সাংবাদিক পুলিশ এক বন্ধন হয়ে কাজ করতে চাই মোঃশাহাজাহান(পুলিশসুপার)

মোঃমাহফুজুর রহমান বিপ্লব,ফরিদপুর প্রতিনিধি।

ফরিদপুর জেলায় নবাগত পুলিশ সুপার মোঃশাহাজাহান বলেন, সাংবাদিক পুলিশ একত্রিত হয়ে কাজ করার কোন বিকল্প নেই। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির উপর ভিক্তিতে করে একে অপরের সহযোগীতা নিয়ে কাজ করে যাবো সেই আশা ব্যাক্ত করি।

আজ বৃহঃপ্রতিবার বেলা ১১টায় পুলিশ সুপারের কার্যলয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আগের পুলিশ সুপার কে যে ভাবে আপনারা তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করেছেন, আমি আশা করবো ঠিক সেই ভাবে আমাকে ও সহযোগীতার হাত বারিয়ে দিবেন।

উল্লেখ্য গত ৩ আগষ্ট ২০২২ তারিখে রাষ্টপতির আদেশক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ,পুলিশ শাখা এর উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাশ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে উপ পুলিশ কমিশনার ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার দিনাজপুর পুলিশ হতে পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহানকে নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে ফরিদপুরে বদলি করা হয়। তিনি ২৫ তম বিসিএস কর্মকর্তা এবং নিজ জেলা সদর চুয়াডাঙ্গা। তার পূর্ববর্তী কর্মস্থল ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার দিনাজপুর পুলিশ। এই সময় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জামাল পাশা, সদর সার্কেল সুমন রঞ্জন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া, টিআই তুহিন লস্কর সহ ফরিদপুরের কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কাউন্সিলর সন্ত্রাসী ফরিদ শেখের হাত থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

নিউজ২৪লাইন:

ইয়ামিন কাদের নিলয়
বিশেষ প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের আলোচিত ইয়াবা কারবারি সন্ত্রাসী কাউন্সিলর ফরিদ শেখ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে বর্বরোচিত নৃশংস হামলার বিচার ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শাহাবুদ্দিন শেখের পরিবার। বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) দুপুরে শরীয়তপুর জেলা শহরে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের কার্যালয়ে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এসময় বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইয়াবা কারবারি সন্ত্রাসী কাউন্সিলর ফরিদ শেখ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বর্বরোচিত নৃশংস হামলার লোমহর্ষক বর্ণণা দেন ভুক্তভোগী শাহাবুদ্দিন শেখ ও তার স্ত্রী হাজেরা বেগমক।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আমাদের বাড়ি থেকে উৎখাতের জন্য ইয়াবা কারবারি ফরিদ শেখ ও তার বাহিনী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। তারা আমাদের ছেলে-মেয়ে সহ সবাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করেছে। ফরিদ শেখ আমার প্রতিবন্ধী মেয়ে তাহমিনাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। হাতে পায়ে ধরেও আমরা সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলা থেকে বাঁচতে পারিনি।

তারা আরও বলেন, ইয়াবা কারবারি সন্ত্রাসী ফরিদ শেখ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দীর্ঘদিন যাবত আমাদের বসতবাড়ি থেকে উৎখাতের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ নিয়ে তারা একাধিক বার আমাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। সন্ত্রাসী ফরিদ শেখের ভয়ে আমরা এখন এলাকা ছাড়া। আমাদের ছেলে-মেয়েরা আতংকের মধ্যে রয়েছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা বাড়িতে যেতে ভয় পাচ্ছে। আমরা ইয়াবা কারবারি ফরিদ শেখ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে চাই। আমরা ফরিদ শেখের বিচার চাই। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের সহায়তা চাই। আমরা জাতির বিবেক সংবাদিক ভাইদের সাহায্য চাই।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন শাহাবুদ্দিন শেখ ও তার স্ত্রী হাজেরা বেগম।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড স্বর্ণঘোষ গ্রামের আবুল হাসেম শেখের ছেলে ফরিদ শেখ ইয়াবা ব্যবসা করে এখন কোটি টাকার মালিক। ইয়াবা ব্যবসা করে তিনি শরীয়তপুর শহরের কোর্ট সংলগ্ন এলাকায় গড়ে তুলেন আলিশান বহুতল ভবন। আলোচিত এই ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক সহ একাধিক মামলা। একাধিক বার ইয়াবা সহ ধরা পড়ে জেলও খেটেছেন তিনি। এরপর থেকে ধীরে ধীরে লেবাস পাল্টাতে শুরু করেন বহুরূপী ফরিদ। লম্বা দাড়ি রেখে, লম্বা পাঞ্জাবী আর টুপি পড়ে রীতিমতো বনে যান এক বিরাট পরহেজগার। তার নামের সাথে হাজী শব্দটিও দেখা যায় ইদানিং। গত পৌরসভা নির্বাচনে ৮নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে ক্ষমতা আর টাকার জোরে জিতে যান আলোচিত ইয়াবা কারবারি ফরিদ শেখ।

ফরিদ শেখ লেবাস পাল্টিয়ে কাউন্সিলর হলেও পাল্টায়নি তার পুরনো চরিত্র। দীর্ঘদিন যাবত তার এক দরিদ্র প্রতিবেশী শাহাবুদ্দিন শেখ ও তার পরিবারকে উচ্ছেদ করে জায়গা সম্পত্তি ভোগ দখলের পায়তারা করে আসছে ফরিদ। ইতিপূর্বে একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে শাহাবুদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যদের গুরুতর আহত করেছে সে। ওই ঘটনার সুবিচার চেয়ে ফরিদ শেখের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন শাহাবুদ্দিন। মামলা করার কারনে শাহাবুদ্দিন ও তার পরিবারের উপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ইয়াবা কারবারি ফরিদ।

এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার (১৮ আগষ্ট) বেলা ১১টার দিকে আবারও শাহাবুদ্দিন শেখ ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালায় ইয়াবা কারবারি ফরিদ শেখ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। সন্ত্রাসীরা শাহাবুদ্দিন শেখ, শাহাবুদ্দিন শেখের প্রতিবন্ধী মেয়ে তাহমিনা আক্তার, লিমা আক্তার, ছেলে তালহা শেখ ও স্ত্রী হাজেরা বেগমকে ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। সন্ত্রাসী ফরিদ শেখ তাহমিনা আক্তারের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যপুরি কোপালে তাহমিনা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাহমিনার মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে সন্ত্রাসী ফরিদ শেখ ও তার বাহিনী চলে যায়। সন্ত্রাসীদের ভয়ে অসহায় পরিবারটির সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসতে সাহস পায়নি। সন্ত্রাসীরা চলে গেলে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। তাহমিনার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। অসহায় পরিবারটির কোন নিকটাত্মীয় না থাকায় ছোট মেয়ে লিমা আক্তার ও ছেলে তালহাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রেখে বাবা শাহাবুদ্দিন শেখ ও মা হাজেরা বেগমকেই আহত অবস্থায় বড় মেয়ে তাহমিনাকে নিয়ে ঢাকা যেতে হয়। এ ঘটনার দুইদিন পর (গত ২০ আগষ্ট) শাহাবুদ্দিন শেখ বাদী হয়ে সন্ত্রাসী ফরিদ শেখকে প্রধান আসামি সহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জনকে আসামী করে পালং মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলর অন্য আসামীরা হলেন, আবুল হাসেম শেখ, আবুল হাসেম শেখের ছেলে খবির শেখ, জাকির শেখ, রবিন শেখ ও খালেক শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার।

এ বিষয়ে জানার জন্য ফরিদ শেখের মোবাইলে কল করলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন রেখে দেন।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, ‘আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো.সাইফুল হক বলেন, মাদক ও সন্ত্রাসের সাথে যারাই জড়িত থাকবে তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হবে। যত ক্ষমতাধরই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।

বাশঁ কাঁটার শ্রমিক জসিম এখন বিদেশী মদ, বিয়ার ও ইয়াবার এজেন্ট

মদ খাওয়া অবস্থায় জসিম

 

হলদিয়া পালং ইউনিয়নের পূর্ব মরিচ্যা ১নং ওয়ার্ড কাঁঠালিয়ার লাল মিয়ার পুত্র বাশঁ কাঁটার শ্রমিক জসিম এখন বিদেশী বিয়ার, বিদেশী মদ ও ইয়াবার এজেন্ট হিসেবে পরিচিত। 

সে মরিচ্যা বাজারে অস্থায়ী কলোনি ভিত্তিক খুচরা মাদক বিক্রি করে এখন সে ভেণ্ডরে (পাইকারী ব্যাবসায়ী) পরিণত হয়েছে।

কয়েকবছর আগেও মরিচ্যা বাজারের উত্তর স্টেশনের বাশঁ বাজারে পানের বরজের কাটি তৈরী করে সে সংসার চালাত! তবে রোহিঙ্গা মেয়ে বিয়ে করার সুবাদে ক্যাম্পের মাদক ব্যাবসায়ীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে। এর পর থেকেই সে মরিচ্যা বাজারে মদ, ইয়াবা ও বিদেশি বিয়ারের রমরমা ব্যবসা শুরু করে আসছে।

এলাকাবাসীরা জানান তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মাদকের মামলা থাকলেও অদৃশ্য কারণ বশত সে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে! তাকে আইনের আওতায় এনে এলাকাকে মাদকমুক্ত করার জোর দাবী জানান।

নাম প্রাকাশে অনিচ্ছুক তার এক প্রতিবেশী জানান সে এলাকার উঠতি বয়সী যুবকদের ব্যবহার করে মাদক বিক্রি সেবন করিয়ে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করে এলাকার শান্ত পরিবেশকে নোংরা করে ফেলতেছে। তাকে আইনের আওতায় এনে এলাকাকে মাদকমুক্ত করতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন তিনি।