উওর বাড্ডা বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিউজ২৪লাইন:

নানা কর্মসূচির মধ্যেদিয়ে উওর বাড্ডা বাজার কল্যাণ সমিতির আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস পালিত।
নানা কর্মসূচির মধ্যেদিয়ে যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এই দিনে কিছু সেনাসদস্য ধানমণ্ডির বাসভবনে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সপরিবারকে হত্যা করে। সেই আগস্ট মাসকে জাতীয় এ দিনে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী সহ লাখো কোটি বাঙালি যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
আজ ২৭ সে আগস্ট উওর বাড্ডা বাজার কল্যাণ সমিতি আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, মিলাদমাফিল, দোয়া ও কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ৩৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব শেখ সেলিম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য ঢাকা মহানগর উত্তর ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাড্ডা থানা আওয়ামীলীগ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জনাব ফারুক মিলন কার্যনির্বাহী সদস্য ঢাকা মহানগর উত্তর
মোঃ মাসুম গনি তাপস, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর
আলহাজ্ব মোতালেব হোসেন,ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাবেক বাডডা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ
মিজানুর রহমান ধনু, সাবেক সভাপতি ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ আরো উপস্থিত ছিলেন ছিলেন জনাব জাহাঙ্গীর রহমান, মোজাম্মেল হক হিরা, ফরিদ মোল্লা কামাল উদ্দিন শাহীন,

বাগান বাড়ি ইউনিট আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ বাবুল মিয়া,
মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী সাগর
সাধারণ সম্পাদক উত্তর বাডডা বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।

এসময় বক্তারা বলেন
বলেন, ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবকে হত্যা করলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শেকে হত্যা করতে পারেনি। আমরা সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করেছি। এতে জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।

শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল নিহত শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে পরম দয়াময় আল্লাহর দরবারে তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন। দুপুরে শোক দিবস উপলক্ষে ৪ হাজার মানুষের জন্য কাঙ্গালি ভোজের ব্যবস্থা করেন।

প্রতিবন্ধী নারীকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করার ঘটনায় ১০ দিন পার হলেও পৌর কাউন্সিলর ফরিদ শেখকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ

নিউজ২৪লাইন:

মঞ্জুরুল ইসলাম রনি, শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
প্রতিবেশী এক দরিদ্র অসহায় পরিবারের প্রতিবন্ধী মেয়ে সহ পাঁচ জনকে কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করার ঘটনার ১০ দিন পার হলেও কাউন্সিলর ফরিদ শেখকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফরিদ শেখকে গ্রেফতারে পুলিশের গড়িমসিতে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। এদিকে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর মামলা তুলে নিতে অসহায় পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ভুক্তভোগী পরিবারটি চরম আতংকে রয়েছে।

অনেকে বলছে, সামান্য সন্ত্রাসী ফরিদকে গ্রেফতার করতে যদি পুলিশের হিমশিম খেতে হয়, তাহলে বড় অপরাধীদের পুলিশ গ্রেফতার করবে কিভাবে?

ফরিদ শেখ শরীয়তপুর পৌরসভার স্বর্ণঘোষ গ্রামের আবুল হাসেম শেখের ছেলে ও ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

গত ১৮ আগষ্ট প্রতিবেশী শাহাবুদ্দিন শেখ ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালায় ফরিদ শেখ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। হামলাকারীরা শাহাবুদ্দিন শেখ, প্রতিবন্ধী মেয়ে তাহমিনা আক্তার, লিমা আক্তার, ছেলে তালহা শেখ ও স্ত্রী হাজেরা বেগমকে ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে।ফরিদ শেখ তাহমিনার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর কোপালে তাহমিনা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাহমিনার মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে ফরিদ শেখ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী চলে যায়। সন্ত্রাসীদের ভয়ে অসহায় পরিবারটির সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসতে সাহস পায়নি। সন্ত্রাসীরা চলে গেলে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। তাহমিনার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। অসহায় পরিবারটির কোন নিকটাত্মীয় না থাকায় ছোট মেয়ে লিমা আক্তার ও ছেলে তালহাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রেখে বাবা শাহাবুদ্দিন শেখ ও মা হাজেরা বেগমকেই আহত অবস্থায় বড় মেয়ে তাহমিনাকে নিয়ে ঢাকা যেতে হয়। এ ঘটনার দুইদিন পর (গত ২০ আগষ্ট) শাহাবুদ্দিন শেখ বাদী হয়ে ফরিদ শেখকে প্রধান করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জনকে আসামী করে পালং মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামীরা হলেন, আবুল হাসেম শেখ, খবির শেখ, জাকির শেখ, রবিন শেখ ও খালেক শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার।

এ ঘটনার ১০ দিন পার হলেও শুধুমাত্র চার নম্বর আসামি রবিন শেখ ছাড়া মামলার মূল আসামি ফরিদ শেখ সহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে পরেনি পুলিশ।

শাহাবুদ্দিন শেখ বলেন, আমাদের উৎখাত করে সম্পত্তি দখলের জন্য কাউন্সিলর ফরিদ শেখ আমাদের উপর একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। সর্বশেষ তারা হামলা চালিয়ে আমার প্রতিবন্ধী মেয়ে সহ পাঁচ জনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। ঘটনার ১০ দিন পার হলেও মূল আসামী ফরিদকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। ফরিদ শেখ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। ফরিদ শেখ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে আমি ও আমার পরিবার চরম আতংকের মধ্যে আছি। আমি ফরিদ শেখ সহ সকল আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল হক বলেন, ইতিমধ্যে আমরা একজন আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছি। মূল আসামি ফরিদ শেখ সহ বাকি আসামীদেরকেও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

ওভেন লেভেল ডিজাইনার’স বাংলাদেশ কর্তিক আয়োজিত ‘ডিজাইনার’স মিটআপ-২০২২’ অনুষ্ঠিত

নিউজ২৪লাইন:
বিশেষ প্রতিনিধিঃ মোঃ রাজু আহমেদ

বাংলাদেশে এই প্রথম ওভেন লেভেল ডিজাইনার’স কর্তিক আয়োজিত’ডিজাইনার মিটআপ- ২০২২’অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যায় (২৬ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরায় “দ্য হোয়াইট হল রেস্টুরেন্ট এন্ড বুফে-তে অনুষ্ঠিত হয় এই মিলনমেলা।

‘ওভেন লেভেল ডিজাইনার,
একতাই আমাদের অঙ্গীকার!’এই শ্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠানে একদল সিনিয়র ডিজাইনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
এরপর বাংলাদেশে ওভেন ডিজাইনারদের ইতিহাস-ঐতিহ্য গুরুত্ব এবং নবীন-প্রবীণ ডিজাইনারদের সম্পর্ক,দায়িত্ব, আচরন,ভাতৃত্ববোধ ও সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি এই মিলন মেলার ধারাবাহিতা ধরে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশের প্রায় দুই শতাধিক প্রবীণ-নবীন ডিজাইনারদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত ছিল এই মিলনমেলা।কেউ ছবি তুলছেন, কেউ হয়ত সিনিয়র-জুনিয়রদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে উঠেছেন।কেউবা বসে পড়ছেন নিজের পছন্দের খাবার নিয়ে।অর্থাৎ যে যেভাবে পারছেন উপভোগ করছেন বহুদিনের কাংখিত এই মিলন মেলা।

এরপর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে শেষ হয় ডিজাইনারদের এই মহা মিলন মেলা।

প্রবীণ ডিজাইনারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ ডিউক, মোঃ রফিক ( সুইস লেবেল), কন্টিনেন্টাল খ্যাত মোঃ জহির,মোহাম্মদ ইরফান(মনট্রিমস লিঃ), মো জহির(আর এস এস),মোঃ জহির(মেগা লেবেল সিইও),মোঃ সানাউল্লাহ,আবু সুফিয়ান,পবন দাস,আবু বক্কর সিদ্দিক,মোঃ আলমগীর হোসেন এবং গাউছুল আজম মুক্ত সহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক ছিলেন আজাদ মিয়া।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে মোঃ মনির হোসেন, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন,আনোয়ার হোসেন,মোহাম্মদ মুজাহিদ ও অমরেশ।

সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী মরহুম আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের স্নেহের ভাতিজা মোঃ রতন আর নেই

শোকর্বাতা

সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী মরহুম আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের স্নেহের ভাতিজা ও জননেতা নাহিম রাজ্জাক এমপি মহোদয়ের চাচাতো ভাই ও শরীয়তপুর নাগরিক অধিকার আন্দোলন এর সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়ামিন কাদের নিলয়ের বাবা, আমাদের সকলের প্রিয় রতন, আমাদের মাঝে আর নেই।    ২৬/০৮/২০২২ইং তারিখ দিবাগত রাত্রে হৃদক্রীয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

(ইন্না-লিল্লাহ —– রাজিউন)
তার অকাল মৃত্যুতে শরীয়তপুর নাগরিক অধিকার আন্দোলন এর পক্ষ থেকে, গভীরভাবে শোক প্রকাশ করছি । শোকাহত  পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। আমিন।

 

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসকের সাথে নতুন পুলিশ সুপারের সাক্ষাৎ

নিউজ২৪লাইন:

আমান আহমেদ সজীব // শরীয়তপুর প্রতিনিধি ll
আজ ২৫ আগস্ট ২০২২ শরীয়তপুর জেলায় সদ্য যোগদানকৃত পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল হক জেলাপ্রশাসক,শরীয়তপুরের কার্যালয়ে জেলাপ্রশাসক মহোদয়ের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এসময় জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নব যোগদানকৃত পুলিশ সুপারকে জেলাপ্রশাসক জনাব মোঃ পারভেজ হাসান ফুল দিয়ে বরণ করেন এবং শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা ব্যান্ডিং এর টেরাকোটা ও জাজিরার কালোজিরা মধু পুলিশ সুপারের হাতে তুলে দেন।

শরীয়তপুর জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা সহ নানা বিষয় নিয়ে জেলাপ্রশাসক পারভেজ হাসানের সাথে আলোচনা করেন নব নিযুক্ত পুলিশ সুপার। মোঃ সাইফুল হক।

সাংবাদিক পুলিশ এক বন্ধন হয়ে কাজ করতে চাই মোঃশাহাজাহান(পুলিশসুপার)

মোঃমাহফুজুর রহমান বিপ্লব,ফরিদপুর প্রতিনিধি।

ফরিদপুর জেলায় নবাগত পুলিশ সুপার মোঃশাহাজাহান বলেন, সাংবাদিক পুলিশ একত্রিত হয়ে কাজ করার কোন বিকল্প নেই। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির উপর ভিক্তিতে করে একে অপরের সহযোগীতা নিয়ে কাজ করে যাবো সেই আশা ব্যাক্ত করি।

আজ বৃহঃপ্রতিবার বেলা ১১টায় পুলিশ সুপারের কার্যলয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আগের পুলিশ সুপার কে যে ভাবে আপনারা তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করেছেন, আমি আশা করবো ঠিক সেই ভাবে আমাকে ও সহযোগীতার হাত বারিয়ে দিবেন।

উল্লেখ্য গত ৩ আগষ্ট ২০২২ তারিখে রাষ্টপতির আদেশক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ,পুলিশ শাখা এর উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাশ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে উপ পুলিশ কমিশনার ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার দিনাজপুর পুলিশ হতে পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহানকে নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে ফরিদপুরে বদলি করা হয়। তিনি ২৫ তম বিসিএস কর্মকর্তা এবং নিজ জেলা সদর চুয়াডাঙ্গা। তার পূর্ববর্তী কর্মস্থল ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার দিনাজপুর পুলিশ। এই সময় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জামাল পাশা, সদর সার্কেল সুমন রঞ্জন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া, টিআই তুহিন লস্কর সহ ফরিদপুরের কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কাউন্সিলর সন্ত্রাসী ফরিদ শেখের হাত থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

নিউজ২৪লাইন:

ইয়ামিন কাদের নিলয়
বিশেষ প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের আলোচিত ইয়াবা কারবারি সন্ত্রাসী কাউন্সিলর ফরিদ শেখ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে বর্বরোচিত নৃশংস হামলার বিচার ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শাহাবুদ্দিন শেখের পরিবার। বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) দুপুরে শরীয়তপুর জেলা শহরে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের কার্যালয়ে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এসময় বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইয়াবা কারবারি সন্ত্রাসী কাউন্সিলর ফরিদ শেখ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বর্বরোচিত নৃশংস হামলার লোমহর্ষক বর্ণণা দেন ভুক্তভোগী শাহাবুদ্দিন শেখ ও তার স্ত্রী হাজেরা বেগমক।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আমাদের বাড়ি থেকে উৎখাতের জন্য ইয়াবা কারবারি ফরিদ শেখ ও তার বাহিনী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। তারা আমাদের ছেলে-মেয়ে সহ সবাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করেছে। ফরিদ শেখ আমার প্রতিবন্ধী মেয়ে তাহমিনাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। হাতে পায়ে ধরেও আমরা সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলা থেকে বাঁচতে পারিনি।

তারা আরও বলেন, ইয়াবা কারবারি সন্ত্রাসী ফরিদ শেখ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দীর্ঘদিন যাবত আমাদের বসতবাড়ি থেকে উৎখাতের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ নিয়ে তারা একাধিক বার আমাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। সন্ত্রাসী ফরিদ শেখের ভয়ে আমরা এখন এলাকা ছাড়া। আমাদের ছেলে-মেয়েরা আতংকের মধ্যে রয়েছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা বাড়িতে যেতে ভয় পাচ্ছে। আমরা ইয়াবা কারবারি ফরিদ শেখ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে চাই। আমরা ফরিদ শেখের বিচার চাই। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের সহায়তা চাই। আমরা জাতির বিবেক সংবাদিক ভাইদের সাহায্য চাই।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন শাহাবুদ্দিন শেখ ও তার স্ত্রী হাজেরা বেগম।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড স্বর্ণঘোষ গ্রামের আবুল হাসেম শেখের ছেলে ফরিদ শেখ ইয়াবা ব্যবসা করে এখন কোটি টাকার মালিক। ইয়াবা ব্যবসা করে তিনি শরীয়তপুর শহরের কোর্ট সংলগ্ন এলাকায় গড়ে তুলেন আলিশান বহুতল ভবন। আলোচিত এই ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক সহ একাধিক মামলা। একাধিক বার ইয়াবা সহ ধরা পড়ে জেলও খেটেছেন তিনি। এরপর থেকে ধীরে ধীরে লেবাস পাল্টাতে শুরু করেন বহুরূপী ফরিদ। লম্বা দাড়ি রেখে, লম্বা পাঞ্জাবী আর টুপি পড়ে রীতিমতো বনে যান এক বিরাট পরহেজগার। তার নামের সাথে হাজী শব্দটিও দেখা যায় ইদানিং। গত পৌরসভা নির্বাচনে ৮নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে ক্ষমতা আর টাকার জোরে জিতে যান আলোচিত ইয়াবা কারবারি ফরিদ শেখ।

ফরিদ শেখ লেবাস পাল্টিয়ে কাউন্সিলর হলেও পাল্টায়নি তার পুরনো চরিত্র। দীর্ঘদিন যাবত তার এক দরিদ্র প্রতিবেশী শাহাবুদ্দিন শেখ ও তার পরিবারকে উচ্ছেদ করে জায়গা সম্পত্তি ভোগ দখলের পায়তারা করে আসছে ফরিদ। ইতিপূর্বে একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে শাহাবুদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যদের গুরুতর আহত করেছে সে। ওই ঘটনার সুবিচার চেয়ে ফরিদ শেখের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন শাহাবুদ্দিন। মামলা করার কারনে শাহাবুদ্দিন ও তার পরিবারের উপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ইয়াবা কারবারি ফরিদ।

এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার (১৮ আগষ্ট) বেলা ১১টার দিকে আবারও শাহাবুদ্দিন শেখ ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালায় ইয়াবা কারবারি ফরিদ শেখ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। সন্ত্রাসীরা শাহাবুদ্দিন শেখ, শাহাবুদ্দিন শেখের প্রতিবন্ধী মেয়ে তাহমিনা আক্তার, লিমা আক্তার, ছেলে তালহা শেখ ও স্ত্রী হাজেরা বেগমকে ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। সন্ত্রাসী ফরিদ শেখ তাহমিনা আক্তারের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যপুরি কোপালে তাহমিনা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাহমিনার মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে সন্ত্রাসী ফরিদ শেখ ও তার বাহিনী চলে যায়। সন্ত্রাসীদের ভয়ে অসহায় পরিবারটির সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসতে সাহস পায়নি। সন্ত্রাসীরা চলে গেলে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। তাহমিনার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। অসহায় পরিবারটির কোন নিকটাত্মীয় না থাকায় ছোট মেয়ে লিমা আক্তার ও ছেলে তালহাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রেখে বাবা শাহাবুদ্দিন শেখ ও মা হাজেরা বেগমকেই আহত অবস্থায় বড় মেয়ে তাহমিনাকে নিয়ে ঢাকা যেতে হয়। এ ঘটনার দুইদিন পর (গত ২০ আগষ্ট) শাহাবুদ্দিন শেখ বাদী হয়ে সন্ত্রাসী ফরিদ শেখকে প্রধান আসামি সহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জনকে আসামী করে পালং মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলর অন্য আসামীরা হলেন, আবুল হাসেম শেখ, আবুল হাসেম শেখের ছেলে খবির শেখ, জাকির শেখ, রবিন শেখ ও খালেক শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার।

এ বিষয়ে জানার জন্য ফরিদ শেখের মোবাইলে কল করলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন রেখে দেন।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, ‘আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো.সাইফুল হক বলেন, মাদক ও সন্ত্রাসের সাথে যারাই জড়িত থাকবে তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হবে। যত ক্ষমতাধরই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।

1 2 3 4 11