শরীয়তপুরের সুরেশ্বর লঞ্চঘাট থেকে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার

নিউজ২৪লাইন:

মঞ্জুরুল ইসলাম রনি শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পদ্মানদী থেকে প্রায় ৪০ বছর বয়সী এক অজ্ঞাত পুরুষদের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় সুরেশ্বর লঞ্চঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

সুরেশ্বর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু আব্দুল্লাহ বলেন, সকাল ৯টার দিকে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ থেকে একটি কল আসে। সুরেশ্বর লঞ্চ ঘাটের পূর্বপাশে চায়না ড্রেজারের সাথে অজ্ঞাতনামা একটি মরদেহ ভাসতেছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে আমরা সুরেশ্বর নৌপুলিশ ফাঁড়ির নৌপুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই চায়না ড্রেজারের সাথে পদ্মা নদীতে একটি অর্ধগলিত মরদেহ ভাসতেছে। আমরা মরদেহটি উদ্ধার করি। এরপর লাশটি সনাক্ত করার জন্য সিআইডির ক্রাইম যোগাযোগ করি। ক্রাইম সিনের সদস্যরা ফরিদপুর থেকে আসতেছেন। ওনারা ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়ার পরে মরদেহটি শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় ইউডি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জাজিরার জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ আটক ১০

নিউজ২৪লাইন:

রতন আলী মোড়ল প্রতিনিধি:
জাজিরা (শরীয়তপুর)।

শরীয়তপুরের জাজিরার টিএন্ডটি মোড়ে জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, আবু ফকির ও মামুন ফকিরদের সাথে গাজী ফকির ও ইসাহাক ফকিরদের দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। উক্ত সংঘর্ষে অন্তত ৬০ থেকে ৭০টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

এতে হোসেন(৩২) নামে একজন পুলিশ সদস্যসহ আহত অন্তত ১০ জন। যার মধ্যে স্থানীয় সিরাজ বেপারির ছেলে কলেজ ছাত্র তন্ময় বেপারী(২৩) নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

সরেজমিনে জানা যায়, জাজিরার টিএন্ডটি মোড়ের হরিয়াশা এলেকার স্থানীয় আবু ফকির ও ইসাহাক ফকিরের মধ্যে টিএন্ডটি মোড়ের একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। যা নিয়ে ইতিপূর্বে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও শালিশদের নিয়ে একাধিকবার শালিসি বৈঠকও হয়।

সবশেষ বৃহস্পতিবার (২০-অক্টোবর) বিকালে স্থানীয় আবু ফকির ও মামুন ফকির গ্রুপ বনাম ইসাহাক ফকির ও গাজি ফকির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে উভয় পক্ষের সমর্থকরা লাঠিসোটা ও ছেনদা-রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।

এছাড়া উভয় পক্ষের সমর্থকরা অন্তত ৬০ থেকে ৭০টি হাতবোমা/ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে দুইটি ককটেলসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে জাজিরা থানা পুলিশ।

এই ঘটনায় হাতবোমার স্প্লিন্টার থেকে ইসাহাক ফকিরের বাড়িতে থাকা একটি ঘরে আগুন লেগে গিয়ে তা ছড়িয়ে পড়ে কয়েকটি ঘড় পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট এসে দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে জাজিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাষ্টার মোঃ এনামুল হক সুমন জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।

অন্যদিকে জাজিরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ঘটনা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্যে এবং তাৎক্ষনিক সংঘর্ষ থামাতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন পুরুষ ও মহিলা আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এতে আমাদের চার রাউন্ড ফাকা গুলি করতে হয়। এখনও কোন পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া অভিযোগ না আসলেও আমরা আমাদের মত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।