সফলতা দিয়ে শুরু হলো নব যোগদান করা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল বাসার মুহাম্মদ আসাদুজ্জামানের

নিউজ২৪লা নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সফলতা দিয়ে শুরু হলো নব যোগদান করা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল বাসার মুহাম্মদ আসাদুজ্জামানের, তিনি ভাটারা থানায় যোগদানের পর থেকেই নিজ যোগ্যতা আর দক্ষতা দিয়ে থানার সচেতন ও সাধারণ এলাকাবাসীর মন জয় করে নিচ্ছেন। সেই সাথে একজন সফল ওসি হিসেবে যত গুণাবলী প্রয়োজন তা তিনি দেখাতে সক্ষম হয়েছেন।
ভাটারা থানায় যোগদানের পর থেকে থানা এলাকা থেকে টাউট-বাটপার ও দালালদের দৌরাত্ম বন্ধ হয়েছে। পুলিশী সেবা গ্রহীতাদের এখন আর দূর্ভোগ পোহাতে হয় না। মাদক বিরোধী অভিযানেও সফল হয়েছেন ওসি আবুল বাসার মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

ধনী-গরীব সবার জন্য ওসির দরজা সব সময় উন্মোক্ত করেছেন তিনি। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাইসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভুমিকা পালন করছেন অফিসার ইনচার্জ আবুল বাশার মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

ভাটারা থানায় যোগদান করার পর এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ কালে ওসি আবুল বাসার মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, মানুষের সেবা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা আমার দায়িত্ব। ওসি হিসেবে যতদিন কর্মরত আছি, ততদিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিরলস ভাবে আমার দায়িত্ব পালন করবো। যাতে করে মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে ও স্বস্থিতে থাকতে পারে।

তিনি বলেন, আমি মানবতা ও মানবিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে সকল সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। কেউ যদি কোথাও সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসা, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই করে আর সে ঘটনা যদি পুলিশকে জানানো হয় তাহলে তথ্য দাতার পরিচয় গোপন রেখে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তিনি আরো বলেন অপরাধ দমনের পাশাপাশি থানায় যোগদান করার পর থানাকে মাদকাসক্ত মুক্ত রাখতে সফল হয়েছেন। গত ৮ ই জানুয়ারি ওসি আবুল বাসার মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান মাদকাসক্তদের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান চালিয়ে সন্দেহ জনক ১০ জনকে গ্রেফতার করে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট হাসপাতাল, শেরে বাংলা নগর, ঢাকায় পরিক্ষার জন্য পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক (Dr. Sakila Rahman M Phil) আসামিদের বিষয়ে Cannabinoids (ICT) Positive মর্মে মতামত প্রদান করেন। তাদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (৫) ধরায় মামলা রুজু করেন, ভাটারা থানার মামলা নং- ১৪/১৪, উল্লেখিত আসামিরা হলো। (১) মাহাতাব উদদীন তানভীর, পিতা মোতালেব, থানা, বাউফল, জেলা, পটুয়াখালী।
(২) মেহেদী হাসান রনি, পিতা- আবদুল জলিল তালুকদার, থানা ও জেলা- বরগুনা। (৩) নাহিদুল ইসলাম, পিতা- বাবুল আখন্দ, থানা- আমতলী, জেলা- বরগুনা। অপর মামলায় আসামি হলো (১) রাজিব, পিতা- বাহার, থানা- দাউদকান্দি, জেলা- কুমিল্লা। (২) হুমায়ুন কবির, পিতা- খোকন মিয়া, থানা- ধোবাউড়া, জেলা- ময়মনসিংহ। (৩) অলি উল্লাহ রিজভী, পিতা- মমতাজ উদ্দিন সাজু, থানা- বন্দর, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। (৪) মারুফ হোসেন, পিতা- হেদায়েত উল্লাহ, থানা- শাহরাস্তি, জেলা- চাঁদপুর। (৫) শাজাহান, পিতা- মৃত্য হারুন অর রশিদ, থানা- শৈলকুপা, জেলা- ঝিনাইদহ। তাদের বিরুদ্ধেও ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (৫) ধরায় মামলা রুজু করেন, ভাটারা থানার মামলা নং- ১৫/১৫
ওসি আবুল বাসার মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান চাকরি জীবনে যে থানায় কর্মরত ছিলেন সেখানেই অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে প্রশংসিত হয়েছেন । গরীব আর অসহায়ের সহায় বলেই তিনি পরিচিত। পুলিশ সম্পর্কে পালটে দিয়েছেন মানুষের ভ্রান্ত ধারণা।

শরীয়তপুর পালং মাছের বাজারে ভ্রাম্যমান অভিযানে ১০০ কেজি জাটকা ইলিশ উদ্ধার

নিউজ২৪লাইনঃ
নুরুজ্জামান শেখ,শরীয়তপুর থেকে।

ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। এটি রাজস্ব আয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ইলিশ প্রতিবছর দেশের খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। জাটকা ইলিশ কি প্রথমেই আমাদের জানতে হবে। ২৩ সেন্টিমিটার বা ৯ ইঞ্চির চেয়ে ছোট আকৃতির ইলিশ মাছকে জাটকা ইলিশ বলা হয়। এদেশের কিছু অসাধু জেলে আছে যারা অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় জাটকা ইলিশ নিধন করে। সাধারণ জনগণকে জানতে হবে কখন জাটকা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। বাংলাদেশ মৎস্য সংরক্ষণ আইনে নভেম্বর মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত জাটকা ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মৎস্য সংরক্ষণ আইনে জাটকা ইলিশ নিধনকারীর জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে এটাও জনগণকে জানতে হবে। বাংলাদেশ মৎস্য সংরক্ষণ আইনে জাটকা নিদনকারী কে প্রথমবার এক মাস থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড এবং তৎসহ এক হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। পরবর্তীতে ওই ঝাটকা নিদরকারী কে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে দুই মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড ও তৎসহ ২০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। শরীয়তপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র গত ৭ জানুয়ারি ২০২৩ সকাল সাতটার দিকে গোপন সূত্রে জানতে পারেন শরীয়তপুর সদর পালং মাছের বাজারে এবং আঙ্গারিয়া মাছের বাজারে কিছু অসাধু মাছ ব্যবসায়ী জাটকা ইলিশ বিক্রি করতেছে। তাৎক্ষণিকভাবে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করে পালং মাছের বাজার থেকে জাটকা সহ একজন এবং আংগারিয়া মাছের বাজার থেকে জাটকা ইলিশসহ চারজনকে আটক করেন। এবং পালং মাছ বাজার ও আংগারিয়া মাছ বাজার থেকে শত কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র জব্দকৃত জাটকা ইলিশ দশটি এতিমখানায় এবং বুড়িহাট আশ্রয়ন প্রকল্পে বিতরণ করেন। অবৈধভাবে জাটকা বিক্রেতা পাঁচজনকে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন।

শরীয়তপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র গণমাধ্যমকে বলেন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পালং মাছের বাজার ও আংগারিয়া মাছের বাজারে অভিযান করে জাটকা বিক্রয়ের অপরাধে ৫ জনকে আটক করতে সক্ষম হই। অভিযানে প্রায় ১০০ কেজি জাটকা উদ্ধার করি। আটককৃত দেরকে মৎস সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর ৫ ধারায় মোট ১৪ হাজার অর্থদণ্ড করে মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। জব্দকৃত জাটকা ১০ টি এতিম খানা ও বুড়িরহাট আশ্রয়ন প্রকল্পে দেয়া হয়।

শরীয়তপুরে ইরি- বোরো সেচ মৌসুমে অগভির নলকূপ লাইসেন্স বিতরন

নিউজ ২৪লাইনঃ
নুরুজ্জামান শেখ,শরীয়তপুর থেকে।

শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ইরি- বোরো সেচ মৌসুমে অগভীর নলকূপ লাইসেন্স বিতরণ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। ৮ জানুয়ারি ২০২৩ বেলা ১১ টায় শরীয়তপুর সদর উপজেলার সভাকক্ষে ইরি- বোরো সেচ মৌসুমে অগভীর নলকূপ লাইসেন্স বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ইরি- বোরো সেচ মৌসুমে অগভীর নলকূপ লাইসেন্স বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অলি হালদার, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, সরকারি প্রকৌশলী, বিএডিসি শরীয়তপুর জোন, শরীয়তপুর।শরীয়তপুর সদর উপজেলা ৫ টি ইউনিয়নের ১২ জন কৃষক এর হাতে মৌসুম শুরুর আগেই লাইসেন্স গুলো তুলে দেয়া হয়। ডিজেল এর মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া বিদ্যুত সংযোগে চলবে এসব অগভীর নলকূপ। প্রতিটি সেচ পাম্প এর সাহায্যে প্রায় ১৫ একর করে মোট ১৮০ একর জমিতে জ্বালানি সাশ্রয়ে সেচ দিয়ে ইরি চাষ সম্ভব হবে। মৌসুম শুরু আগেই এভাবে কোন ধরনের হয়রানি অদৃশ্য কালক্ষেপন ব্যতিত দ্রুততম সময়ে সেচ লাইসেন্স হাতে পাওয়ায় তাদের মুখে আনন্দের হাসি ফুটে উঠে। ইরি-বোরো সেচ মৌসুমে অগভীর নলকূপ লাইসেন্স বিতরণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।