নিউজ২৪লাইন:
নড়িয়া শরীয়তপুর ,
মিরাজ পালোয়ান।
শরীয়তপুরের ছেলে হৃদয় মৃধা ইতালিতে দিব্যি ভালো আছেন কিন্তু ছেলেকে নিঁখোজ দাবি করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মামলা দায়ের করেছেন বাবা আনোয়ার হোসেন মৃধা। মিথ্যা মামলার ভয়ে আসামিরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলন ডেকে ভূক্তভোগীর স্বজনরা এমনটাই জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার দিনারা গ্রামের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তুলে ধরেন ভূক্তভোগী আনোয়ার হোসেন মীরমালতের স্ত্রী রেনু বেগম।
মানবপাচারের মত গুরুতর অভিযোগ এনে আনোয়ার হোসেন মীরমালতের সাথে তার ছেলে উজ্জল মীরমালতকেও আসামি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রেনু বেগম বলেন, আমার ছোট ছেলে রাসেল মীরমালত কয়েক বছর আগে লিবিয়া দিয়ে ইতালি প্রবেশ করে দালারের মাধ্যমে। আনোয়ার মৃধা প্রথমে তার ছেলে হৃদয়কে লিবিয়াতে পাঠায়। পরবর্তীতে উজ্জল মীর মালতের সাথে যোগাযোগ করে বলে রাসেলকে ইতালি পাঠানো সেই দালালের ঠিকানা দিতে। উজ্জল ঢাকাতে থাকে। কখনো বিদেশে যায়নি। সরল বিশ্বাসে উজ্জল আনোয়ার মৃধাকে দালালের নাম্বার দেয়। পরবর্তীতে আনোয়ার মৃধা ওই দালালের সাথে আর যোগাযোগ করেছে কিনা তাও আমরা জানি না। যতদূর জানি, হৃদয় ভালোভাবে লিবিয়া থেকে ইতালি পৌঁছেছে। প্রতিদিনই সে ফেসবুকে নিজের অবস্থান জানিয়ে পোস্ট করে। কিন্তু তারপরও আনোয়ার মৃধা আমার স্বামী আনোয়ার মীর মালত ও ছেলে উজ্জল মীর মালতকে আসামী করে মানব পাচার আইনে মামলা করেছে। আমি বুড়ো মানুষ। স্বামী সন্তান মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এখন। জোরপূর্বক টাকা আদায় করতেই আনোয়ার মৃধা এমন মামলা করেছেন। আমি আদালত ও আইনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। স্বামী সন্তান নিয়ে আমি বাড়িতে থাকতে চাই।
আনোয়ার মীর মালতের মেয়ে জামাই মো. রাসেল ছৈয়াল বলেন, আনোয়ার মৃধা এলাকায় প্রচার করে বেড়াচ্ছে থানা পুলিশ দিয়ে দাবরানি দিয়ে জোরপূর্বক টাকা আদায় করবেন। অথচ উজ্জল মীর মালত ও আনোয়ার মীর মালত কোনোদিন কাউকে বিদেশে নেওয়ার চিন্তাও করেনি।
স্থানীয় দুলাল ছৈয়াল বলেন, ছেলে হৃদয় মৃধা লিবিয়া থেকে ইতালি প্রবেশ করার পর মিলাদ পড়িয়ে এলাকাবাসীকে খাইয়েছে আনোয়ার মৃধা। এরপর ছেলে হৃদয়কে নিঁখোজ দাবি করে আনোয়ার মীর মালত ও উজ্জল মীর মালতের থেকে টাকা আদায় করতেই মামলা করেছেন তিনি। এটা পুরো এলাকাবাসী জানে।
মামলার বাদী আনোয়ার মৃধা বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আমার ছেলে ইতালির লাহারে আছে। এক মাসেরও অধিক সময় আগে হৃদয় ইতালিতে পৌঁছেছে। দীর্ঘদিন আমার ছেলে নিঁখোজ ছিল বলে মামলা করেছি। ছেলেকে ইতালি পাঠানোর কথা বলে উজ্জল মীর মালত দফায় দফায় বিভিন্ন একাউন্টে আমার থেকে টাকা নিয়েছেন। ছেলে ইতালি যাওয়ার আগে মামলা করেছেন নাকি পরে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কিছুই বলতে পারেননি।