ফরিদপুর-২ উপ নির্বাচনে(এমপি)নির্বাচিত হলেন “শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী”

টিটুল মোল্লা,,
ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী।

আসনটিতে মোট ১২৩টি কেন্দ্রের ফলাফলে তিনি ৫৩ হাজার ৯৩৪ ভোট বেশি পেয়ে জয়লাভ করেন।

তিনি সদ্য প্রয়াত সাবেক সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছোট ছেলে।

নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু পেয়েছেন মোট ৬৮ হাজার ৮১২ ভোট। তাঁর নিকটতম একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন মনোনীত বটগাছ প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়া পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮৭৮ ভোট।

শনিবার (০৫ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে ফরিদপুর জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এ নির্বাচনে মোট ভোটারের ২৬.২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে।

ফরিদপুর-২ আসনটি সালথা, নগরকান্দা উপজেলা ও সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। আসনটিতে শনিবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪ পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। এতে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৫৮৫ জন ভোটারের মধ্যে ৮৩ হাজার ৬৯০ ভোট কাস্টিং হয় বলে ফরিদপুর নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠু স্বাভাবিকভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও ফরিদপুর-২ আসনের রিটার্নিং অফিসার মো. হুমায়ূন কবির বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও আনসারের পাশাপাশি তিনজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ১৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন।

এশিয়ান পেইন্ট ডিলার ব্যবসার আড়ালে জমজমাট ইয়াবা ব্যবসা

কক্সবাজার প্রতিনিধি;

জাহেদুল মোস্তফা

দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার শহরে একটি ইয়াবা সিন্ডিকেটের রমরমা ইয়াবা ব্যবসা করে আসতেছে। বিভিন্ন সময়ে সিন্ডিকেটের চালান ধরা পড়লেও সিন্ডিকেটের গডফাদাররা সুকৌশলে ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে আবার সক্রিয় হচ্ছে ইয়াবা ব্যবসায়।
সূত্রে জানা যায় -কক্সবাজার নুনিয়ারছড়ার মাছ সেলিমের নেতৃত্বে ইয়াবা সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য কক্সবাজার শহরের এশিয়ান পেইন্ট ডিলার ব্যবসার আড়ালে জমজমাট ইয়াবা ব্যবসা করে আসতেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায় কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের শেল্টারে মাছ সেলিম,দক্ষিণ রুমালিয়রছড়ার নুরু,জাহেদুল মোস্তফা, গুরামিয়া,বাহারছড়ার আমিন,খুরুষ্কুলের লালুসহ একটি ইয়াবা সিন্ডিকেট ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসতেছে।তারা ইয়াবা ব্যবসা করে অল্পদিনে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। অন্য দিকে সিন্ডিকেটের একাউন্টেট খ্যাত এশিয়ান পেইন্ট ডিলার ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা সমস্ত টাকার লেনদেন তার ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে করে বলে শোনা যায়।উক্ত সিন্ডিকেটের যৌথ টাকায় ইয়াবা ব্যবসায় ব্যবহারের জন্য একটি হলুদ রঙের একুয়া হাইব্রিড গাড়ি ক্রয় করা হয় যা বর্তমানে সিন্ডিকেটের সদস্য জাহেদুল মোস্তফা ব্যবহার করে। উক্ত গাড়িতে বিশেষ কায়দায় ইয়াবা চালান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করে বলে ও কথিত আছে।
সূত্র জানা যায় – গত ১১ নভেম্বর ২০ কমিশনার মিজানের ভগ্নিপতি মমতাজ মিয়া,মাছ সেলিম,রুমালিয়ারছড়ার নুরু, জাহেদুল মোস্তফা, বাহারছড়ার আমিন, খুরুষ্কুলের লালুসহ সিন্ডিকেটের পাচারের উদ্দেশ্যে মমতাজের বাসায় মজুদ করেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায় – মঙ্গলবার ১০ নভেম্বর ২০ দিবাগত রাতে রোহিঙ্গাদের ইয়াবা বোঝাই ৩টি ফিশিং ট্রলার টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে খালাস হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিজিবি ও কোস্টগার্ডের ধাওয়া খেয়ে ২টি ফিশিং ট্রলার আটকে পড়ে। তার মধ্যে ১টি ফিশিং ট্রলার সটকে পালিয়ে নুনিয়ারছড়া ঘাটে চলে আসে।রাত ২টার দিকে ট্রলারে থাকা রোহিঙ্গা মাছ সেলিমকে ফোন করে ট্রলারে ৫লাখ ইয়াবা থাকার কথা জানায়।এ সময় সেলিম পৌর কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানালে তার ভগ্নিপতি মমতাজকে ঘাটে পাঠিয়ে ভোর ৪টায় ইয়াবা গুলো নিয়ে আসে।মমতাজের ঘরে ইয়াবা গুলো জালের মধ্যে সুকৌশলে রাখা হয়।পরদিন বুধবার সকালে সেলিম মমতাজকে ইয়াবার ভাগ দিতে বলে লোক পাঠাতে বলে।সেলিম তার টমটম ড্রাইভারকে ইয়াবা আনার জন্য পাঠায়।এদিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত বিপুল চন্দ্র দে এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঐ বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তখন বাড়ির প্রবেশের সময় মাছ সেলিমের টমটম ড্রাইভার মোহাম্মদ সুমন ও ফিরোজ আলম(২৬) নামক দুই জনকে আটক করে এবং মমতাজের বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ৬০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।বিষয়টি জানা জানি হলে মাছ সেলিম সিন্ডিকেটরা সবাই আত্মগোপনে চলে যায়।আটক ইয়াবা উদ্ধার নিয়ে মামলা হলে পরবর্তীতে তারা টাকার বিনিময়ে চার্জশিট থেকে বাদ পড়ে।দীর্ঘদিন পর উক্ত সিন্ডিকেট নিরব থাকলেও তারা আবার ইয়াবা ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কক্সবাজারে মেজর সিনহা হত্যার পরে প্রশাসনের রদবদলের সুযোগে তারা ইয়াবা ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা আয় করে আলিশান জীবনযাপন করছে। এদিকে তাদের কয়েকটি চালান ধরা পড়লেও তারা থাকছে অধরা।কক্সবাজার শহরে অনেকেই বৈধ ব্যবসার সাইনবোর্ড ব্যবহার করে মরনঘ্যাতি ইয়াবা ব্যবসা করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাচ্ছে।প্রশাসনের নজরদারি না বাড়ালে ইয়াবার মুল গডফাদারদের না ধরলে দেশকে ইয়াবার করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করা যাবে না।