স্বামীর অধিকারের দাবী নিয়ে এক নববধূর অনশন

নিউজ২৪লাইনঃ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি ঃ
শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সৈয়দবস্তা গ্রামের মোস্তফা বেপারীর বাড়িতে স্বামীর অধিকারের দাবীতে অনশন করছেন একই ওয়ার্ডের মজিদ বেপারীর ছোট মেয়ে শিলা আক্তার।

সরজমিনে গিয়ে এবং স্হানীয় সুত্র থেকে জানা যায় গত ৪ ডিসেম্বর কনেশ্বর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মোস্তফা বেপারীর ছেলে নাজমুল ও একই এলাকার মজিদ বেপারীর মেয়ে শিলা আক্তার গোপনে ভালবেসে বিয়ে করেন।কিন্তু নাজমুলের পরিবার এই বিয়ে কিছুতেই মেনে নিতে রাজি হয়নি। নাজমুলের পরিবারের চাপে নাজমুল শিলাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় একবার ডামুড্যা থানায় শিলা এবং নাজমুলের বিয়ে নিয়ে শালিস দরবার করে সিদ্ধান্ত হয় আগামী ১৫ দিন পর নাজমুল শিলাকে তার বাবা-মাকে বুজিয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে যাবে আর প্রত্যেক দিন নাজমুল শিলাদের বাড়িতে যাবে। কিন্তু নাজমুল তার পরিবারের চাপে শিলার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।তাই আজ ৩১ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় শিলা তার স্বামীর অধিকারের দাবীতে নাজমুলদের বাড়িতে চলে আসে। শিলা নাজমুলদের বাড়িতে আসার সাথে সাথে নাজমুলের পরিবার বাড়ি তালা মেরে চলে যায়।

এব্যাপারে নববধূ শিলা আক্তার বলেন,আমি আমার স্বামীর বাড়িতে থাকতে চাই। আমার বাবার বাসায় ফিরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এখানে আমি না থাকতে পারলে আমি আত্মহত্যা করবো।

তবে ছেলের বাবা ১৫ দিন সময় চেয়েছে

স্হানীয় মহিলা মেম্বার মনি বলেন, আমরা আনুষ্ঠানিক ভাবে মেয়েকে আনবো

ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিবা খান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাবো তবে মেয়েটির আইনের আশ্রয় নেয়া উচিৎ ।

আগামী দিনগুলো সবার প্রিয়জনের সাথে ভালো কাটুক এটাই আমার প্রত্যাশা

নিউজ২৪লইনঃ
নিজস্ব প্রতিবেদক || কাটবে রাত, আসবে প্রভাত। যাক মুছে যাক পুরাতন সব দুঃখ। নতুন বছর, নতুন আশা, সঙ্গে থাকুক ভালবাসা। প্রিয় ক্যালেন্ডারের পাতায় বছরের শেষ দিন আজ ৩১ ডিসেম্বর-২০২২ সাল। অতীতের খাতায় চিরতরে জম‍া হতে চলছে, আর মাএ কয়েক ঘন্টা পর।

আজ এখন এই মুহর্তে অনেকে অপেক্ষায় আছেন কখন ঘড়ির কাঁটায় বেঁচে উঠবে রাত ১২ টা। নতুন বছরের শুভ সূচনা। ঠিক সেই মুহূর্তে স্লোগানে মুখরিত হবে দেশ বিদেশে জুড়ে হ্যাপি নিউ ইয়ার।

নতুন বছরের শুভ সূচনায় লগ্নে পৃথিবী জুড়ে সবারই প্রত্যাশা পুরাতন কে ঝেড়ে মুছে নতুন স্বপ্ন বাঁধার। পুরনো বছরের সমস্ত ব্যর্থতা, অপূর্ণতা, গ্লানি পেছনে ফেলে সবাই বরণ করে নেব আরেকটি নতুন বছর ২০২৩ সাল।

এইদিকে, নতুন বছরকে বরণ করতে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছে-নগরবাসী। সবার প্রিয়জন ও বন্ধুমহল জুড়ে রয়েছে টানটান উত্তেজনা ও নানা ব্যস্ততা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও-২০২২ সালকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করতে প্রকাশ পেয়েছে নানা ভঙ্গিমার ইঙ্গিত।

যদিও আমরা বাঙালি, বাংলা আমাদের ভাষা, বাংলা মাস আমাদের দিনপঞ্জি, ইংরেজি বছরের গুরুত্ব ও আমাদের কাছে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে আমাদের সময়ের মিল রাখার জন্য ইংরেজি মাস আমাদের কাছে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। তথা’ সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে অফিস,আদালত, ব্যাংক- সবকিছুই চলে ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী। তাই ইংরেজি নববর্ষের গুরত্ব অপরিসীম বটে।

যদিও মন ভালো নেই, কেউ আছেন ছন্দে কেউবা আছেন নানা আনন্দে। আসুন আমরা সবাই মিলে পরম করুনাময় সৃষ্টি কর্তার কাছে একটি প্রার্থনাই করি আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন যেন আমাদের সবাইকে সুস্থ রাখেন এবং দেশ থেকে সমস্ত বালা মুসিবত দূর করেন । একে অপরের সহযোগিতা কামনা করি।
প্রিয়জন বন্ধু মহল সহ সকলে নতুন বছরের শুভ সূচনায় মনের মাঝে পুষে রাখা সকল হিংসা- বিদ্বেষ ঝগড়া বিবাদ ভুলে গিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নের স্বার্থে সবাই একসাথে মিলেমিশে চলি এটাই আমার প্রত্যাশা।

“বিদায় রজনী ” ২০২২ || ক্ষমা করে দিও জীবনে চলার পথে হাজারো ভুল ভ্রান্তি । ওগো মহা সুন্দর শেষ, হে বিদায় অবিনেষ-হে সৌম বিষাদ-ক্ষণেক দাঁড়াও স্থির” মুছায়ে নর-নারীর যারা কালের পরিবর্তনে পরিবর্তন হয়েছে-যারা তাদেরকে করো আশীর্বাদ। শুভ নববর্ষের
শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন সকলকে ।

স্বাগতম-২০২৩-সালকে উষ্ণ আন্তরিকতায় শহীদ। লেখক-ব্যবস্থাপনা পরিচালক:-জসীম ভুঁইয়া সময় সংবাদ বিডি। ❦~শুভ নববর্ষ ২০২৩~❦”।।

ভেদরগঞ্জে বিএমএসএফ এর প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

নিউজ২৪লাইনঃ

আমান আহমেদ সজিবll শরীয়তপুর।

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় বিএমএসএফ এর প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর ) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার স্পাইসি ফুড পার্ক রেস্তোরাঁয় এ প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শরীয়তপুর পোটাল এর সম্পাদক মোঃ সুলতান মাহমুদ এর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আজকের শরীয়তপুর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক টি এম গোলাম মোস্তফা। নারায়নপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ও বিএমএসএফ এর অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন টি এম গোলাম মোস্তফা,

ও (বিএমএসএফ) এর শরীয়তপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন ।
এসময় রুহুল আমিন বলেন,
সাংবাদিকদের বিপদ শক্ত হাতে মোকাবেলা করতে হলে সকল সাংবাদিকদের এক হতে হবে, সকল কে আরও সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী হতে হবে তিনি সকল সদস্যদের প্রতি অনুরোধ করে বলেন সকল কে শতভাগ নিচ্চিত হয়ে দেশ ও জাতির জন্য উন্নয়ন মূলক সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের এ বাংলাদেশ কে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।

উক্ত আয়োজিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন,
ভেদরগঞ্জ উপজেলার (বিএমএসএফ) এর সভাপতি আনোয়ার হোসেন (বাবু শিকদার) ও সাধারণ সম্পাদক
আমান আহমেদ সজিব। দৈনিক আলোকিত সকাল এর স্টাফ রিপোর্টার আশিকুর রহমান, দৈনিক বর্তমান কথার রিপোর্টার মোখলেছুর রহমান,আমির চৌকদার,
আতিকুর রহমান, ইমরানসহ বিএমএফের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ প্রমুখ।

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটেপানিতে ডুবে মারা যাওয়া শিশুর মরদেহ কবর খুঁড়ে তুলে জামা–কাপড় পরিয়ে ঘুমিয়েছিলেন কিশোর

নিউজ২৪লাইনঃ
এই বিশ্বেে কতোই না ঘটনা ঘটে যা মানুষের চোখ কপালে উঠার মতো,হয়তো আমরা শুনেছি ইন্দো নেসিয়াতে শত শত বছরের পুরনো মমি সুন্দর সুন্দর কাপড় চোপড় পড়িয়ে তাদের সজনরা বিয়ে দেওয়ার, ইউরোপেরে এক ছেলে তার মায়ের মরদেহের সাথে ২বছর ঘুমানোর খবর সুনেছি তা ছাড়া বহির বিশ্বে কতই না ঘটনা ঘটে ঠিক তেমনি একটি ঘটনার জন্য দিয়েছে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের এক যুবক।
পানিতে ডুবে মারা যাওয়া এক শিশুর মরদেহ দাফনের পর রাতে কবর খুঁড়ে মরদেহ তুলে এনে জামা–কাপড় পরিয়ে একসঙ্গে ঘুমিয়েছে এক কিশোর। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে ওই কিশোরের বিছানা থেকে তিন বছরের মৃত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনরা।

স্থানীয় ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বড় কাচনা গ্রামের শফিক মাতবরের ছেলে নাইম (৩) পানিতে ডুবে মারা যায়। সন্ধ্যায় জানাজা নামাজ শেষে পশ্চিম বড় কাচনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে পারিবারিক কবরস্থানে শিশুটিকে দাফন করা হয়। কিন্তু সকালে দেখা যায়, কবরের মাটি সরানো। শিশুর মরদেহও নেই।

অনেক খোঁজাখুঁজির পর শিশুটির এক আত্মীয় মোকলেছ ফকিরের কিশোর ছেলের খালি ঘরে পাওয়া যায় মরদেহ। পরিবারের লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদে মোকলেছ ফকিরের ছোট ছেলে রাজন ফকির (১৫) কবর থেকে শিশুর মরদেহ তুলে নেওয়ার কথা স্বীকার করে। কিশোরটি মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, কবরে মরদেহ না থাকার বিষয় সকালে জানাজানি হলে খোঁজখবর শুরু হয়। কিশোর রাজন ফকিরের কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, সে মরদেহ তুলে নিয়ে গেছে। পরে তার এক ভাইয়ের ঘরে গিয়ে শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়। দেখা গেছে, খাটের ওপর রেফ্রিজারেটরের কার্টন বিছিয়ে শিশুটিকে ট্রাউজার ও শার্ট পরিয়ে শুইয়ে রাখা হয়েছে। একটি সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছে। বলছে, রাতে একসঙ্গে ঘুমিয়েছিল তারা।

শিশুটির দাদা সাইদুল মাতবর বলেন, ‘আমার নাতি নাইম পানিতে পড়ে মারা যায়। তাকে সন্ধ্যায় দাফন করা হয়। আজ সকালে দেখা যায় কবরে তার লাশ নেই। অনেক খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারি, আমার ভাইগ্না রাজন ফকির রাতে কবর থেকে লাশ তুলে নিয়ে গেছে। কাফনের কাপড় ফেলে দিয়ে সে লাশকে জামাকাপড় পরিয়ে খাটে শুইয়ে রাখে। তার পাশে শুয়ে রাত্রিযাপন করে রাজন।’

সাইদুল মাতবর আরও বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে রাজন জানায়, শিশুটি কবরে একা একা কীভাবে থাকবে! তাই সে কবর থেকে তুলে নিয়ে আসছে। আবার বলে, দাফনের সময় সবাই নাইমকে দেখেছে কিন্তু সে দেখতে পারেনি বলে তুলে নিয়ে আসছে। পরে লাশ পুনরায় দাফন করা হয়েছে।

৮০জন কৃতি শিক্ষার্থীদের স্বারক উপহার ও সংবর্ধনা প্রদান সমমনা পরিষদের

আবু রায়হান অর্নব, নিউজলাইন২৪ঃ
রাজধানীর বনশ্রীতে সামাজিক সংগঠন সমমনা পরিষদের পক্ষ থেকে এসএসসি ২০২২ সালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের স্বারক উপহার ও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টায় রামপুরা বনশ্রীর ই ব্লক ৩ নাম্বার রোডের ২৫ নাম্বার বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সমমনা পরিষদ, বনশ্রী। সমমনা পরিষদের নেতা রেজওয়ান কচি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মোট ৮০জন কৃতি শিক্ষার্থীদের স্বারক উপহার ও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সমমনা পরিষদের সম্মানিত সভাপতি শাহাবুদ্দিন শিকদার বলেন, শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের মূল্যায়ন করলে তারা বেশি বেশি উৎসাহ পায় এবং আরও উদ্যমী হয়ে ওঠে। শিক্ষর্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনে সফলতাকে আরও বেগবান করতে আমাদের আজকের আয়োজন। তিনি বলেন, আজকের শিক্ষার্থী আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিক্ষার্থীদের মেধা মননে যথাযথ বিকাশের জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও মনোযোগী হতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে মানসম্মত শিক্ষক ছাড়া মানসম্মত শিক্ষার্থী গড়ে তোলা সম্ভব না।

সমমনা পরিষদের নেতা সাইফুদ্দিন বিটুর সঞ্চালনায় পবিত্র কোরান তেলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কবিতা আবৃত্তি করেন এম.এ.মতিন । এছাড়াও সমমনা পরিষদের সকল সদস্য এবং সংবর্ধিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শেষে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান ও আগত সকল অতিথিবৃন্দ ও অভিভাবকদের মাঝে রাতের খাবার বিতরনের মাধ্যমে সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি।