মুন্সীগঞ্জ রিকাবী বাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি বার্ষিক পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠিত

নিউজ২৪লাইন:

স্টাফ রিপোর্টার – মো: সুজন বেপারী – মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমের রিকাবী বাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি-২০২৩ইং বার্ষিক পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল এগারো টায় রিকাবী বাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি বার্ষিক পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান কালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন সাবেক মেয়র জনাব শহিদুল ইসলাম শাহিন সাহেব এর সহধর্মিণী।

এসময় রিকাবী বাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক উপস্থিতি ছিলেন জনাব মোঃ আশরাফুজ্জামান ও রিকাবি বাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সম্মানিত সভাপতি জনাব অভি আহমেদ ও এছাড়াও সাবেক কাউন্সিলর-৪নং ওয়ার্ড আব্দুল মজিদ ও জনাব আকমল মৃধা ও আয়োজনে মিলাদ ও দোয়া পরিচালনায় বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম সহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ অনুষ্ঠানকালে এসময় প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের প্রতি একটি সুশিক্ষিত জাতি গঠনের আহবান জানান।

খাদ্য সামগ্রী নগদ অর্থসহ শাড়ি,লুঙ্গি ৫ হাজার অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার দিলেন বিএম মোজাম্মেল হক

নিউজ২৪লাইন:

মঞ্জুরুল ইসলাম রনি, পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে শরীয়তপুর জেলার কৃতি সন্তান পালং- জাজিরা-১ আসনের সাবেক দুইবারের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পাঁচবারের সাংগঠনিক সম্পাদক, আসন্ন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-১ সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থী, বিএম মোজাম্মেল হক। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) জাজিরার জানখার কান্দি গ্রামের নিজ বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে পালং-জাজিরার অসহায় হতদরিদ্র ৫ হাজার পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার দিয়েছেন। এসময় ঈদ উপহার হিসেবে শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি ও নগদ অর্থ প্রদান করেন তিনি।

এছাড়া পুরো রমজান জুড়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে, পালং-জাজিরা উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিশুসহ মসজিদের ইমামদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন এ নেতা।

পরে জেলার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।
তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জাতির উদ্দেশ্যে বলেন, দেশ ও জনগণের নিরাপত্তার জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোন বিকল্প নেই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের চার বারের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার মতোই দেশ ও জনগণের নিরাপত্তার কথা সবসময় ভাবে। তিনি যা ভাবেন, তাই করেন। আপনারা জানেন, আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তিনি বলেছেন এদেশের একটি মানুষও ক্ষুধাহীন -বস্ত্রহীন -চিকিৎসাহীন -আশ্রয়হীন থাকবে না। স্মার্ট বাংলাদেশ করার লক্ষ্যে দেশ ও জাতির স্বার্থে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পঞ্চম বারের মতো ক্ষমতায় আনতে হবে।

বিএম মোজাম্মেল হক আরো বলেন, গত সংসদ নির্বাচনের পরে আমি শরীয়তপুর তেমন একটা আসি নাই, কেন আসি নাই তা ইতিপূর্বে আপনাদেরকে জানিয়েছি। আজ আপনাদেরকে আবারো বলছি আমি যদি শরীয়তপুরে আসতাম তখন ওই মুহূর্তে দাঙ্গা হাঙ্গামা মারামারি সন্ত্রাসী তান্ডব শুরু হতো। কারণ আপনারা দেখছেন আমি সন্ত্রাসী রাজনীতি পছন্দ করি না। ধৈর্যশীলকে আল্লাহ পছন্দ করে। এই কারণেই আমি ধৈর্য ধরেছি। আমি আমার নেত্রীর হুকুম পালন করেছি। শরীয়তপুর সহ বাংলাদেশে জামাত-বিএনপি রাজাকার এবং যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না তারা মূল আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে চায় এবং প্রতিনিয়ত প্রকৃত আওয়ামীলীগই মার খাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমার নেত্রী বারবার বলেছে বিএনপি জামাত থেকে নব্য আওয়ামী লীগ হওয়া তাদেরকে চিহ্নিত করে দল থেকে বের করে দিতে হবে। আপনারা জানেন কারা আজ শরীয়তপুরে বিএনপি- জামাত নিয়ে রাজনীতি করে। পালং জাজিরার মানুষ আমাকে ভালবাসে তা আপনারা স্বচক্ষে দেখেছেন। কথা বাড়াবো না আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জনসাধারণের মাঝে নগদ অর্থসহ শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি দিয়েছি। এবং পালং জাজিরার পৌরসভা সহ প্রত্যেকটি ইউনিয়নের আমার নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেছি এবং ঈদের শুভেচ্ছা পাঠিয়েছি। সকলকেই পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা

উপমন্ত্রী’র নির্দেশে এক হাজার মানুষের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ’

নিউজ২৪লাইন:

আমান আহমেদ সজিব ll ভেদরগঞ্জ শরীয়তপুর:

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম এমপি’র নির্দেশে দক্ষিণ তারাবুনিয়ায় এক হাজার
অসহায় পরিবারের মাঝে নগত অর্থ বিতরন করলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সখিপুর থানা আওয়ামীলীগ সদস্য মোঃ ফরিদ আহমেদ মাল।

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানাধীন দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ ফরিদ আহমেদ মাল ঈদ উপহার হিসাবে এলাকার গরিব দুঃখী মানুষের মাঝে নগত অর্থ বিতরণ করেন। (২১ এপ্রিল সকালে নিজ বাড়িতে অসহায় মানুষদের সুখ দুঃখের খোজ খবর নিতে এ আয়োজন করেন।

এসময় তিনি উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম এমপি’র পক্ষ থেকে দক্ষিণ তারাবুনিয়ার সকল জনগনকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান। এবং এধরণের নগত অর্থ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান ফরিদ আহমেদ মাল।

নগত অর্থ পেয়ে খুশি দক্ষিণ তারাবুনিয়ার অসহায় দরিদ্র এক হাজার পরিবার।

এসময় অসহায় পরিবার গুলো উপমন্ত্রী শামীম এর জন্য দু- হাত তুলে দোয়া করেন। এবং জানান নগদ অর্থ পেয়ে খুশি তারা একটু ভালো ভাবে কাটাতে পারবে ঈদুল ফিতর।।

আমান আহমেদ সজিব ll ভেদরগঞ্জ শরীয়তপুর:

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম এমপি’র নির্দেশে দক্ষিণ তারাবুনিয়ায় এক হাজার
অসহায় পরিবারের মাঝে নগত অর্থ বিতরন করলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সখিপুর থানা আওয়ামীলীগ সদস্য মোঃ ফরিদ আহমেদ মাল।

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানাধীন দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ ফরিদ আহমেদ মাল ঈদ উপহার হিসাবে এলাকার গরিব দুঃখী মানুষের মাঝে নগত অর্থ বিতরণ করেন। (২১ এপ্রিল সকালে নিজ বাড়িতে অসহায় মানুষদের সুখ দুঃখের খোজ খবর নিতে এ আয়োজন করেন।

এসময় তিনি উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম এমপি’র পক্ষ থেকে দক্ষিণ তারাবুনিয়ার সকল জনগনকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান। এবং এধরণের নগত অর্থ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান ফরিদ আহমেদ মাল।

নগত অর্থ পেয়ে খুশি দক্ষিণ তারাবুনিয়ার অসহায় দরিদ্র এক হাজার পরিবার।

এসময় অসহায় পরিবার গুলো উপমন্ত্রী শামীম এর জন্য দু- হাত তুলে দোয়া করেন। এবং জানান নগদ অর্থ পেয়ে খুশি তারা একটু ভালো ভাবে কাটাতে পারবে ঈদুল ফিতর।

সখিপুরে বন্ধন মানব কল্যাণ সংস্থার ইফতার ও দোয়া অনুসষ্ঠান সম্পুর্ন

নিউজ২৪লাইন:
আমান আহমেদ সজীব শরীয়তপুর থেকে :২০ এপ্রিল বুধবার চারভাগা চৌকিদার কান্দি মিয়ারচর কারিমিয়া কৃেরাতুল কুরআন হাফিজিয়া কাও মিয়া মাদ্রাসা মাঠে মাদ্রাসার ছাত্র -ছাত্রি ও স্থানীয় মুরব্বিদের সাথে নিয়ে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে আয়োজন করাহয় এসময় ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানের বন্ধন মানব কল্যাণ সংস্থার অহব্বায়ক মোঃ সোহাগ সরদার এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন
কার্যকরী সদস্য সোহাগ হাওলাদার, সোহেল সরকার, সাংবাদিক এস এম আবুল কালাম আজাদ,
মোঃ বজলুর রহমান,মোঃ ইমাম হোসেন রানা,এবি কায়েস,আর আমিন বেপারী, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা এ কালিমুদদিন চৌকিদার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ায় শরীয়তপুর সুপার সার্ভিসকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা

নিউজ২৪লাইন:
নুরুজ্জামান শেখ শরীয়তপুর থেকে।

পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে বাস পরিবহনের যাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ায় শরীয়তপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র শরীয়তপুর সুপার সার্ভিসের একটি বাস থেকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৫০০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পবিত্র ঈদের আনন্দ কে একসাথে উপভোগ করার জন্য জীবিকার কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে গায়ের এবং মা-বাবা ভাই-বোন ও নাড়ির টানে বাড়ি ফিরে চলছে বিভিন্ন পরিবহনযোগে। ১৯ এপ্রিল শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস একটি বাস ঢাকা থেকে শরীয়তপুরে আসা এক যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে যাত্রীদের কাছে নির্ধারিত ভাড়া চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারায় ৫০০০ টাকা এবং এক বাইকারকে ১০০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়। বাড়ি ফেরা ঈদ যাত্রীদের হয়রানি বন্ধ করতে সদর উপজেলার বাস স্ট্যান্ড এবং প্রেমতলা মোড়ে ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনাকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র গণমাধ্যমকে বলেন, রাস্তার দুই ধারে এবং বাসস্ট্যান্ডের যত্রতত্র বাস এবং অন্যান্য পরিবহন পার্কিং করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক করি। এবং নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে আইনগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন ঈদ পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সিরতা ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণে কার্ডধারীরা হয়রানির শিকার

নিউজ২৪লাইন:

শিবলী সাদিক খানঃ

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সিরতা ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফের চাল বিতরণে হয়রানির শিকার হয়েছে কার্ডধারীরা।
বুধবার (১৯ এপ্রিল ২০২৩) তারিখ ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সিরতা ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফের চাল বিতরণ করেন সিরতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কার্ডধারী নারী/পুরুষ পরিষদের সামনে প্রচন্ড রুদ্রে দাড়িয়ে রয়েছে। দেরি করে করে চাল বিতরণ হচ্ছে। এমনকি ডিজিটাল মেশিনও আসপাশে দেখতে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান এর অনুপস্থিততে ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কাছে জানতে চাইলে সে বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব বাড়িতে গেছে তাই চাল বিতরণ বন্ধ রয়েছে। চেয়ারম্যান আসলেই আবার বিতরণ শুরু করে দিবো।

এ বিষয়ে গ্রাম পুলিশদের জিজ্ঞেস করা হলে চেয়ারম্যান সাহেব কতক্ষণ আগে মনে হয় বাড়ি গেছে। এই জন্য চাল বিতরণ করা বন্ধ রয়েছে। মানুষজন রোদে দাঁড়িয়ে থাকলে এখন আমরা কি করবো।

এ দিকে চাল নিতে আসা হতদরিদ্র নারী পুরুষ বলছে ভিন্ন কথা। চাল মাপে কম দিতেছে। বালতি দিয়ে খেও মেরে চাল দিতেছে। ডিজিটাল মেশিন দিয়ে মেপে দেইনি। কতক্ষণ পর পর চাল দেয়া বন্ধ করে দেয়।

চেয়ারম্যান কই চলে যা, আবার আসে চাল দেয়া শুরু করে। আবার চলে যা আবার আসে শুরু করে। এভাবে সারাদিন আমাদেরকে প্রচন্ড রুদ্রে দাঁড়িয়ে রাখতে তাদের ভালো লাগে।

এক বয়স্ক মহিলা সহ একাধিক বয়বৃদ্ধ নারী পুরুষ বলেন, তারা বড়লোক বিধায় আমাদের কষ্ট দিতে তাদের ভালো লাগে। তারা আমাদের কষ্ট দেখে মজা পায়। আল্লাহ আমাদের গরীব বানায়ছে এই জন্য ১০ কেজি চালের স্থলে ৭/৮ কেজি চালের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে হয়। চেয়ারম্যানকে একাধিক বার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য ২০২০ সালে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ১১ বস্তা চাল চুরির ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় ৬ নং মামলায় ৩ জন আটক হয়েছিল

সংযমের শিক্ষা রোজা’য় “ইফতারি প্রথা” অমানবিক

রমজান রহমতের এবং  বরকতময় মাসের নাম। ত্যাগ ও সংযম এর  মহান বার্তা নিয়ে হাজির হয় পবিত্র  রমজান মাস।এই মাসে সেহেরি এবং ইফতারের মাধ্যমে একটি আলাদা স্বাদ উপভোগ করে রোজাদার মুসলমানগণ।রাসুল (সাঃ) এর ঘোষণা মতে  “এই মাসেই  হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ রজনী লাইলাতুলকদর”।বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশে রমজান উপলক্ষে জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে রেখে সরবরাহ বৃদ্ধি করে,কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের দেশে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি আর ভেজাল খাদ্যের দাপটে রোজাদাররা ক্রয়ক্ষমতা হারায়। আবার  সামাজিকতার নামে মেয়ের শশুর বাড়িতে ইফতারি পাঠানোর কুপ্রথায় হাঁপিয়ে উঠে মেয়ের বাবা। ফলে রোজার ফজিলতের  সংযম,  ত্যাগের মহিমা এবং ভাবগাম্ভীর্যতা নষ্ট হয়ে পড়ে।

সংগৃহীত একটি গল্পের আদলে পবিত্র রমজানের মাহাত্ম্য  তুলে ধরার চেষ্টা করছি,”জাপানিজদের কাছে রোজা একটি বিস্ময়ের নাম। সারাদিন না খেয়ে থাকতে হবে। কিন্তু কেন”? এই না খাওয়া নিয়ে তাদের আরো মজার মজার প্রশ্নও আছে। তারা যেসব প্রশ্নগুলো করে, পানিও খাওয়া যাবে না?সিগারেটও না?লুকিয়ে যদি খাও?যদি শাওয়ারে ঢুকে পানি খাও?রোজাদার বাঙালী অনেক হেসে বলে,  লুকিয়ে কেন খাবো?আমিতো ইচ্ছে করলে বিরিয়ানী রেঁধে ঘরে বসেই খেতে পারি। কিন্তু ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত  আমরা কিছুই খাইনা।এটা মহান আল্লাহতালার নির্দেশ। এতে আমরা অভ্যস্ত।তখন শুরু হয় বিস্ময়ের আরেক ধাপ।আবারও একগাদা প্রশ্ন করে জাপানিজ  :”কেন খাও না?অদৃশ্য খোদা বলেছেন বলে?তিনি দেখতে পাবেন বলে?তোমাদের এত সংযম!এতটাই আত্মনিয়ন্ত্রণ!!!এরপর জাপানিজ  যে দুটো প্রশ্ন করে তাতে বাক্যহারা হয়ে পড়েন রোজাদার বাঙালী।জাপানিজের প্রশ্ন ছিল, “তবে তো তোমাদের দেশে কেউ মিথ্যা কথা বলে না,ঘুষ খায়না,কেউ পাপ করে না,পুলিশ ও লাগে না”।তখন রোজাদার বাঙালীর মুখ থেকে কোন কথা বের হয় না কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায়। কারণ আমরা জানি ৯০% মুসলমানের দেশ আমাদের।মুষ্টিমেয় হয়তো কিছু মানুষ ছাড়া সবাই রোজা রাখে।কিন্তু আমরা কি বলতে পারবো,রমজানের মধ্যেও মিথ্যা কথা বলা বন্ধ হয়েছে? প্রতারণা, জোচ্চুরি,মোনাফেকি বন্ধ? রমজানে যে খাদ্য দিয়ে ইফতার  হয়,সেহেরি খাওয়া হয় তার মধ্যে ভেজাল মিশানো হচ্ছে কিনা,পণ্য গুদামজাত করে বেশি টাকা মুনাফা করা বন্ধ  হচ্ছে কিনা, মানুষের হক মেরে খাওয়া বন্ধ হচ্ছে কিনা।অফিস পাড়ায় ঘুষ লেনাদেনা বন্ধ হয়েছে কিনা।ত্যাগ ও সংযমের শিক্ষা নিয়ে রমজান আমাদের দীক্ষিত করতে আসে প্রতিবছর ঘুরে ঘুরে। এই বছর রমজানের সময়টাতে তাপমাত্রা ৪১ডিগ্রী সেলসিয়াসের ঘরে। সারাবিশ্বের মানুষ হেরে যাচ্ছে তাপমাত্রার কাছে।গরমে পিপাসায় কাতর রোজাদার তবুও রোজা রেখে   তাপমাত্রাকে হারিয়ে দিচ্ছে। সারাদিন রোজা, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং তারাবির নামাজও আদায় করা হয়।কিন্ত এই কঠিন সাধনার ফলপ্রসূ উপলব্ধি আমাদের কতটা তাড়িত করছে। শিরক, কুফরি, সুদ, ঘুষ, মিথ্যাচার, লোভ, হিংসা অহংকার থেকে কতটা মুক্ত হতে পেরেছে    মানুষ।প্রশ্ন থেকে যায় অনেক,অনেক প্রশ্ন।

পবিত্র রোজার  মাসে আমাদের সমাজে  কিছু কুপ্রথা রমজানের মাহাত্ম্যকে নিন্দিত করতে দেখা যায়। তারমধ্যে একটি হলো মেয়ের শশুর বাড়িতে ইফতারি দেওয়ার প্রথা।দরিদ্র পরিবারের জন্য এই প্রথাটি একপ্রকার অমানবিক এবং জঘন্যতম আর ধনীদের জন্য বিলাসিতা ।এই প্রথার প্রচলন মহামারী আকারে ছড়িয়ে শিকড় গেঁড়ে বসে আছে দেশের সকল জায়গায়। সাধারণত: বাঙালী সমাজে মেয়েদের তার পরিবার সব সময় দেখভাল করে। সুখী দেখতে চায়।তাই বিভিন্ন সময়ে বিশেষ কিছু দিনে মেয়ের জন্য হাদিয়া হিসেবে কিছু খাদ্য কিংবা জিনিস পাঠানো হয়।বাঙালী মুসলমানদের প্রাচীন একটি রীতি হচ্ছে মেয়ের শশুর বাড়িতে ইফতারি পাঠানো ।সামাজিক বন্ধনের  এটি ছিল একসময় আনন্দের।বাবার  সাধ্যমতে দেওয়া হতো কোন বাধ্যগত ছিল না। এবিষয়ে নবী করিম (সাঃ)বলেছেন, “তোমরা একে ওপরকে হাদিয়া দাও,যেন তোমাদের মাঝে ঋদ্ধতা বৃদ্ধি পায়”।
কিন্তু মেয়ের শশুরবাড়ির লোকজন যখন বাধ্যগত ভাবে তাদের চাহিদা মতো দাবি করে  এবং কনের উপর ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করে,মানষিক নিপীড়ন চালান,  তখন  ইফতারি আর  সামাজিক বন্ধনের পর্যায়ে  থাকে না,হয়ে যায় সামাজিকতার নামে মেয়ের বাবার উপর  অবিচার।যা অহরহ হচ্ছে। কখনো দেখা যায় সন্তোষজনক ইফতার না পাঠানো হলে মেয়ের উপর ঘটে মানষিক ও অমানবিক নির্যাতন।কটুকথা অশ্রাব্য গালাগাল। এমনকি শারীরিক ভাবে ও নির্যাতন করা হয়।আদরের মেয়ের সুখের আশায় অনেক বাবা ঋণ করে,গরু বিক্রি করে মেয়ের শশুর বাড়ির চাহিদা মেটায়, আর রাতে ঋণে জর্জরিত বাবা একেলা বালিশে মাথা রেখে কাঁদে।নবী করিম (সাঃ) বলেছেন, “কেউ যদি কাউকে একটি খেজুর দিয়ে ইফতার করায় তাহলে সে রোজাদারের সওয়াব পাবে”। আর বর্তমান সময়ে   জোর করে কনের বাপের বাড়ি থেকে ইফতার আদায় করায়  সওয়াব তো হবেই না বরং গোনাহের কাজ হবে। পবিত্র কোরানের সুরা বাকারা  (১৮৩) আয়াতে এরশাদ হচ্ছে, “হে ঈমানদারগণ ফরজ করা হয়েছে তোমাদের উপর রোজা যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর। যাতে তোমরা সংযমী হতে পারো।মোত্তাকী ও পরহেজগার হতে পারো”।
সর্বোপরি  মানুষের অন্তরে তাক্বওয়া’র গুণ সৃষ্টির লক্ষ্যে রোজাকে অবশ্যই পালনীয় ফরজ করা হয়েছে। তাক্বওয়া অর্থ হলো আল্লাহতালার প্রতি ভালবাসা ও ভয়ের অনুভূতি।এই “ত্বাকওয়া” ই হচ্ছে রোজার আসল কথা।ইসলামীক বিশারদদের মতে, “পৃথিবীতে পাপ-পঙ্কিলতার কাঁটা ছড়ানো রয়েছে, তা থেকে সতর্কভাবে নিজেকে বাঁচিয়ে চলার নাম হলো তাক্বওয়া”।আর এর অভাবের কারণেই  রমজান মাসে  ইফতারি নিয়ে মেয়ের শশুর বাড়ির অযাচিত চাহিদা, ব্যবসায়ীদের খাদ্যে ভেজাল মিশানো, ঘুষ দূর্নীতি চলছে, যা কাম্য নয়।

যৌতুক প্রথা সমাজের  একটি অভিশাপের নাম। মুখে যতই যৌতুক বিরোধী কথা বলা হয় না কেন   , মেয়ের শশুর বাড়ির সন্তুষ্টি এবং মেয়ের  সুখের জন্য প্রায় বাবা মেয়ের বিয়েতে বিভিন্ন আইটেমের জিনিস দিয়ে থাকে সাধ্যমতে।আজকাল বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের  অনেক মেয়ে বিয়ে হচ্ছে না যৌতুকের  টাকার জন্য। রাস্তা-ঘাটে খেয়াল করলে দেখা যায়  যে, অনেক গরীব মা-বাবা মেয়ের বিয়ের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে  হাত পাতে,ভিক্ষা করে।যৌতুক প্রথার কারণে  বিবাহ উপযুক্ত বহু  মেয়ে পরিবারের বুঝা হয়ে আছে অনেকের । কিন্তু ইসলামের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, ইসলামই নারীদের সর্বোচ্চ সন্মান দিয়েছে। নিরাপত্তা  দিয়ে হেফাজত করেছে। কিন্তু আজকাল সমাজে চলমান কিছু  বিষয়  ইসলামের মুল রীতিনীতির বিপরীত। সভ্যতার নামে অসভ্যতা।বিভিন্ন আইটেমের ইফতার সহ ঈদে মেয়ের  শশুর বাড়িতে সবাইকে কাপড়,কোরবানের গরু কিংবা ছাগল সহ বিভিন্ন সময়ে পাঠানো জিনিস যৌতুকেরই শামিল। খবরের কাগজ খুললেই দেখা যায় যৌতুক দিতে  অপারগতায় শশুর বাড়ির নির্যাতনে   অনেক মেয়ের  মৃত্যু এবং বিবাহ ভেঙ্গে  যায়। এই কুসংস্কার কত যে ভয়ানক তা একমাত্র ভুক্তভোগী পরিবারই জানতে পারে। তাই এসব কুপ্রথা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে ভবিষ্যতে আরো কত মেয়ে তার শশুর বাড়িতে অত্যাচারিত হতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইফতার সুন্নত। কাউকে ইফতার করানো নিঃসন্দেহে  সওয়াবের কাজ। কিন্তু ইফতারি  কুপ্রথার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন সমাজ নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞ মহল।আলেম সমাজ বিষয়টি নিয়ে  মাহফিলে বয়ান করতে থাকলে,  সাধারণ মানুষ বেশী করে মেনে চলবে, আশাবাদী সাধারণ মানুষের।

রোজার দিনে এক মা তাঁর সন্তানকে নিয়ে রিক্সায় বাড়ি ফিরছিলেন। প্রতিজন মা’রই তার সন্তানের প্রতি গভীর ভালবাসা থাকে। সন্তানের চেহারা দেখে বলতে পারে সুখ, দুঃখ,  ক্ষুধা, তৃষ্ণা এবং সুশিক্ষা নিশ্চিত করার দিকেও তার গভীর মনোযোগ থাকে। চলার পথে ছোট  সন্তানটি যখন মার কাছে জানতে চায়, “আচ্ছা মা না খেয়ে থাকলেই কি রোজা হয়?”মা তখন যথার্থ বলেছেন, “না বাবা রোজার সময় সংযম করতে হয়।অন্যের কষ্ট বুঝতে হয় আর মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হয়”। কিন্তু শেষ কথাটি তিনি মনে রাখতে পারে না।তাই একটু পরেই প্রবীণ রিক্সাচালককে বেশ কর্কশ কন্ঠে তিনি বলে উঠেন,”আরে এত আস্তে রিক্সা চালালে তো ইফতার রাস্তায় করতে হবে। জোরে চালান”।রিক্সা চালক তখন অসহায় ভাবে জানান,”সারাদিন রোজা রেখে  আর জোরে রিক্সা চালানোর মত শক্তি নেই তার।কথা শুনে থ’হয়ে যান ঐ মা।রিক্সাওয়ালার প্রতি সন্তানের সামনে  তার খারাপ ব্যবহার এবং তার প্রভাব তার সন্তানের উপর পড়বে বুঝতে পারে মা।তখনই প্রবীণ রিক্সচালকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি পরিবারের জন্য আনা সমস্ত ইফতারের খাবার মুরুব্বি রিক্সাওয়ালাকে দিয়ে দেন।রোজার মাসের সংযমের শিক্ষা সবার মাঝে ঋদ্ধতা নিয়ে আসুক।মাহাত্ম্য এখানেই।

সবধরনের খারাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রেখে, শুদ্ধ হওয়ার পথে অগ্রসর হওয়াই রমজানের শিক্ষা ।ব্যবসার নামে যদি অনৈতিকতা এবং কুপ্রথায় অমানবিকতা প্রদর্শন করা হয় তাহলে,যে রমজান  উচ্চ নৈতিক চরিত্র, উন্নত মানবতাবোধ,ত্যাগ,শিক্ষা দেয়,এই পবিত্র মাসের আমল-ইবাদতের সঙ্গে চরম অবমাননাই করা হয়।
————–


লেখক-বদরুল ইসলাম বাদল
সদস্য, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটি.

Read more

1 2 3 7