ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি কে নিজ এলাকায় দেওয়া হলো সংবর্ধনা

নিউজ২৪লাইন:
শরিফুল হাসান রানা হালুয়াঘাট:থেকে :
ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি কে নিজ এলাকায় দেওয়া হলো বিশাল সংবর: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার কৃতি সন্তান এনামুল হাসান নাহিদ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় এলাকায় ফিরার পর সংবর্ধনা দিলো নিজ উপজেলার ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি এনামুল হাসানকে বিশাল মোটরসাইকেল শোভা যাত্রা নিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় এরপর ছাত্র সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় হালুয়াঘাট বাজারে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং এমপি, পৌর মেয়র খাইরুল আলম ভূঁইয়া, হালুয়াঘাট উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাবজালুর রহমান হিল্লোল, সাধারণ সম্পাদক শাহিব হোসেন রাহুল সহ পার্শ্ববর্তী ধোবাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

আ.লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য হলেন জোবায়দা হক অজন্তা

নিউজ২৪লাইন:
শহীদ সংসদ সদস্য নূরুল হক হাওলাদারের মেয়ে জোবায়দা হক অজন্তা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
এ জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান শাহীন আজ এক বিবৃতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জোবায়দা হককে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য নির্বাচিত করায় দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি, সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক এবং বিদ্যুৎ, জ¦ালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি-কে ধন্যবাদ জানান।
তারা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রতি জোবায়দা হকের একাগ্রতা ও তার বাবা শহীদ এমপি নূরুল হকের আত্মত্যাগের স্বীকৃতিসরূপ তাকে দলের দায়িত্ব দেয়া যথার্থ হয়েছে।’
‘নড়িয়া তথা শরীয়তপুর আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে নূরুল হকের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ৫২’র ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেছেন। নড়িয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দলের মনোনয়নে ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই তিনি আঁততায়ীর গুলিতে শহীদ হন।’
‘আমরা আশা করি পিতার আদর্শকে বুকে লালন করে তৃণমূল পর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলকে সংগঠিত করতে তিনি যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখবেন।’
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জোবায়দা হকের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন।
ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি জোবায়দা হক অজন্তা বর্তমানে নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি সোমবার সন্ধ্যায় ঘোষণা করা হয়। উপ-কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানকে চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি-কে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি এই কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন।
আগামীকাল ১ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে নবগঠিত এই কমিটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার কথা রয়েছে।

বার্তা প্রেরক
স্বা-
(মো. শিহাবুল ইসলাম)
দপ্তর সম্পাদক
মোবাইল-০১৭৪১-৮১৫১৩২
মেইল- sihab.ptd@gmail.com

আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি ঘোষণা

নূর মোহাম্মদ নিজস্ব প্রতিনিধ :
ঢাকা, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩ নিউজ২৪লাইন: আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি আজ ঘোষণা করা হয়েছে।
উপ-কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান-কে চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি-কে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি এই কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন।
উপ-কমিটির সদস্যগণের মধ্যে রয়েছেন- আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি, আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপি, আবুল কালাম আজাদ এমপি, এম এ মান্নান এমপি, মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি, মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি, সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি, মোঃ আব্দুল ওদুদ এমপি, কাজী নাবিল আহমেদ এমপি, আবুল কালাম মোঃ আহসানুল হক চৌধুরী এমপি, আহমেদ ফিরোজ কবির এমপি, রুমানা আলী এমপি, হাফিজ আহমদ মজুমদার এমপি, শ্রী বীরেন শিকদার এমপি, মোরশেদ আলম এমপি, মনজুর হোসেন এমপি, আদিবা আনজুম মিতা এমপি, এস এম সাইফুল্লাহ আল মামুন, ড. কানিজ আকলিমা সুলতানা, ফাওজিয়া হক, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, আতাউর রহমান প্রধান, মাহমুদ সালাহউদ্দিন চৌধুরী, মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী, এরিক মোরশেদ, এডভোকেট নাভানা আক্তার, আরশাদ জামাল দিপু, শেখ সেলিম রেজা, মোস্তাফিজুর রহমান নীলু, চৌধুরী ইয়ামিন আনাম, মোঃ ফয়েজ উল্লাহ, মোঃ শফি উদ্দিন, তসলিম উদ্দিন রানা, এম সদরুল আহমেদ খান, জাফরুল শাহরিয়ার জুয়েল, মোঃ আব্দুস সালাম খান, এস এম জাহাঙ্গীর আলম (বুলবুল), মোহাম্মদ নুরুল আমিন ফকির সাগর, মোঃ মিনহাজ উদ্দিন (সোহাগ), মোঃ রাকিবুল হক, এম হক বাবু, এম এম কামরুজ্জামান কাফী, মোঃ সাজ্জাদুল আলম শাহীন, নাসির উদ্দিন জর্জ, রাজিন দাশ রাহুল, মোঃ নাজমুল ইসলাম তুহিন, রিয়াজুল আহসান খান রিয়াজ, মোহাঃ তারিক-উল-ইসলাম টুটুল, সাজ্জাদুল হাসান সাজ্জাদ, তানভীর আহমেদ, গাজী আলিম আল রাজী, মোঃ সাইফুল ইসলাম লিটন, সৈয়দা ফৌজিয়া হোসেন, মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, সাদেকা হাসান সেঁজুতি, বুশরা করিম নাদিয়া, জোবায়দা হক অজন্তা, ফয়সল আহমদ চৌধুরী, মোঃ সুলতান মাহমুদ, রফিকুল ইসলাম লিটন, মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান ইমন, সৈয়দ সাব্বির হোসেন, ড. মো. আশিকুর রহমান বিপ্লব, হাসীব আলম তালুকদার, মোঃ আকতার হোছাইন (মিন্টু), মোঃ সাইফুল ইসলাম (শিপলু), সাবিনা আখতার শিউলি, মোহাম্মদ জিহাদুল ইসলাম, অনিল চাকমা, জান্নাতুন নুর তানিয়া, দেওয়ান রাজু আহমদ, মোঃ মিজানুর রহমান, খোরশেদুল আলম ইমতিয়াজ, মুহাম্মদ মুনীর উদ্দীন চৌধুরী, মোঃ বেলায়েত হোসেন সাগর ও তানজিলা আক্তার আইরিন।
এছাড়া, ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির সমন্বয়ে আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-কমিটির বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করা হয়েছে।

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্ভোধন: সম্ভবনার আরেক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিউজ২৪লাইন:
বানী ডেস্ক :
আখলিমা আঁখি:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুল প্রত্যাশিত প্রায় ৩.৩১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে টানেলটি উন্মোচন করার পর বন্দর নগরী চট্রগ্রাম দেশের ঐতিহাসিক যোগাযোগের একটি নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। এই ধরণের টানেল দক্ষিণ এশিয়ায় এটিই প্রথম।
প্রধানমন্ত্রী শনিবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে কর্ণফুলীর উত্তর তীরে পতেঙ্গায় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের’ ফলক উন্মোচন করেন এবং নগরীর পতেঙ্গাকে আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে সংযোগকারী এই টানেলের ভেতর দিয়ে প্রথম যাত্রা করেন।’
এরপর তিনি টানেল অতিক্রম করেন এবং নদীর দক্ষিণ তীরে আনোয়ারায় তাঁর মোটরযানের জন্য টোল পরিশোধ করেন।
১০,৬৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সংযোগ সড়কসহ ৯.৩৯ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল সোমবার সকাল ৬টা থেকে যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
দেশের দু’টি অঞ্চলকে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে পদ্মা সেতুর পর সড়ক পরিবহন খাতে টানেলটি দ্বিতীয় ‘স্বপ্নের প্রকল্প’। চীনের সাংহাইয়ের মতো ‘দুই শহর এক নগরী’ মডেল অনুসরণ করে টানেলটি তৈরি করা হয়েছে।
এটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাথে ৪০ কিলোমিটার দূরত্ব কমিয়ে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী দিনের খাম এবং প্রথম নদীর তলদেশে সড়ক টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষে একটি বিশেষ সীলমোহরও ব্যবহার করেন।
কর্মকর্তাদের মতে, প্রতিদিন ১,৭০০টিরও বেশি যানবাহন টানেলটি ব্যবহার করতে সক্ষম হবে যা বছরে প্রায় ৭৬ লক্ষ যানবাহনের সমান। টানেলটি দেশের বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি ০.১৬৬ শতাংশ বাড়াতে সাহায্য করবে।
বাসস’র সাথে আলাপকালে, মেগা প্রকল্পের পরিচালক মো.হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, টানেলটি বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে আশা করা হচ্ছে। কারণ, এটি এই অঞ্চলের প্রথম নদীর তলদেশে সড়ক সুড়ঙ্গ।
এটি চট্টগ্রামকে চীনের সাংহাই শহরের মতো ‘দুটি শহরকে একটি নগরীতে’ পরিণত করবে। এটি অর্থনীতিকে চাঙ্গা এবং শিল্পায়ন, পর্যটন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এবং সড়ক যোগাযোগের বিকাশের জন্য অপার সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করে শহরের পরিধিকে সমগ্র অঞ্চলে প্রসারিত করবে।
অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানেলটি ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কসহ এর দুই পাশের দু’টি বড় অর্থনৈতিক করিডোরকে সংযুক্ত করে চট্টগ্রামকে লজিস্টিক হাবে পরিণত করতে একটি গেম চেঞ্জার হবে।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশ নদীর তলদেশে সড়ক সুড়ঙ্গের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। যা অবশ্যই সমগ্র জাতির জন্য গর্বের পাশাপাশি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে ব্যাপকভাবে সুবিধা দেবে।
মিডিয়া কোটায় উখিয়া টেকনাফ থেকে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী কক্সবাজারের নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান বলেন, টানেলটি এই অঞ্চলে শিল্পায়নকে উৎসাহিত করবে কারণ, চট্টগ্রাম-কেইপিজেড-এর আনোয়ারায় দু’টি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল এবং হালিশহরে চট্টগ্রাম ইপিজেড এবং আনোয়ারাতে চীনা অর্থনৈতিক ও শিল্প অঞ্চল (সিইআইজেড) এই টানেলের মাধ্যমে পর্যাপ্ত সুবিধা পাবে।
তিনি আরও বলেন, এটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাথে ৪০ কিলোমিটার দূরত্ব কমিয়ে সংযুক্ত করবে এবং এটি কক্সবাজারে চলমান এবং পরিকল্পিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি হাবকেও সুবিধা দেবে, যা ইতিমধ্যেই দেশের একটি পর্যটন কেন্দ্র।
এভাবে পদ্মা সেতুর মতো দেশের জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে জানান
স্বাধীনতা স্বপক্ষীয় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র ভাইসচেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক নেতা ফরিদুল ।
তিনি বলেন, টানেল ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা গেলে এবং কর্ণফুলী নদীর তীরে পরিকল্পিত শিল্পায়নকে স্মার্ট সিটিতে পরিণত করার জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান করা গেলে তা দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে। পাশাপাশি এটি মিজোরাম এবং মণিপুরসহ ভারতের ‘সেভেন সিস্টারস’-এর সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগ বাড়াতে পারে এবং এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি পর্যটনের প্রসার ঘটাতে পারে।
প্রকল্প কর্মকর্তাদের মতে, টানেলের দ’ুটি টিউব প্রায় ১২ মিটার দূরত্বে রয়েছে। উভয় টিউব ট্রাফিকের জন্য দুই লেন বিশিষ্ট এবং আনোয়ারা প্রান্তে অতিরিক্ত ৭২৭-মিটার দীর্ঘ ওভার-ব্রিজসহ টানেলের প্রতিটি প্রান্তে একটি ৫.৩৫-কিলোমিটার সংযোগ সড়ক অবস্থিত।
এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক নেটওয়ার্ক উন্নত হবে।
মোট ব্যয়ের মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক ৬,০৭০ কোটি টাকা দিয়েছে এবং চীনা কোম্পানি, চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এটি নির্মাণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর যৌথভাবে টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা টানেল বোরিং পর্যায়ও উদ্বোধন করেন।
মাল্টিলেন টানেল রুটটি একদিকে নেভি কলেজের কাছাকাছি নদীর মধ্য দিয়ে গেছে এবং অন্যদিকে কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াকরন (কেইপিজেড) অঞ্জল এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো)।
এতে কর্ণফুলী নদীর ওপর দ’ুটি সেতুর যানজটও কমবে।

প্রতারণায় জাজিরায় নারী সাংবাদিক নীলার আত্মহত্যা জাজিরা উপজেলা প্রতিনিধি

নিউজ২৪লাইন:
শরীয়তপুর জেলার আমিন মোহাম্মাদ জিতু নামে স্থানীয় এক ফোটোগ্রাফারের প্রেমের প্রতারণায় নাট্যকর্মী হিসেবে একই জেলার জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন “অঙ্কুর থিয়েটার” এর অন্যতম সদস্য এবং নিয়মিত অভিনেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা নামে এক নারী সাংবাদিক আত্মহত্যা করেছেন। তিনি স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমের সংবাদ পাঠিকা হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি একটি অনলাইন পোর্টালে সাংবাদিকতা করতেন।

বৃহস্পতিবার (২৬-অক্টোবর) দুপুরে জাজিরা পৌরসভার দক্ষিণ খোশাল শিকদার কান্দি অবস্থিত নীলার নিজ বাড়িতে থাকা বসত ঘরে তার নিজের বেডরুমে একটি সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন নীলা।

এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত আমিন মোহাম্মাদ জিতুসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে জাজিরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নীলার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার আব্দুল মান্নান খান।

নীলার পরিবার এবং মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, থিয়েটারের কাজসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে নীলার প্রায় নিয়মিত শরীয়তপুর সদরে যাতায়াত করার ফলে শরীয়তপুর সদরের পালং থানাধীন নিরালা গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে আমিন মোহাম্মাদ জিতুর পরিচয় হয় এবং এক পর্যায়ে তা প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। এরই প্রেক্ষিতে প্রায়সই জিতু তার কাছে নীলাকে ডেকে নিয়ে যেতো। এছাড়া প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে নীলার সাথে বহুবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনেরও অভিযোগ রয়েছে জিতুর বিরুদ্ধে।

সবশেষ গত (২৪-অক্টোবর) দুপুরে নীলাকে শরীয়তপুরে ডেকে নিয়ে যায় আমিন মোহাম্মদ জিতু।একদিন পরে (২৫-অক্টোবর) রাত ১০ টার দিকে নীলা বাড়িতে ফিরে আসলেও কারও সাথে কোন কথা বলেনি কিংবা খাবারও খায়নি। পরদিন সকালে নীলার পরিবার তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় জিতু তাকে বিয়ের কথা বলে শরীয়তপুর নিয়ে বিয়ে না করে অপবাদ দিয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়। যার ফলে, একইদিন দুপুরে বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে আত্মহত্যা করে নীলা।

বিষয়টি নিয়ে নীলার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার আব্দুল মান্নান খান বলেন, আমার মেয়েকে জিতু বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। বিয়ে না করে উল্টো আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছে। আমি বিচারের আশায় থানায় মামলা দায়ের করেছি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। তবে বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত আমিন মোহাম্মাদ জিতুর সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা নামে একটি মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। নীলার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনো আসামী গ্রেফতার করা যায়নি, তবে আসামী গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় যেকোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।

সেলাই মেশিনে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন সাদিয়া-রোজিনারা

নিউজ২৪লাইন:
শরীয়তপুর থেকে
মিরাজ পালোয়ান। :

শরীয়তপুরে অসচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বী করতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সহায়তায় ৩০ জন নারীর মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তাদের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর রেঞ্জ কমান্ডার রফিকুল ইসলাম (পিভিএম)। এসময় সেলাই মেশিন পেয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন এসব অসচ্ছল নারীরা।

অনুষ্ঠানে জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, জেলার বেকার নারীদের কর্মসংস্থান ও স্বাবলম্বী করতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৩০ জন নারীকে ৭৫ দিনের সেলাই ও ফ্যাশন ডিজাইনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে এসব নারীদের মধ্যে একটি করে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। এছাড়া ৭০ জন ছেলেদের ২১ দিনের অস্ত্রসহ ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণে শেষে সনদ বিতরণ করা হয়।

জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর এলাকা থেকে সেলাই মেশিন নিতে এসেছেন সাদিয়া আক্তার নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী। সাদিয়া আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি জানায়, তার বাবা কামাল হোসেন একজন বর্গা চাষী। তার কোনো ভাই নেই। ৫ বোনের মধ্যে সাদিয়া সেজো। বাবা কামাল হোসেন অন্যের জমিতে ফসল ফলিয়ে সামান্য উপার্জনে চালিয়ে আসছেন ৯ সদস্যের পরিবার। অর্থের অভাবে সাদিয়ার পড়াশোনা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এসময় তিনি জানতে পারেন আনসার বাহিনীর প্রশিক্ষণের কথা। পরে ৭৫ দিন প্রশিক্ষণ শেষে একটি সেলাই মেশিন পেয়ে অর্থকষ্ট থেকে মুক্তির বার্তা খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

এসময় সাদিয়া বলেন, বাবার একার পক্ষে পরিবারের এতোগুলো লোকের খাবার আর পড়াশোনার খরচ যোগাতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছিলো। এই অবস্থায় আমার পড়াশোনা চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছিলো। আমি আজ আনসার বাহিনী থেকে সেলাই প্রশিক্ষণ শেষ করে একটি সেলাই মেশিন পেলাম। এখন সেলাইয়ের কাজ করে বাবাকে সাহায্য করার পাশাপাশি নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেই চালিয়ে নিতে পারবো। আমি আনসার বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই।

গোসাইরহাট উপজেলার প্যাদা কান্দি থেকে সেলাই মেশিন নিতে আসা রোজিনা খাতুন নামের আরেক নারী বলেন, গরীব পরিবারের সন্তান হওয়ার এসএসসি পরীক্ষার পরেই আমার বিয়া হইয়া যায়। স্বামী একজন কৃষক। শশুর, শাশুড়ী আর ৪ বছরের মাইয়া লইয়া খুবই টানাপোড়নে চলতে হয়। আমিও চাইছিলাম নিজে কিছু কইরা স্বামীর পাশে দাঁড়ামু। আনসার বাহিনীর স্যারেগো থেকে প্রশিক্ষণ লইয়া একটা মেশিন পাইলাম। এখন আমি আয় করতে পারমু।

শরীয়তপুর আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট মইনুল ইসলাম বলেন, আমরা আনসার বাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন আর্ত সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে থাকি। আমরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জেলার বেকার ছেলে ও মেয়েদের স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করি। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা নিজেদের গড়ে তোলার পাশাপাশি পরিবারকে সাহায্য করতে পারবে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ ৩০ জন নারীর মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। এসকল নারীরা এখন মেশিন চালিয়ে আয় করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর রেঞ্জ কমান্ডার রফিকুল ইসলাম (পিভিএম) বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছেলে মেয়েদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে একটি দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলে। আনসার বাহিনী থেকে এসকল বেকার যুবক যুবতীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা নিজেদেরকে স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি দেশের কল্যাণে কাজ করে থাকে।

শরীয়তপুরের জাজিরায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দলিল লেখক কামরুজ্জামান মিলন খানের উপর হামলা করেছে সন্ত্রাসী বাদশা বাহিনী

নিউজ২৪লাইন:

মানজারুল ইসলাম মিলন – জাজিরা শরীয়তপুর জেলা বিশেষ প্রতিনিধি!!!!

ঘটনা সুত্রে জানা যায় জাজিরা উপজেলার কাজির হাট নতুন স্টান্ড এলাকায় দলিল লেখক কামরুজ্জামান মিলন খান ২০ শতাংশ জমি ক্রয় করে আরো ৫/৬ বছর আগে, সেই জমি ভুমি দস্যু বাদশা বাহিনী বিভিন্ন কোলাকৌশ করে অবৈধভাবে দলখ করার চেষ্টা করে আসছিলো।

কিন্তু কোন মতে সে জমি দখল করতে না পেরে স্থানীয় সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে সমঝোতা করে কিছু জমি ক্রয় করে নেয় বাদশা মাদবর এবং বাকী জমি কিছু দিন পরে দলিল করে নেওয়া সিদ্ধান্ত হয় সালিশ বৈঠকে।

কিন্তু অনেক দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও বাদশা মাদবর বাকি জমি দলিল করে নেয়নি, এই নিয়ে জমির মালিক দলিল লেখক কামরুজ্জামান মিলন খানের সাথে বিরোধ চলে আসতেছিলো।
পরে কামরুজ্জামান মিলন খান ওই জমি অন্য জায়গায় বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিলে ভুমি দস্যু বাদশা মাদবর তার উপর চড়াও হয় এবং জমি কিভাবে বিক্রি করে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

এই ঘটনার সুত্রপাত থেকে গত
পরশু বিকালে মিলন খান তার জমির সিমানা নির্ধারনী মাপ দিতে যান এবং সে জমি মাপার কাজে ব্যস্ত থাকে, তখন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওত পেতে থাকা বাদশা মাদবর,শাহজান, নাহিদ, আরো ৩/৪ জন সন্ত্রাসী ও এক নারী তার উপর পিছন থেকে ঝাপিয়ে পড়ে।
রামদা,লোহার রড, লাঠি চাপাতি দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে যখম করে।
তারপর সে বাঁচার জন্য চেষ্টা করলে তার চোখে মুখে মরিচের গুঁড়ো ঢুকিয়ে তাকে অন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে, যখন বেধড়ক মারধরের শিকার হয়ে কামরুজ্জামান মিলন খান অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তখন তার সাথে থাকা ১ লাখ টাকা ও দুইটি মোবাইল ফোনের মধ্যে একটি মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেয়।
তখন শরীর থেকে রক্ত ঝড়তে থাকে তখন ভুমি দস্যু বাদশা বাহিনী ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য, দলিল লেখক কামরুজ্জামান মিলন খান কে ডাকাত, ছিনতাইকারী,ধর্ষন কারী বলে চিৎকার করতে থাকে তখন লোকজন জড়ো হয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে পরে আরো লোকজন আসলে ঘটনার ভিন্ন রুপ বুঝতে পেরে তাকে উদ্ধার করে জাজিরা থানা পুলিশের হেফাজতে দিয়ে দেয়। পুলিশ সাথে সাথে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য জাজিরা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ঘটনার বর্ননা দিলে পুলিশ ও ডাক্তার পরামর্শ করে তার অবস্থা আশংঙ্কা জনক দেখে তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পেরন করেন। বর্তমানে তার পরিবার সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায় দলিল লেখক কামরুজ্জামান মিলন খানের অবস্থা আশংঙ্কা জনক।
তার পায়ের হাড় ভেঙে দুই টুকরো হয়ে গেছে, এবং চোখে মরিচের গুঁড়ো ছুঁড়ে দেওয়ার কারনে চোখের অবস্থা গুরুতর যখম হয়ে আছে। সব চাইতে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে ভুক্তভোগী কে মারধর করে আবার ভুক্তভোগীর নামে উলটো মামলা করার জন্য জাজিরা থানায় এসে হাজির হয়েছিলো ভুমিদস্যু বাদশার স্ত্রী,, পরে এলাকার জনগণের তোপের মুখে পরে মামলা না করে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।

এবং ভুক্তভোগীর পরিবার কে হুমকি প্রদান করেন যদি তারা থানা পুলিশ করে তাহলে ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ও ধর্ষন চেষ্টা মামলা করবে বলে হুমকি দেয় এবং ওই জমির কাছে গেলে হত্যা করে গুম করে ফেলবে বলেও হুমকি প্রদান করেন।
এই বিষয়ে জাজিরা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করে সাংবাদিক গন জানতে চায় এখনো কেন মামলা রুজু হলো না? তখন ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তবে জাজিরা পৌরসভার মেয়র মোঃ ইদ্রিস মাদবর বিষয় টি দেখবে বলে মামলা টি এখনো স্থগিত রহিয়াছে, মেয়র আশার পরে বিষয় টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে অপরাধীকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।।।

1 2 3 5