কক্সবাজার জেলা সার্চ মানবাধিকারের সভাপতি মোঃ আলী মুন্নার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

 

সার্চ মানবাধিকার সোসাইটি বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার সভাপতি মোঃ আলী মুন্নার উপর গত আট অক্টোবর রাত দশটার দিকে অফিস থেকে ফেরার পথে একদল সন্ত্রাসী রাতের আঁধারে অতর্কিত হামলা করে। উক্ত হামলার প্রতিবাদে ১০ অক্টোবর সোমবার সকাল এগারোটায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা সার্চ মানবাধিকার সোসাইটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমাম হোসেন ইমন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ার সিকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিম উল্লাহ সিরাজী, সহ সভাপতি হোসনে আরা, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ বিদ্যুৎ, সাংগঠনিক টিম আবদুল আলিম ভান্ডারী, সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি জামাল হোসেন, উখিয়া উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবছার কামাল ট্রাস্ট।

বক্তারা বলেন কক্সবাজার জেলা সার্চ মানবাধিকার সোসাইটির সভাপতি মোঃ আলী মুন্না অসহায়, নির্যাতিত, নিপিড়ীত, বঞ্চিত, লাঞ্ছিত মানুষের পাশে থাকেন। তিনি সবসময় নির্যাতিত মানুষের পক্ষে লড়াই করে। তাই মাদকাসক্ত সন্তাসীরা ওনাকে হত্যার চেষ্টা করেন। হামলার ৪৮ ঘন্টা পার হলেও প্রশাসন হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে পারে নাই। বক্তারা আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করলে সারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলা ও উপজেলায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

 

এতে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা সার্চ মানবাধিকার সোসাইটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমাম হোসেন ইমন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ার সিকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিম উল্লাহ সিরাজী, সহ সভাপতি হোসনে আরা, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ বিদ্যুৎ, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ বিদ্যুৎ, সাংগঠনিক টিম আবদুল আলিম ভান্ডারী, উখিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবছার কামাল ট্রাস্ট, সদর উপজেলার সভাপতি জামাল হোসেন, কক্সবাজার জেলা কমিটির অপরাধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জুবায়ের, প্রচার সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ও মোঃ আইয়ুব, দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রুজি চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জমির উদ্দিন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শাহ নেওয়াজ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সহ জেলা ও উপজেলার অনেক মানবাধিকার কর্মী।

জাজিরায় পরিকল্পিত ভাবে আগুন দিয়ে ৮টি ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে

নিউজ২৪লাইন:

রতন আলী মোড়ল জেলা প্রতিনিধি;
শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের রহিমুদ্দিন মালাই মৃধা কান্দি গ্রামে ঘরের বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দিয়ে এবং বাড়িতে থাকা টিউবওয়েলের মাথা খুলে দিয়ে রিক্সাচালক মোতালেব মৃধার বসতঘরে দুষ্কৃতকারীর দেয়া আগুনে ৮টি ঘর পূড়ে গিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে নিস্ব হয়ে গেছে।

রবিবার (0৯-অক্টোবর) গভীর রাত প্রায় একটায় ঘরে থাকা মোতালেব মৃধার স্ত্রী রাহেলা বেগম(৬৫) বুঝতে পারেন ঘরে আগুন লেগেছে। ততক্ষণে আগুন রাহেলা বেগমের বসতঘরসহ বেশ কয়েকটি ঘরে আগুন লেগে গিয়েছে। এসময় আসপাশের লোকজন চলে আসে বাড়িতে এবং আগুন নিভানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।

ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও স্থানীয় লোকজনের তিন ঘন্টা চেষ্টার ফলে আগুন নিভানো সম্ভব হয় ভোর চারটার সময়। ততক্ষণে মোতালেব মৃধার বসতঘরসহ আসপাশের অন্তত ৮টি ঘর পুড়ে যায়। যার ফলে অন্তত ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।

ভুক্তভোগী মোতালেব মৃধার ছেলে বেলাল মৃধা জানান, গভীর রাতে দুষ্কৃতকারীরা আমাদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকিয়ে দেয়া হয় এবং বাড়ির টিউবওয়েলগুলো খুলে ফেলা হয় যাতে করে পানি না দেয়া যায়।

রাহিলা বেগম(৬৫) বলেন, হঠাৎ দেখি ঘরের মধ্যে আগুন জ্বলছে। আমি আর আমার নাতনী সাদিয়া জাহান আফরিন(১০) ঘরের মধ্যে আটকে ছিলাম। অনেক্ষণ পরে ঘর বাইরে থেকে খুললে আমরা বেরিয়ে আসতে সক্ষম হই। ততক্ষণে ঘরের বেশিরভাগই পুড়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সাবেক মেম্বার আলিউজ্জামান মৃধা জানান, আমরা আগুন দেখে দ্রুত আগুন নিভানোর চেষ্টা করি। অনেক্ষণ চেষ্টার পরে ফায়ার সার্ভিস আসে। পরে আমরা এবং ফায়ার সার্ভিসের লোকজনসহ সবাই মিলে চেষ্টা করে আগুন নিভাতে সক্ষম হই। ততক্ষণে ৮টি ঘর পূড়ে ছাই হয়ে যায়।

জাজিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাষ্টার এনামুল হক সুমন বলেন, আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তবে আটটি ঘর পূড়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন হয়েছে। আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন হয়েছে এবং চার লক্ষ টাকার মালামাল উদ্ধার হয়েছে।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ৪১০ নম্বরের একটি সাধারণ ডায়েরী হয়েছে। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ নং ওয়ার্ডে (ডামুড্যা) জনপ্রিয়তায় এগিয়ে সৈয়দ ইকবাল হোসেন ওসমান

নিউজ২৪লাইন:

বিশেষ প্রতিনিধি :শরীয়তপুর জেলা পরিষদ নির্বচনে প্রতীক পাওয়ায় পরপরই আনুষ্ঠানিক প্রচারনা শুরু করে আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনের সদস্য প্রার্থীরা।
জেলা পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ড ডামুড্যা থেকে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন তারা হলেন জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য হাতি প্রতিকের মো. শামিম খান, তালা প্রতীকের সৈয়দ ইকবাল হোসেন ওসমান। ডামুড্যা উপজেলা ৩নং ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১০৭ জন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান ও মেম্বার দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা আওয়ামিলীগ নেতা বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী সৈয়দ ইকবাল হোসেন ওসমান তাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন।ইতিমধ্যে তিনি প্রতীক পাওয়ার পর থেকে প্রতিটি ভোটারদের ধারে ধারে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন এবং দোয়া প্রার্থনা করছেন।দিচ্ছেন নির্বাচিত হতে পারলে সচ্ছতার সাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি। ইতিমধ্যে তিনি ডামুড্যা পৌরশহর,ধানকাঠি ইউনিয়ন, শিধুলকুড়া ইউনিয়ন, ইসলাম পুর ইউনিয়ন, কনেশ্বর ইউনিয়ন, সিড্যা ইউনিয়ন, দারলআমান ইউনিয়ন, পুর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের মেয়র,কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সাথে কুশল বিনিময় সহ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রেখে ভোটারদের মন জয় করে চলেছেন।

ভোটারদের সতস্ফর্ত অংশগ্রহণে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন সৈয়দ ইকবাল হোসেন ওসমান । এমনই অভিমত ভোটারদের।
এ বিষয়ে তালা প্রতিকের প্রার্থী ষৈয়দ ইকবাল হোসেন ওসমান বলেন,ভোটারদের সারা দেখে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী ইনশাআল্লাহ । আমি ভোটার ও সাধারন জনগন সকলের দোয়া ও সমর্থনে বিজয়ী হলে শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে জেলা পরিষদ এর প্রাপ্ত বরাদ্দ সুষম বণ্টন করব।

খোজ নিয়ে জানা গেছে,ইকবাল হোসেন ওসমান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হওয়ায় ব্যক্তিগত অর্থে অসহায় দরিদ্র মানুেষর জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ আর্থিক ভাবে সহায়তা করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া মসজিদ মাদ্রাসা মন্দিরে অনাবরত দান করে যাচ্ছেন। করোনার সময় ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের পাশে সাধ্যমত ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। সৈয়দ ইকবাল হোসেন ওসমান ধানকাঠি ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহি মীর পরিবারের সন্তান হওয়ায় তাকে ইতিমধ্যে সমর্থন জানিয়ে তার জন্য ভোট চেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন।
ইতিমধ্যে ৭টি ইউনিয়নের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ভোটারদেও সাথে আলোচনা করা জানা যায় অন্যান্য প্রার্থীও চেয়ে অনেক বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হবেন সৈয়দ ইকবাল হোসেন ওসমান।