মাদারীপুরে জমিজমা নিয়ে পারিবারিক কলোহের জেরে পূজোর অনুষ্ঠানে মন্দিরে যাওয়ার সময় দুই ভাইকে কুপিয়ে আহত, ১ জন আটক

জাফরুল হাসান
বিশেষ প্রতিনিধি
নিউজ২৪লাইন:

মাদারীপুরে রাজৈর উপজেলায় জমিজমা নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে মন্দিরে যাওয়ার সময় বাবুল কৃশ্ন বাড়ৈ (৪৮) ও তার ছোট ভাই অসীম বাড়ৈ (৪৫) নামে দুই ভাইকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত ১০ টার দিকে দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে অংশ্যগ্রহন করতে যাওয়ার পথে, পলিতা সার্বজনীন দূর্গামন্দীরে পাশের রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ আলমগীর হোসেন এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বুধবার রাত ১০ টার দিকে পলিতা সার্বজনীন দূর্গামন্দীরে পাশের রাস্তায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এই সময় প্রতিপক্ষের আঘাতে উপজেলার খালিকা ইউনিয়নের পলিতা গ্রামের নারায়ন বাড়ৈর দুই ছেলে বাবুল কৃষ্ণ বাড়ৈ (৪৮) ও তার ছোট ভাই অসীম বাড়ৈ (৪৫) আহত হয়। তারা দুজনেই পেশায় শিক্ষক। রাত ১১ টা থেকে তারা মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় একই গ্রামের চিত্তরঞ্জন বাড়ৈর ছেলে বিনয় বাড়ৈকে (৫৫) আটক করেছে পুলিশ। সে এখন থানা হেফাজতে রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বাবুল ও বিনয়ের পরিবারের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এই বিষয়ে আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। এসব নিয়েই এই ঘটনা ঘটতে পারে। ভুক্তভোগীর পরিবার মৌখিকভাবে আমাকে মামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। তারা যদি লিখিত অভিযোগ দেন। তাহলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

ভুক্তভোগী বাবুলের ছোটভাই শশাঙ্ক বাড়ৈ বলেন, ২০১৮ সাল থেকে বিনয়ের পরিবারের সাথে আমাদের জমিজমা নিয়ে মামলা চলছে। এটা আমাদের কেনা সম্পত্তি। কিন্তু তারা ভারত থেকে একজনকে জমির মালিক বানিয়ে আমাদের জমি দখলের জন্য আদালতে মামলা করেছে। বুধবার রাত ১০ টায় আমার ভাই বাবুল ও অসীম পলিতা পূর্ব পাড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দির এর বিজয় দশমীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে। বিনয় তার সহযোগী তন্ময়, স্বপন, তুষার, ও চঞ্চল বাড়ৈ এবং রতন বৈরাগী কে সাথে নিয়ে তাদের উপর হামলা করে তাদের দা (দেশীয় অস্ত্র) দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার ভাইদের হত্যার উদ্দেশ্যে তারা এই হামলা চালিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমার দুইভাই ও আমি পেশায় শিক্ষক। সামান্য জমির জন্য কিভাবে তারা আমার ভাইদেরকে কোপাতে পারল? তারা বর্তমানে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমরা এই বিষয়ে মামলা দায়ের করব। আর আমার ভাইদের উপর হামলার বিচার চাই।

হামলা ও দা দিয়ে কোপানোর বিষয়ে জানতে চাইলে আটককৃত বিনয়ের ছোটভাই তন্ময় বাড়ৈ বলেন, ওইখানে শুধু হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আমাদের কেও তাদের দা দিয়ে কোপায়নি। বুধবার মন্দিরে বিজয় দশমীর উৎসব চলছিল এ সময় দুটো ছেলে মন্দিরের মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনে গিয়ে, মহিলাদের ইভটিজিং করছিল। এ সময় তাদের নিষেধ করল তারা আমাদের সাথে বাজে ব্যবহার করে। এসময় মন্দিরে তাদের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে তারা তাদের বাড়িতে গিয়ে লোকজন নিয়ে আসে আমাদের কে মারার জন্য। পরে মন্দিরের বাইরে বাবুল ও তার আত্মীয়-স্বজনের সাথে আমাদের হাতাহাতি ও ধধস্তাধস্তি হয়। এই সময় তাদের দুই/তিনজন আহত হয় এবং তাদের কিছুটা কেটে যায়।

তিনি আরো বলেন, কাকতালীয় ভাবে আর একটা বিষয় হল, জমিজমা নিয়ে তাদের সাথে একটি পরিবারের (হারসিত বাড়ৈর) সাথে মামলা চলছে। পরিবারটি আমাদের আত্মীয় হওয়ায় আমরা শুধু ওই পরিবারকে মামলার বিষয়ে সমর্থন দিয়েছি। তাই তারা বলছে। পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওই হত্যার উদ্দেশ্যে, আমরা তাদের উপর হামলা চালিয়েছি। এটা সম্পুর্ন মিথ্যা কথা।

আমি আওয়ামীলীগের দালাল

নিউজ২৪লাইন:
নিজেকে ” আওয়ামী লীগের দালাল বলে পরিচয় দিয়ে ব্যরিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন,এর বাইরে আমার যাওয়া সুযোগ নাই।
এসময় ব্যারিষ্টার সুমন বলেন, আওয়ামীলীগের সবচেয়ে খারাপ সময়ে আমি আওয়ামীলীগ -ছাএলীগ করা ছেলে।

আপনারা নিশ্চিত ধরে রাখতে পারেন আমি আওয়ামীলীগের দালাল,শেখ হাসিনা আমার নেতা,আর আদর্শ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।এটা স্পস্ট,এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নাই।

নিজেকে ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ বলে পরিচয় দিয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ তার নাই।

সালথায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালন

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

“নির্ভুল জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কর্ম, শুদ্ধ ভান্ডার গড়ব” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ফরিদপুরের সালথায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস ২০২২ইং উদযাপন উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপজেলা পরিষদের চত্বর থেকে র‍্যালী বের হয়ে সালথা সদর বাজারসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রশিক্ষণ করে সূচনা স্থানে এসে শেষ হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোছাঃ তাছলিমা আকতারের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের প্যালেন চেয়ারম্যান রুপা বেগম।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সালাহউদ্দিন আইয়ুবী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পরিতোষ বাড়ৈ, রামকান্তপুর ইউপি সচিব আব্দুস সোবহান মোল্লা, ভাওয়াল ইউপি সচিব আল-মামুন, আটঘর ইউপি সচিব শহিদুল ইসলাম, বল্লভদী ইউপি সচিব সেলিম মিয়া প্রমুখ। এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ তাছলিমা আকতার বলেন, একটি শিশুর ৪৫ দিনের মধ্যে অবশ্যই তার জন্ম নিবন্ধন যেকোনো ইউপি কার্যালয় বা পেীরসভায় জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে স্থানীয় সরকার একটি আইন তৈরি করেছে। প্রত্যেক শিশুর জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক্। এটি একটি শিশুর জন্মের পর তার নাগরিক অধিকার হিসেবে আমাদের দেশে বিবেচিত হচ্ছে । তিনি আরও বলেন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ এর ৮ ধারা অনুযায়ী, শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন এবং কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন করতে হবে।

পুলিশ এখন আতঙ্ক নয় বরং মানুষের বন্ধু

নিউজ২৪লাইন:

নুরুজ্জামান শেখ শরীয়তপুর থেকে।

মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারেনা ও বন্ধু। ভূপেন হাজারীর সেই বিখ্যাত গানের সাথে মিলিয়ে বলতে চাই বাংলাদেশ পুলিশ এখন মানুষের জন্য।
মানুষের সেবাই পুলিশের ধর্ম। পুলিশ এখন আতঙ্ক নয় বরং মানুষের পরম বন্ধু। পালং মডেল থানার এসআই মাহমুদ হাসান রনি তার কর্মের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন পুলিশ মানুষের জন্য। এক সময় মানুষ পুলিশকে আতঙ্ক মনে করত এবং তাদেরকে ভয় পেত। সাধারণ মানুষ বিপদে পড়লেও তাদের কাছে ভয়ে যেত না। তবে এ সংস্কৃতিটা একেবারে পাল্টে গিয়েছে। আমাদের শরীয়তপুরের কৃতি সন্তান বাংলাদেশের সফল আইজিপি এবং বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শ এ কে এম শহিদুল হক পুলিশদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন কর্মক্ষেত্রে আপনাদের আচরণ এমন হতে হবে, সাধারণ মানুষ বিপদে পড়লে পুলিশের কাছে আশ্রয় নিবে। মানুষের কাছে পুলিশ বন্ধু হয়ে যাবে, পুলিশের কাছে না। সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শক ডক্টর বেনজির আহমেদ বলেছেন প্রত্যেক পুলিশ সদস্যদের আচার ব্যবহার এমন হতো হবে এদেশের মানুষ আমাদেরকে শত্রু মনে না করে বরং বন্ধু ভাবতে শিখে। কোন মানুষ থানায় এসে হয়রানির শিকার না হয়। এটা মনে রাখতে হবে আমরা দেশ ও জাতিকে নিরাপদে রাখার জন্য এ পেশায় যোগদান করেছি।
সম্প্রতি ঘটনা: জন্মসূত্রে ভারতবর্ষের নাগরিক। নাম নিভৃতি মল্লিক (২২),স্বামী অনুপ মল্লিক, জন্মস্থান কলকাতার পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া গ্রামে, ভারতের জাতীয় পাসপোর্ট অনুযায়ী স্থায়ীভাবে বসবাস। ভারতের নাগরিক নিভৃতির বাবা নিখিল চন্দ্র রায়, মাতা সরলা চন্দ্র রায়, গ্রাম চরঘড়িয়া, থানা- বাটিয়াঘাটা, জেলা- খুলনা, বর্তমানে বাংলাদেশে বসবাস। বর্তমানে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা।
গত ৪ অক্টোবর ২০২২ নিভৃতি মল্লিক বাংলাদেশে বাবা- মার কাছে আসার জন্য কলকাতা থেকে বেনাপোলে আসেন। বেনাপোলের বাস স্ট্যান্ডের বাসের সুপারভাইজার ওই বাস খুলনা যাওয়ার কথা বললে, ওই মেয়েটি ওই বাসে উঠে বসে। ওই বাস খুলনা যাওয়ার পর পাম্পে অবস্থান করলে মেয়েটির পেটে ব্যাথা উঠলে পাম্পের বাথরুমে যায়। বাথরুমে যাওয়ার পর অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটির রক্তক্ষরণ হতে থাকে। রক্ত দেখে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে বাসের হেলপার সুপারভাইজার ওই অবস্থায় মেয়েটিকে বাসে উঠিয়ে বসায়। ওই মেয়েটি খুলনা বাস স্ট্যান্ডে আসার কথা থাকলেও,ওই বাস চলে আসে শরীয়তপুর বাস স্ট্যান্ডে । ওই পরিবহনের লোকজন মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় কাপড় চোপড়ের ব্যাগসহ বাসস্ট্যান্ডে রাস্তার পাশে রেখে চলে যায়। তখন সময় ছিল সন্ধ্যা সাতটা। মেয়েটি অসুস্থ থাকার কারণে কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলেও তেমন কিছু বলতে পারিনি। তখন ওই মুহূর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি পালং মডেল থানায় বিষয়টি অবগত করেন। ওই মুহূর্তে পালং থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আকতার হোসেন এস আই মাহমুদ রনি কে বিষয়টি দ্রুত দেখার জন্য নির্দেশ দেন। এসআই মাহমুদ রনি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্হলে চলে গিয়ে মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত ডাক্তার মেয়েটিকে দেখে বলেন, মেয়েটি অন্তঃসত্ত্ব,রক্ত ক্ষরণের কারণেই মেয়েটি অসুস্থ হয়েছে। এস আই মাহমুদ রনি ওই মেয়েটির দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসা করিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করান। এসআই মাহমুদ রনি ওই অসুস্থ মেয়েটিকে সেবা যত্ন করার জন্য হাসপাতালে একজন আয়া রেখে দেন। অসুস্থ মেয়ের সাথে থাকা তিনটি ব্যাগ, একটি স্বর্ণের চেইন, একটি আংটি এবং কিছু টাকা এসআই মাহমুদ রনি তার নিজ দায়িত্বে গচ্ছিত রাখেন। এস আই মাহমুদ রনি মেয়ের মুঠো ফোন থেকে তার পিতা-মাতাকে জানালে পরের দিন সকালে খুলনা থেকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে মেয়ের কাছে চলে আসে। এসআই মাহমুদ রনি মেয়ের পিতা-মাতাকে থানায় ডেকে ওই মেয়ের যা কিছু ছিল তার পিতা মাতার কাছে সবকিছু বুঝিয়ে দেন। মেয়ের বাবা নিখিল চন্দ্র রায় গণমাধ্যমকে বলেন পুলিশের কারণে আজকে আমার মেয়েকে অক্ষত অবস্থায় আমরা ফিরে পেলাম। পুলিশের হাতে না পরলে আমার মেয়ের বড় ক্ষতি হতে পারতো। টাকা-পয়সা, মাল সামানা, স্বর্ণ, পাসপোর্ট খোয়া যেতে পারত। পুলিশের এমন মানবিক কাজ দেখে আমরা অত্যন্ত খুশি এবং গর্বিত। উদ্ধারকৃত নিভৃতি মল্লিক গণমাধ্যমকে বলেন বাংলাদেশের পুলিশ এত ভাল এটা আমার জানা ছিল না। এসআই মাহমুদ রনি ভাই আমাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দিয়ে সেবা করেছেন এবং আমাকে দেখাশোনার জন্য একজন আয়া রেখে দিয়েছেন। আমার মাল সামানা টাকা পয়সা জিনিস গয়না মোবাইল তার কাছে রেখেছেন এবং আমাকে সবকিছু ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমার কোন কিছু খোয়া যায়নি। পুলিশ মাহমুদ রনি ভাই আমার জন্য যা করেছে তা আমি কোনদিন ভুলতে পারবো না। আমি অত্যন্ত খুশি।