দিয়ে ফিরতে হয় অনেককে। এমন হয়রানির ঘটনা পাসপোর্ট অফিসে অহরহ চলছে জেনেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। উল্টো দায়সাড়া জবাব দেন এডি।
শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট আফিসের সহকারি পরিচালক (এডি) সাদ্দাম হোসেন বলেন, গ্রাহকদের সর্বচ্চো সেবা দিয়ে থাকি। কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়া কাউন্টার থেকে কোনো গ্রাহককে ফেরত দেওয়া হয় না। যেগুলো ফেরত যায় সেগুলোর এনআইডি কার্ড, পাসপোর্ট বা ফরমে ভুল থাকে। তবে কিছু কিছু গ্রাহক ফরম পূরনের ক্ষেত্রে লোক দিয়ে কাজ করে।
সুএ: বিডি প্রতিদিন