স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের সখিপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা মালতি আক্তার (২২) নামে এক যুবতীর অনশন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সখিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (২৬ফেব্রুয়ারি) সন্ধা ৭টার সময় ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার সখিপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কাঁচিকাটা কান্দি (পাতনা) গ্রামে আনোয়ার লস্করের বাড়িতে মালতি আক্তার (২২) নামে ঐ যুবতী আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটে। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত মালতি তার প্রেমিক আনোয়ারের বাড়িতে অবস্থান করবেন বলে জানান।
মালতি আক্তার ঐ এলাকার বাসিন্দা মৃত জান শরীফ বেপারীর মেয়ে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘ আট বছর ধরে আনোয়ার লস্করের সাথে মালতি আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। তবে মালতির বাবা মা অন্য এক ছেলের সাথে বিয়ে দেন। কিছুদিন পরেই মালতিকে নিয়ে পালিয়ে যান আনোয়ার লস্কর। পরে মালতির বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মালতির আগের স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন আনোয়ার।এর পর দীর্ঘদিন একি সঙ্গে ঢাকার মিরপুরে সংসার করেন।
রোববার সন্ধা ৭টার সময় কাঁচিকাটা মালদ কান্দি পাতনা গ্রামের বাসিন্দা মৃত মরনআলী লস্করের বাড়িতে মালতি আক্তার এসে ঘরের আড়ের সাথে ওরনা দিয়ে ফাঁসি দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে দরজা ভেংগে তাকে রুম থেকে বের করা হয়।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার কামাল উদ্দিন বেপারী বলেন, আজকে ঘটনাটি শুনে সাথে সাথে আনোয়ার লস্করের বাসায় এসে তার মায়ের সাথে কথা বলেছি যেহেতু একটা অভিযোগ মালতি থানায় করেছে তোমরা অন্য কোথায় ছেলেকে বিবাহ দিও না। তবে তারা আমার কথা রাখে নাই। গোপনে তারা আজকে সন্ধায় আনোয়ারকে বিবাহ করাইছে শুনলাম। আর আজকে সন্ধায় এসে শুনি আনোয়ারদের বাড়িতেবএসে ঘরে ঢুকে ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলো। এলাকার লোকজন এসে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে তাকে উদ্ধার করে। পরে তার দাবি সে আনোয়ােকে বিবাহ করতে চায়।
মেয়ের মা মোকসেদা বেগম বলেন, আমার মেয়েটারে ৮ বছর যাবত শান্তিতে থাকতে দেয়নি আনোয়ার। আমার মেয়েকে ভাগাইয়া নিয়া আসে। পরে সেই দুঃখে আমার স্বামী টা স্টক করে মারা গেলো। এখন আমার মেয়ে মালতিকে ভুয়া ভাবে বিয়ে করে একসাথে থেকেও এখন অন্য মেযেকে বিয়া করতাছে। আমি সখিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি এবং ফাসি দেওয়ার সময়ও ৯৯৯ এ কল দিয়েছি, আমার মেয়ের সাথে কেন এমন করলো, আমি প্রাধানমন্ত্রীর কাছে আনোয়ারের বিচার চাই।
প্রেমিকের মা সহুরা (বুয়া)বলেন, মালতি বিয়ে না করে আমার ছেলের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করলো কেন। আমার ছেলেকে বিয়ে দেয়ার আগে বললো না কেন। আমি আমার ঘরে মালতিকে বউ হিসাবে তুলব না।
প্রেমিকা মালতি আক্তার বলেন, আমাকে দীর্ঘদিন বিয়র আশা দিয়ে আমার সাথে একসাথে সংসার করে আনোয়ার। বিবাহ করে হুজুর দিয়ে। পরে ঢাকায় মিরপুরে গিয়ে আমরা দীর্ঘ ৫ বছর থাকি। আজকে আনোয়ার অন্য মেয়েকে বিয়ে করে নিচ্ছে। আমি এখন আনোয়ারের বাসায় আছি। আর আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিলে আমি এখানেই গলায় দরি দিব।
এ বিষয় প্রেমিক আনোয়ার লস্করকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
সখিপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি)আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন,ঐ মেয়ে ডিবোর্সি নারী। ও ঢাকায় থাকতেই আনোয়ারের সাথে সম্পর্ক করতো।। ফাসির ঘটনা আমি শুনি নাই। ফাসি যে ব্যক্তি দেয়ার চেষ্টা করবে তারও জেল হতে পারে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।