শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত

নিউজ২৪লাইন:

“আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি” এ প্রতি পাদ্যে জাজিরা উপজেলায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১ টায় জাজিরা উপজেলার চত্বর ও টিএনটি বাসস্ট্যান্ডে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) উদ্যোগে সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য র‍্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
র‍্যালীতে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব কামরুল হাসান সোহেল, নিরাপদ সড়ক চাই নিসচার সভাপতি জনাব রেজাউল করিম মিতু, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জনাব সেলিম মাদবর, নিসচার সাধারণ সম্পাদক জনাব জামাল মাদবর, উপজেলা স্কাউট সাধারণ সম্পাদক শহিদুল মাষ্টার, নিসচা সহ সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সালাম খান, দপ্তর সম্পাদক পলাশ খান, সিরাজুল ইসলাম, মতিউর রহমান,কাউসার মাঝি, জাহিদ, সোহেল, বাদশা, রুবেল, শাখাওয়াত, হিমেল, জসিম, তুহিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ ও র‍্যালীতে উপজেলা স্কাউট ও নিসচা জাজিরা উপজেলা শাখার সদস্য বৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।
গত ১০ বছরে প্রতিদিন গড়ে ১৪ জন মানুষ মারা যাচ্ছে সড়ক দুঘটনায়! যে মৃত্যু করোনার চেয়ে বেশি। এত মৃত্যুর পরও সড়ক দুর্ঘটনাকে সরকার জাতীয় সমস্যা বা মহামারি হিসেবে দেখছে না।
এর জন্য কতটা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সে প্রশ্নের জবাব নেই কর্তৃপক্ষের কাছে। কারণ যেখানে আইনের শাসন দুর্বল এবং অসচেতনতা সেখানে এমন ঘটনা ঘটাই স্বাভাবিক।
নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন করতে গিয়ে স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েরা এগিয়ে এসেছিল সবচেয়ে বেশি এবং তার সাথে অনেক অভিভাবকরাও। ২০১৭ সালে ওদের দাবী অনুযায়ী আইন পাস হয়েছে ঠিকই এবং স্লোগান হয়েছে ‘আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি’ কিন্তু তার প্রয়োগ যথাযথ হচ্ছে না। এবং সতর্কতা অবলম্বন করছে না পথচারী ও যানচালকেরা। যেকারণে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

আফতাবনগরে গ্রীন সোসাইটি বিডির শরৎ উৎসব

নিউজ২৪লাইন:
নিজস্ব প্রতিবেদক।।

এই শহুরে জীবনে শরতের সৌন্দর্য দেখার সৌভাগ্য হয় না আজকাল। কেউ কেউ হয়ত জ্যামে আটকা পড়ে শরতের রূপালি চাঁদটা দেখবার ফুসরত পায়। কিন্তু তাও বেশিক্ষণ নয়। ব্যস্ততার ভীড়ে তারা হারিয়ে যায় জীবনের কোলাহলে।

শৈশবের শরৎকাল সবার কাছেই স্বপ্নের মত। বিশেষ করে যারা গ্রাম বাংলায় বড় হয়েছেন। তারা এটাকে ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারেন। স্কুল ফেরা সেই ছেলেটির কথাই ধরা যাক,যে সবুজ ধানের ক্ষেতের মাঝ দিয়ে হেঁটে হেঁটে যাওয়ার সময় দিগন্তহীন আকাশ টাকে দেখে দেখে বড় হয়েছে। সাদা মেঘের শৈল্পিক কারুকাজে সজ্জিত নীলাকাশে মুগ্ধতায় ভরা যার শৈশব। সেই তো প্রকৃতির আসল রূপ দেখেছে।

নদীর ধারের সেই কাশবনের কথা না বললেই নয়। শরতের এই সৌন্দর্যকে উপভোগ করার জন্য প্রকৃতিপ্রেমিরা ছুটে যান কাশফুলের খোঁজে। শহরতলীতে আজকাল কাশফুলের দেখা না মিললেও তারা চলে যান শহর ছেড়ে। যান্ত্রিক জীবনের সবটুকু ক্লান্তি নিঃশেষ করতে।

শারদশশীর মিষ্টি আলোয় প্রকৃতি ঢলে দেয় তার স্বর্গীয় রূপ। এখানেও শহরের মানুষ বঞ্চিত। ছাদের কার্নিশে দাঁড়িয়ে তারা জ্যোৎস্নাচ্ছন্ন রাত উপভোগ করলেও আসল রূপটা দেখতে পাওয়া যায় না। কারণ যেখানে গ্রামের পথ ঘাট,সুবিস্তৃত মাঠে প্লাবিত হয় চাঁদের আলোয় তখন শহরতলীর জোছনাকে তুচ্ছ মনে হয়।

নাগরিক জীবনে সাদা মেঘ আর কাশফুলের কথা মনে করিয়ে দিতে পঞ্জিকার পাতায় শরৎ এসেছে বেশ কিছু দিন আগে। ইট-কাঠের রাজধানী শহরে নেই শুভ্র কাশবন। দরদালানে আকাশ ঢাকা। তাই নীল আকাশজুড়ে তুলার মতো পেঁজা মেঘের ভেসে বেড়ানোর দৃশ্য চোখে পড়ে না সহজে; কিন্তু কোথাও-না-কোথাও আছে ওসব। শরতের শুভ্রতা নিয়ে ফুটছে শিশিরভেজা শিউলি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ স্নিগ্ধ বিকেলে দেখা মিলল শরতের দৃশ্যকল্প। রাজধানী ঢাকার আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় উদযাপিত হলো দিনব্যাপী শরৎ উৎসব। কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারো ঢাকার বনশ্রীর একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন গ্রীন সোসাইটি বিডি আয়োজন করে এ উৎসবের।
দুপুর ৩টায় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ফারজানা লাইজুর সঞ্চালনায় প্রথম পর্ব শুরু হয় এই আয়োজন ‘শরৎ উৎসব-১৪২৯’ । স্বাগত বক্তব্য রাখেন শাহাবুদ্দিন শিকাদার সমমনা পরিষদের প্রেসিডেন্ট
গ্রীন সোসাইটি বিডির প্রধান উপদেষ্টা, সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম
উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি মুন্সী আসাদূর রহমান,
সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শামীমুল আলম , ক্রীড়া সম্পাদক ফারদিন জামান দ্রুব,অর্থ সম্পাদক মাহবুব ই রাব্বি, দপ্তর সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এইচ বি হেলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ল সম্পাদক শরীফ আহমেদ রায়হান, শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদক শামীম সামাদ, কার্যনির্বাহী সদস্য, মাসুদ আহমেদ, জান্নাতুল ফেরদৌস সুর্বনা, সামছুল আরেফিন, আরেফিন শুভ, নিউটন হাওলাদার, আকতার হোসেন।
২য় পর্বে উৎসব উপলক্ষে তাদের সংগঠন সকল সদস্যদের নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় উপহার হিসেবে ছিলো গাছ তার প্রধান কারণ হচ্ছে গ্রীন সোসাইটি বিডি মুলত বনশ্রীতে রাস্তার দুই পাশে গাছ লাগানো এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কাজ করেন।
এরপর শুরু হয় উৎসবের ৩য় পর্ব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, এতে গান পরিবেশন করেন অর্নব আব্বাস, অজয় ও রিয়ান সাগর। সন্ধা ৭টায় সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে উৎসবের সম্পাতি ঘোষণা করা হয়।