উত্তর ভাষানচরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে পাকা ভবন নির্মাণ

নিউজ২৪লাইন:
নুরুজ্জামান শেখ শরীয়তপুর থেকে\ শরীয়তপুর সদর উপজেরার উত্তর ভাষানচর (তালপট্টি) গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন মোহাম্মদ আলী মাতুব্বর নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। প্রতিপক্ষকে হেনস্থা করতে তিনি আত্মীয়-স্বজন ও সন্ত্রাসীদের বাড়িতে বসিয়ে রেখেছেন। কাজে বাধা দেওয়া হলে তা প্রতিহত করার সকল প্রস্তুতি নিয়েছেন এই প্রভাবশারী ব্যক্তি।
মামলার আর্জি ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৯২ নং ভাষানচর মৌজার বিআরএস ২১৮৬ নং খতিয়ানের ৫৯১১ নং দাগের ১৬ শতাংশ জমির মালিক হিসেবে ভোগ দখলে রয়েছে নুরুল হক সিকদার। সেই জমিতে জোরপূর্বক পাকা ভবন নির্মাণ করতেছে মোহাম্মদ আলী মাতুব্বর। এই বিষয়ে নুরুল হক সিকদার শরীয়তপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিস ৫৬৫/২০২২ নং মিস পিটিশন মামলা দায়ের করেন। আদালত নালিশী জমিতে উভয় পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। একই সাথে পালং থানা পুলিশকে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে অনুরোধ করেন। আদালতের আদেশ পাওয়ার পরে অতিরিক্ত শ্রমিক ভবন নির্মাণ কাজের গতি বাড়িয়ে দিয়েছেন। পালং থানা ও আংগারিয়া ফাঁড়ি পুলিশ দফায় দফায় গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। পুলিশ চলে গেলে আবার কাজ শুরু করে। এমনি লুকোচুরির মধ্য দিন-রাত চলছে নির্মাণ কাজ।
মামলার বাদী নুরুল হক সিকদার বলেন, আমি গরীব অসহায় মানুষ। মোহাম্মদ আলী মাতুব্বরের ৩ ছেলে প্রবাসে থাকে। টাকা ও প্রভাবের কোনটাই আমার নাই। তাই আমি কোন আইনি সহযোগিতা পাই না। আমার সত্ত¡দখলীয় জমিতে আদালতের আদেশ ও পুলিশের বাধা অমান্য করে পাকা ভবন নির্মাণ করতেছে। বাড়িতে লোকজন জমা করে রেখে নির্মাণ কাজ করতেছে। প্রতিবাদ করলেই মারধর করতে আসে। আইনী সহযোগিতা না পাইলে আমার জমি হাত ছাড়া হয়ে যাবে।
মোহাম্মদ আলী মাতুব্বর বলেন, নদীর মধ্যে নুরুল হক সিকদারের জমি আছে। সেই জমি বাদ দিয়ে আমার পৈত্রিক জমি দখল করে খায়। পুলিশ এসে ভবন নির্মাণে বাধা দেয়। পরে পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে কাজ করতেছি। বাড়িতে বাহিরের লোক হিসেবে যাদের দেখেন তারা আমার আত্মীয় স্বজন।
পালং থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আকতার হোসেন বলেন, প্রথমে থানা থেকে পুলিশ পাঠিয়ে পরে আংগারিয়া ফাঁড়ি থেকে পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। এর পরেও যদি কাজ করে তাহলে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠাব।