শখিপুরে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষককে নিজ বাড়িতে ঘর তুলতে দিচ্ছে না দুষ্কৃতকারীরা

টিটুল মোল্লা।। 

শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার ডিএম খালী ইউনিয়নের মুন্সীকান্দি গ্রামের আবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আ:রশিদ খানকে তার নিজ বাড়ীতে ঘর তুলতে দিচ্ছেন না স্হানীয় প্রভাবশালী হাবিব খান ও মান্না খান।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডিএমখালী মুন্সী কান্দি রশিদ মাষ্টারের বাড়িতে ইট দিয়ে ঘরের আংশিক পাকা দেয়াল তুলে রাখা হয়েছে। বাড়ির একপাশে ইট,বালু,রড,সিমেন্ট রাখা আছে। ইট,বালু সিমেন্ট, রড এখন নস্ট হয়ে যাওয়ার পথে। খোজ নিয়ে জানা যায়,রশিদ মাষ্টার যখন ঘরের কাজ শুরু করেন তখন হাবিব খান,মান্না খান এসে বাধা প্রধান করেন,এরপর সমাজের গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে এলাকায় বসে কাগজপত্র পর্যালোচনা করেন।

সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা রশিদ খানকে ঘর তোলার জন্য রায় দেন। এরপর রশিদ খান পাকা ঘরের কাজ শুরু করেন।

২৩/২/২০২১তারিখে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে হাবিব খান মামলা করে ১৪৪ ধারা জারী করে ঘরের কাজ বন্ধ করে দেন।

এব্যাপারের মুন্সী কান্দি গ্রামের জাহাঙ্গীর খান বলেন,এই সম্পত্তির মালিক রশিদ খান কিন্তু শুধুমাত্র তাকে হয়রানী করার উদ্দেশ্য মান্নার প্ররোচনায় হাবিব খান এই মামলাটি করেন, রশিদ খান একজন স্কুল শিক্ষক ভদ্র মানুষ। 

 

এ ব্যাপারে মোন্টু মুন্সি কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতবছর সমাজের গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে এলাকায় বসে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে একটা রায় দেয়া হয়েছিলো।সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা রশিদ খানকে ঘর তোলার জন্য রায় দেন।অথচ এ রায় হাবিব খান মানেননি। 

 

অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক রশিদ খান বলেন, আমার বাবার থেকে পাওয়া ও কিছু ক্রয় করা সম্পত্তি আমার নামে সর্বশেষ মাঠ জরিপে ২০ শতাংশ জমি রেকর্ড ভুক্ত হয়,যাহা ৫২ নং চরচান্দা মৌজার ৪৫ নং খতিয়ানে ১৮৩৮,১৮৩৯ দাগে। আমি প্রায় ৫০ বছর যাবত ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু এখন ওরা আমাকে ঘর তুলতে দিচ্ছেনা।

 

তিনি আরো বলেন,আমার ঘর তোলার জন্য যেই  ইট,বালু সিমেন্ট, রড এনেছি এখন তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে।আমি এর সমাধান চাচ্ছি।   

 

অভিযুক্ত হাবিব খানের কাছে জানতে চাইলে জবাবে তিনি বলেন, আমাদের বাপদাদার সম্পত্তিতে একটু বেশী কম আছে তাই মামলা করে ঘরের কাজ বন্ধ করা হয়েছে। তবে সে কিছু সম্পত্তি পাবে,সেখানে ঘর তুলতে পারে।

 

মান্না খানের কাছে জানতে চাইলে সংবাদমাধ্যম কে বলেন, উনাদের যায়গায় উনারা ঘর উঠাবে তাতে কোনো সমস্যা নাই কিন্তু এরা ঘরের পাস দিয়ে বাড়তি একটুও যায়গা রাখেনি। উনাদের জমির চার পাশে কিছু বাড়তি জমি রেখে ঘর উঠালে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। 

 

Spread the love

পাঠক আপনার মতামত দিন