শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে ব্রিজে লঞ্চের ধাক্কা, প্রাণ গেল ৩ জনের আহত ২

নিউজ২৪লাইন:

ইয়ামিন কাদের নিলয়
বিশেষ প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে ব্রিজের সঙ্গে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা স্বনদ্বীপ প্লাস লঞ্চের ধাক্কার ঘটনা ঘটেছে। এতে লঞ্চের ছাদে থাকা পানির ট্যাংক পড়ে তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন আরও দুইজন। রোববার (২৩ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়নের সাইক্ষ্যা ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- জামালপুরের বোরহান আলীর ছেলে সাগর আলী, টাঙ্গাইলের নাজিম উদ্দিনের ছেলে শাকিল আহমেদ ও গোসাইরহাটের শাহ আলী মোল্লার ছেলে তানজিল। এ সময় আহত হন হিরা, সাগর রাব্বি নামে দুজন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্বর্ণদ্বীপ প্লাস নামে একটি লঞ্চ রাতে ঢাকা থেকে ডামুড্যার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। লঞ্চটি গোসাইরহাটে পৌঁছে সাইক্ষ্যা ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে লঞ্চে থাকা পানির ট্যাংক ফেটে নিচে যাত্রীদের উপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই লঞ্চের তিন যাত্রী মারা যায় এবং দুজন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠানো হয়। এর মধ্যে একজনকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় হাকিম আলী মিয়া বলেন, ভোরে আমি নামাজ পড়তে উঠি। হঠাৎ করে জোরে ব্রিজের সঙ্গে কিছু একটা ধাক্কা লাগার শব্দ পাই। দৌড়ে গিয়ে দেখি, ব্রিজের সঙ্গে লঞ্চের ধাক্কা লেগেছে। পরে লঞ্চ পাড়ে ভিড়লে উপরে ওঠে দেখি, পানির ট্যাংক নিচে পড়ে গেছে।

গোসাইরহাট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান জানান, আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি লঞ্চে থাকা পানির ট্যাংক ফেটে নিচে পড়ে রয়েছে। আমরা টাংকের নিচে চাপা পড়া পাঁচজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এর মধ্যে তিনজন মারা গেছে। একজনকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে।

শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত

নিউজ২৪লাইন:

“আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি” এ প্রতি পাদ্যে জাজিরা উপজেলায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১ টায় জাজিরা উপজেলার চত্বর ও টিএনটি বাসস্ট্যান্ডে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) উদ্যোগে সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য র‍্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
র‍্যালীতে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব কামরুল হাসান সোহেল, নিরাপদ সড়ক চাই নিসচার সভাপতি জনাব রেজাউল করিম মিতু, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জনাব সেলিম মাদবর, নিসচার সাধারণ সম্পাদক জনাব জামাল মাদবর, উপজেলা স্কাউট সাধারণ সম্পাদক শহিদুল মাষ্টার, নিসচা সহ সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সালাম খান, দপ্তর সম্পাদক পলাশ খান, সিরাজুল ইসলাম, মতিউর রহমান,কাউসার মাঝি, জাহিদ, সোহেল, বাদশা, রুবেল, শাখাওয়াত, হিমেল, জসিম, তুহিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ ও র‍্যালীতে উপজেলা স্কাউট ও নিসচা জাজিরা উপজেলা শাখার সদস্য বৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।
গত ১০ বছরে প্রতিদিন গড়ে ১৪ জন মানুষ মারা যাচ্ছে সড়ক দুঘটনায়! যে মৃত্যু করোনার চেয়ে বেশি। এত মৃত্যুর পরও সড়ক দুর্ঘটনাকে সরকার জাতীয় সমস্যা বা মহামারি হিসেবে দেখছে না।
এর জন্য কতটা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সে প্রশ্নের জবাব নেই কর্তৃপক্ষের কাছে। কারণ যেখানে আইনের শাসন দুর্বল এবং অসচেতনতা সেখানে এমন ঘটনা ঘটাই স্বাভাবিক।
নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন করতে গিয়ে স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েরা এগিয়ে এসেছিল সবচেয়ে বেশি এবং তার সাথে অনেক অভিভাবকরাও। ২০১৭ সালে ওদের দাবী অনুযায়ী আইন পাস হয়েছে ঠিকই এবং স্লোগান হয়েছে ‘আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি’ কিন্তু তার প্রয়োগ যথাযথ হচ্ছে না। এবং সতর্কতা অবলম্বন করছে না পথচারী ও যানচালকেরা। যেকারণে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

আফতাবনগরে গ্রীন সোসাইটি বিডির শরৎ উৎসব

নিউজ২৪লাইন:
নিজস্ব প্রতিবেদক।।

এই শহুরে জীবনে শরতের সৌন্দর্য দেখার সৌভাগ্য হয় না আজকাল। কেউ কেউ হয়ত জ্যামে আটকা পড়ে শরতের রূপালি চাঁদটা দেখবার ফুসরত পায়। কিন্তু তাও বেশিক্ষণ নয়। ব্যস্ততার ভীড়ে তারা হারিয়ে যায় জীবনের কোলাহলে।

শৈশবের শরৎকাল সবার কাছেই স্বপ্নের মত। বিশেষ করে যারা গ্রাম বাংলায় বড় হয়েছেন। তারা এটাকে ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারেন। স্কুল ফেরা সেই ছেলেটির কথাই ধরা যাক,যে সবুজ ধানের ক্ষেতের মাঝ দিয়ে হেঁটে হেঁটে যাওয়ার সময় দিগন্তহীন আকাশ টাকে দেখে দেখে বড় হয়েছে। সাদা মেঘের শৈল্পিক কারুকাজে সজ্জিত নীলাকাশে মুগ্ধতায় ভরা যার শৈশব। সেই তো প্রকৃতির আসল রূপ দেখেছে।

নদীর ধারের সেই কাশবনের কথা না বললেই নয়। শরতের এই সৌন্দর্যকে উপভোগ করার জন্য প্রকৃতিপ্রেমিরা ছুটে যান কাশফুলের খোঁজে। শহরতলীতে আজকাল কাশফুলের দেখা না মিললেও তারা চলে যান শহর ছেড়ে। যান্ত্রিক জীবনের সবটুকু ক্লান্তি নিঃশেষ করতে।

শারদশশীর মিষ্টি আলোয় প্রকৃতি ঢলে দেয় তার স্বর্গীয় রূপ। এখানেও শহরের মানুষ বঞ্চিত। ছাদের কার্নিশে দাঁড়িয়ে তারা জ্যোৎস্নাচ্ছন্ন রাত উপভোগ করলেও আসল রূপটা দেখতে পাওয়া যায় না। কারণ যেখানে গ্রামের পথ ঘাট,সুবিস্তৃত মাঠে প্লাবিত হয় চাঁদের আলোয় তখন শহরতলীর জোছনাকে তুচ্ছ মনে হয়।

নাগরিক জীবনে সাদা মেঘ আর কাশফুলের কথা মনে করিয়ে দিতে পঞ্জিকার পাতায় শরৎ এসেছে বেশ কিছু দিন আগে। ইট-কাঠের রাজধানী শহরে নেই শুভ্র কাশবন। দরদালানে আকাশ ঢাকা। তাই নীল আকাশজুড়ে তুলার মতো পেঁজা মেঘের ভেসে বেড়ানোর দৃশ্য চোখে পড়ে না সহজে; কিন্তু কোথাও-না-কোথাও আছে ওসব। শরতের শুভ্রতা নিয়ে ফুটছে শিশিরভেজা শিউলি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ স্নিগ্ধ বিকেলে দেখা মিলল শরতের দৃশ্যকল্প। রাজধানী ঢাকার আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় উদযাপিত হলো দিনব্যাপী শরৎ উৎসব। কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারো ঢাকার বনশ্রীর একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন গ্রীন সোসাইটি বিডি আয়োজন করে এ উৎসবের।
দুপুর ৩টায় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ফারজানা লাইজুর সঞ্চালনায় প্রথম পর্ব শুরু হয় এই আয়োজন ‘শরৎ উৎসব-১৪২৯’ । স্বাগত বক্তব্য রাখেন শাহাবুদ্দিন শিকাদার সমমনা পরিষদের প্রেসিডেন্ট
গ্রীন সোসাইটি বিডির প্রধান উপদেষ্টা, সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম
উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি মুন্সী আসাদূর রহমান,
সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শামীমুল আলম , ক্রীড়া সম্পাদক ফারদিন জামান দ্রুব,অর্থ সম্পাদক মাহবুব ই রাব্বি, দপ্তর সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এইচ বি হেলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ল সম্পাদক শরীফ আহমেদ রায়হান, শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদক শামীম সামাদ, কার্যনির্বাহী সদস্য, মাসুদ আহমেদ, জান্নাতুল ফেরদৌস সুর্বনা, সামছুল আরেফিন, আরেফিন শুভ, নিউটন হাওলাদার, আকতার হোসেন।
২য় পর্বে উৎসব উপলক্ষে তাদের সংগঠন সকল সদস্যদের নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় উপহার হিসেবে ছিলো গাছ তার প্রধান কারণ হচ্ছে গ্রীন সোসাইটি বিডি মুলত বনশ্রীতে রাস্তার দুই পাশে গাছ লাগানো এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কাজ করেন।
এরপর শুরু হয় উৎসবের ৩য় পর্ব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, এতে গান পরিবেশন করেন অর্নব আব্বাস, অজয় ও রিয়ান সাগর। সন্ধা ৭টায় সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে উৎসবের সম্পাতি ঘোষণা করা হয়।

শরীয়তপুরের সুরেশ্বর লঞ্চঘাট থেকে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার

নিউজ২৪লাইন:

মঞ্জুরুল ইসলাম রনি শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পদ্মানদী থেকে প্রায় ৪০ বছর বয়সী এক অজ্ঞাত পুরুষদের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় সুরেশ্বর লঞ্চঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

সুরেশ্বর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু আব্দুল্লাহ বলেন, সকাল ৯টার দিকে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ থেকে একটি কল আসে। সুরেশ্বর লঞ্চ ঘাটের পূর্বপাশে চায়না ড্রেজারের সাথে অজ্ঞাতনামা একটি মরদেহ ভাসতেছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে আমরা সুরেশ্বর নৌপুলিশ ফাঁড়ির নৌপুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই চায়না ড্রেজারের সাথে পদ্মা নদীতে একটি অর্ধগলিত মরদেহ ভাসতেছে। আমরা মরদেহটি উদ্ধার করি। এরপর লাশটি সনাক্ত করার জন্য সিআইডির ক্রাইম যোগাযোগ করি। ক্রাইম সিনের সদস্যরা ফরিদপুর থেকে আসতেছেন। ওনারা ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়ার পরে মরদেহটি শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় ইউডি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জাজিরার জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ আটক ১০

নিউজ২৪লাইন:

রতন আলী মোড়ল প্রতিনিধি:
জাজিরা (শরীয়তপুর)।

শরীয়তপুরের জাজিরার টিএন্ডটি মোড়ে জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, আবু ফকির ও মামুন ফকিরদের সাথে গাজী ফকির ও ইসাহাক ফকিরদের দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। উক্ত সংঘর্ষে অন্তত ৬০ থেকে ৭০টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

এতে হোসেন(৩২) নামে একজন পুলিশ সদস্যসহ আহত অন্তত ১০ জন। যার মধ্যে স্থানীয় সিরাজ বেপারির ছেলে কলেজ ছাত্র তন্ময় বেপারী(২৩) নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

সরেজমিনে জানা যায়, জাজিরার টিএন্ডটি মোড়ের হরিয়াশা এলেকার স্থানীয় আবু ফকির ও ইসাহাক ফকিরের মধ্যে টিএন্ডটি মোড়ের একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। যা নিয়ে ইতিপূর্বে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও শালিশদের নিয়ে একাধিকবার শালিসি বৈঠকও হয়।

সবশেষ বৃহস্পতিবার (২০-অক্টোবর) বিকালে স্থানীয় আবু ফকির ও মামুন ফকির গ্রুপ বনাম ইসাহাক ফকির ও গাজি ফকির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে উভয় পক্ষের সমর্থকরা লাঠিসোটা ও ছেনদা-রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।

এছাড়া উভয় পক্ষের সমর্থকরা অন্তত ৬০ থেকে ৭০টি হাতবোমা/ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে দুইটি ককটেলসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে জাজিরা থানা পুলিশ।

এই ঘটনায় হাতবোমার স্প্লিন্টার থেকে ইসাহাক ফকিরের বাড়িতে থাকা একটি ঘরে আগুন লেগে গিয়ে তা ছড়িয়ে পড়ে কয়েকটি ঘড় পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট এসে দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে জাজিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাষ্টার মোঃ এনামুল হক সুমন জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।

অন্যদিকে জাজিরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ঘটনা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্যে এবং তাৎক্ষনিক সংঘর্ষ থামাতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন পুরুষ ও মহিলা আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এতে আমাদের চার রাউন্ড ফাকা গুলি করতে হয়। এখনও কোন পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া অভিযোগ না আসলেও আমরা আমাদের মত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

শরিয়তপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন, ভোটে নির্বাচিত জয়যুক্ত হলেন যারা

নিউজ২৪লাইন:
শরীয়তপুর থেকে রতন মোড়ল :

শরিয়তপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন, ভোটে নির্বাচিত জয়যুক্ত হলেন যারা
ইভিএম-এর মাধ্যমে সোমবার (১৭ অক্টোবর) দেশের ৫৭ জেলার ন‍্যায় শরীয়তপুর জেলায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হলো জেলা পরিষদ নির্বাচন। স্বচ্ছ নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। জেলা রিটার্নিং অফিসার-এর কার্যালয়ের মনিটরিং সেল থেকে এসব কেন্দ্র সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হয়। এছাড়া ৭টি কেন্দ্রের প্রতিটি কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণের জন‍্য সিসি ক‍্যামেরা ছাড়াও ম্যাজিস্ট্রেট, র‍্যাব ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো: পারভেজ হাসান সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে, সংরক্ষিত মহিলা সদস‍্য পদে ও সাধারণ সদস‍্য পদে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সংরক্ষিত মহিলা সদস‍্য পদে ৬ উপজেলায় ২ জন মহিলা সদস‍্য নির্বাচিত হয়েছেন। এদের সদর, জাজিরা ও ডামুড‍্যা উপজেলায় ১নং সংরক্ষিত মহিলা আসনে টেবিল ঘড়ি মার্কা নিয়ে ২৮৩ ভোট আসমা আকতার বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নাজমা ফজল হরিণ মার্কা নিয়ে ১২৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেলায় ২নং সংরক্ষিত মহিলা আসনে এডভোকেট হাবিবুন নাহার নিপা ফুটবল মার্কা নিয়ে ১৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী কোহিনুর সুলতানা মাইক মার্কা নিয়ে ১৪৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন এবং সাধারণ সদস‍্য পদে সদর উপজেলায় ১নং ওয়ার্ডে জেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৬ বিধি ৪১ ও উপবিধি(৬) অনুসারে লটারিতে বোরহান মুন্সী টিউবওয়েল মার্কা নিয়ে ৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী কামরুজ্জামান উজ্জ্বল আকন হাতি মার্কা নিয়ে ৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন; জাজিরা উপজেলায় ২নং ওয়ার্ডে নেছারউদ্দিন মাদবর তালা মার্কা নিয়ে ৮৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মো: আনিছুর রহমান টিউবওয়েল মার্কা নিয়ে ৮৪ মার্কা নিয়ে পরাজিত হয়েছেন; ডামুড‍্যা উপজেলায় ৩নং ওয়ার্ডে সৈয়দ ইকবাল হোসেন তালা মার্কা নিয়ে ৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হাতি মার্কা নিয়ে ২৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন; নড়িয়া উপজেলায় ৪নং ওয়ার্ডে মো: আলী আজগর চুন্নু টিউবওয়েল মার্কা নিয়ে ৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মামুন সিকদার হাতি মার্কা নিয়ে ৫৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন; ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ৫নং ওয়ার্ডে মো: আ: কাইয়ুম পাইক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ও গোসাইরহাট উপজেলায় ৬নং ওয়ার্ডে আব্রাহাম লিংকন টিউবওয়েল মার্কা নিয়ে ৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মো: নুরুজ্জামান মৃধা তালা মার্কা নিয়ে ৪২ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, ১৭ অক্টোবর শরীয়তপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলার ৬টি উপজেলা, ৫টি পৌরসভা ও ৬৫টি ইউনিয়নের ৯১৫ জন জনপ্রতিনিধি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৯৯ ও মহিলা ভোটার ২১৬। নির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য পদে ৭ জন ও সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদে ১৬ জনসহ ২৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে দুপুর ২টায় শেষ হয়েছে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ১৫ সেপ্টেম্বর৷ মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয় ১৮ সেপ্টেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। আর ভোট গ্রহণ আজ ১৭ অক্টোবর।

হলদিয়াপালং আওয়ামীলীগ নেতা ফজলুল করিম সিকদারে ইন্তেকাল

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক;

ইনসেটে ফজলুল করিম সিকদার

আবদুল আলী সিকদার বংশের প্রজন্ম পুরুষ হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম সিকদার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার দিবাগত রাত ২.৩০ টার সময়ে তিনি উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালংস্থ সিকদার পাড়া নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৫৮ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, দুই মেয়ে, আত্মীয় স্বজন সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

 

গতকাল রবিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টায় হলদিয়া পালং সিকদার পাড়া স্টেশন মাঠে মরহুমের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সিকদার পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

 

নামাজে জানাযায় ইমামতি করেন, আবদুল আলী সিকদার বংশ সংহতি সংঘ’র প্রজন্ম পুরুষ ধেছুয়া পালং কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব ক্বারী মোহাম্মদ আবু তাহের।

 

নামাজে জানাযা পূর্ব স্মরণ সভায় বক্তৃতা করেন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাহমুদুল হক চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সাজু, খুনিয়াপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ, হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার সরওয়ার কামাল বাদশা, সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিনুল হক আমিন, মরহুমের বড় ছেলে সহকারী উপ পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল করিম সিকদার রুবেল ও ভাইপো হলদিয়া পালং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আনোয়ার উল ইসলাম সিকদার প্রমুখ।

 

মরহুম ফজলুল করিম সিকদার উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সিকদার পাড়া নিবাসী আবদুল আলী সিকদার বংশের সমশের আলী  প্রজন্ম পুরুষ মরহুম হাকিম মিয়া সিকদারের দ্বিতীয় ছেলে, মরহুম ফয়েজুর রহমান সিকদারের নাতি। তিনি আবদুল আলী সিকদার বংশের একাদশ পুরুষ।

 

মরহুম ফজলুল করিম সিকদার বান্দরবান সদর থানার সহকারী উপ পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল করিম সিকদার রুবেল ও হলদিয়া পালং ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেদুল করিম সিকদার রাসেলের পিতা।

 

ফজলুল করিম সিকদার দীর্ঘ বছর হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

আবদুল আলী সিকদার বংশের প্রজন্ম পুরুষ ফজলুল করিম সিকদারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন, আবদুল আলী সিকদার বংশ সংহতি সংঘ’র সভাপতি মাহমুদুল হক সিকদার, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবদুর রাজ্জাক সিকদার, মাষ্টার আলী হায়দার, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ খালেদ, যুগ্ম-সম্পাদক ডা. এম এন আবদুল গফুর, আবছার মিয়া, মোজাম্মেল হক সিকদার সহ আবদুল আলী সিকদার বংশ সংহতি সংঘ’র প্রজন্ম কমিটির সদস্যরা।

 

আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল করিম সিকদারের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে, শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা।

 

 

 

 

 

 

1 2 3 4 5 7