পর্যটনকেন্দ্রও খোলার ঘোষণা দিলো সরকার

নিউজ ৩৪ লাইন ঃ ঢাকা- স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে দেশের সব পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এদিন থেকে খুলে দেয়া হবে রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ থেকে পাঠানো এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে করোনার সংক্রমণ এড়াতে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে আপাতত ধারণক্ষমতার অর্ধেক মানুষকে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হবে।

করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে সর্বশেষ যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল সেটা শিথিল করে গত ৮ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সে অনুযায়ী বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে কিছু শর্ত মেনে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। খুলেছে শপিংমল সহ অন্যান্য দোকানপাটও।

তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার বা বিনোদনকেন্দ্রগুলো খোলার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল না। এবার পর্যটনকেন্দ্রগুলোও খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত আসলো সরকার থেকে।

অন্ধ মেয়ে”

“”””অন্ধ মেয়ে””””
ইমদাদুল হক মিলন

গভীর কালো মেঘের ছায়া,
রঙ্গিন ভগে ভগে!
মেঘের তুলি বুলিয়ে দিয়ে,
নতুন রঙ্গে ভগে।
একটু বৃষ্টি হয়ে গেলে সাত রঙ্গের ভগ ?
আকাশ পানে চেয়ে দেখে,
রঙ্গিন রঙ্গিন ভাঁজ !
অন্ধ বেশে রঙ্গিন হেসে,
রঙ্গিন ফুলের ভগ।
ভ্রমর হয়ে ভাগাও তুমি সমস্ত মাঠ বেয়ে ?
বাদল গেছে রোদ হেসেছে ,
নতুন সাজে সেজে গেছো মিষ্টি হাসি হেসে !
অন্ধ হয়েও মেয়ে তুমি,
দিয়েছ মধুর জগৎ খানি।

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার প্রকৃতির কারিগর বাবুই পাখি

মোঃ রুহুল আমিন// বিশেষ প্রতিনিধি:
নিউজ ২৪ লাইন ঃ
বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই, কুঁড়ে ঘরে থাকি কর শিল্পের বড়াই/ আামি থাকি মহা সুখে অট্টালিকা পরে, তুমি কত কষ্ট পাও রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে/ বাবুই হাসিয়া কহে সন্দেহ কি তাই/ কষ্ট পাই তবু থাকি নিজেরই বাসায়। কবি রজনীকান্ত সেনের এ কবিতাটি আজো মানুষের মুখে। অথচ বাবুই পাখির অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। শরীয়তপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে বাবুই পাখি ও বাবুই পাখির বাসা। এসব বাসা শুধু শৈল্পিক নিদর্শনই ছিল না, মানুষের মনে চিন্তার খোরাক জোগাত এবং স্বাবলম্বী হতে উৎসাহ যোগাত, কিন্তু কালের বিবর্তনে ও পরিবেশে বিপর্যয়ের কারণে আজ এ পাখিটি আমরা হারাতে বসেছি। সেই বাসা দেখতে যেমন আকর্ষনীয় তেমন মজবুত। এরা বিভিন্ন গাছে বাসা বাঁধলেও তালগাছেই বাসা বাঁধে বেশি। অথচ সেই তালগাছও এখন বিপন্ন প্রায়।

উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের মল্লিক কান্দি এলাকার রমিজ উদ্দিন আখন বলেন, বাবুই পাখি আসলে প্রাকৃতির দর্জি। এর বুননে সত্যি জাদু আছে। যে কেহ বাবুই পাখির বাসা বুনন দেখে মুহিত হয়ে যান। এছাড়া এ পাখি শিল্পের নির্দশনও বটে। একে দেখে আমাদেরও শিক্ষার অনেক কিছু আছে। ফসলের জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ, যানবাহনের শব্দ, বিল এলাকায় মৎস্য চাষ, তালগাছ না থাকা সর্বোপরি স্বাভাবিক বিচরণ ক্ষেত্র কমে যাওয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির কারিগর বলে খ্যাত বাবুই পাখি। গ্রাম বাংলায় এখন আর আগের মতো বাবুই পাখির সেই শৈল্পিক বাসা চোখে পড়ে না। জানা যায়, কালের বির্বতনে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে আজ আমরা হারাতে বসেছি সেই কারিগর বাবুই পাখির শিল্প কর্মকে। গাছে গাছে জগের মতো চমৎকার বাসা তৈরি করায় এ পাখি কারিগর পাখি নামে পরিচিত।

অনেকে একে তাঁতি পাখিও বলেন। কেউ আবার দর্জি পাখিও বলেন। কথিত আছে বাবুই পাখি রাতে বেলায় ঘর আলোকিত করার জন্যে জোনাকি পোকা ধরে নিয়ে বাসায় রাখে এবং সকাল হলে আবার তাদের ছেড়ে দেয়। জানা যায়, প্রায় ১৫-২০ বছর আগে গ্রামগঞ্জের তাল, নারিকেল, খেজুর ও সুপারি গাছে প্রচুর বাবুই পাখির বাসা চোখে পড়ত। বাবুই পাখির এসব বাসা শুধুমাত্র শৈল্পিক নির্দশনই ছিল না, মানুষের মনে চিন্তার খোরাকও জোগাত। বাবুই পাখির বাসা যেমন দৃষ্টিনন্দন, তেমনি মজবুত।প্রবল ঝড়বাতাসেও টিকে থাকে তাদের বাসা। খড়ের, ধানের পাতা, তালের কচিপাতা, ঝাউ ঘাস, আখের পাতা ও কাঁশবনের লতাপাতা দিয়ে উঁচু নারিকেল, সুপারি ও তালগাছে চমৎকার আকৃতির বাসা তৈরি করত বাবুই পাখিরা। গুচ্ছগ্রামের মতো এক সাথে দলবেঁধে বাস করত বাবুই পাখিরা। একাধারে স্থপতি, শিল্পী এবং সামাজিক বন্ধনেরও প্রতিচ্ছবি। বাবুই পাখি তাদের বাসা এত মজবুত ও শক্তিশালীভাবে তৈরি করে যে এ বাসা টেনেও ছেঁড়া কঠিন।

এরা এক বাসা থেকে আরেক বাসায় যায় পছন্দের সঙ্গী খুঁজতে। বাবুই সাধারণত দুই ধরনের বাসা তৈরি করে থাকে। স্ত্রী বাবুই পাখির প্রেরনা পেয়ে পুরুষ বাবুই পাখি খুবই শৈল্পিকভাবে এসব বাসা তৈরি করে থাকে। একটা বাসা তৈরি করতে তাদের ১০/১২ দিন লেগে যায়। ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ বলেন, এমন একটা সময় ছিল যখন গ্রামাঞ্চলে প্রচুর তাল, নারিকেল ও খেজুর গাছ দেখা যেতো। বাবুই পাখির কিচিরমিচির শব্দ এবং তাদের শৈল্পিক বাসা তৈরি মানুষকে আনন্দিত করতো। কিন্তু এখন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে গ্রামে।

জলাশয়সহ কৃষি জমি বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। গাছপালা কেটে বসতির জন্যে অট্টালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাই এখন আর আগের মতো গ্রামাঞ্চলের রাস্তার ধারে, বাড়ির পাশে ও পুকুর পাড়ে সেই তালগাছ, খেজুর গাছ যেমন দেখা যায় না তেমনি দেখা মিলে না শৈল্পিক বাবুই পাখিরও। গ্রামের মাঠের ধারে, পুকুর পাড়ে কিংবা নদীর তীরে একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছ হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেছে শৈল্পিক বাবুই পাখিও। এখন এসব যেন বইয়ের ছড়া আর দাদুর কাছে শোনা গল্প। অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা এবং বড় বড় তাল, খেঁজুর, নারিকেল গাছ না থাকার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির কারিগর বাবুই পাখি। তাই বাবুই পাখি ও এর শৈল্পিক নিদর্শন রক্ষা করার জন্যে দ্রত সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহন করা প্রয়োজন। ছোট বেলা থেকেই গল্প ভালোবাসি বাবুই পাখি।

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার প্রকৃতির কারিগর বাবুই পাখি

মোঃ রুহুল আমিন// বিশেষ প্রতিনিধি:
নিউজ ২৪লাইনঃ
বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই, কুঁড়ে ঘরে থাকি কর শিল্পের বড়াই/ আামি থাকি মহা সুখে অট্টালিকা পরে, তুমি কত কষ্ট পাও রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে/ বাবুই হাসিয়া কহে সন্দেহ কি তাই/ কষ্ট পাই তবু থাকি নিজেরই বাসায়। কবি রজনীকান্ত সেনের এ কবিতাটি আজো মানুষের মুখে। অথচ বাবুই পাখির অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। শরীয়তপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে বাবুই পাখি ও বাবুই পাখির বাসা। এসব বাসা শুধু শৈল্পিক নিদর্শনই ছিল না, মানুষের মনে চিন্তার খোরাক জোগাত এবং স্বাবলম্বী হতে উৎসাহ যোগাত, কিন্তু কালের বিবর্তনে ও পরিবেশে বিপর্যয়ের কারণে আজ এ পাখিটি আমরা হারাতে বসেছি। সেই বাসা দেখতে যেমন আকর্ষনীয় তেমন মজবুত। এরা বিভিন্ন গাছে বাসা বাঁধলেও তালগাছেই বাসা বাঁধে বেশি। অথচ সেই তালগাছও এখন বিপন্ন প্রায়।

উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের মল্লিক কান্দি এলাকার রমিজ উদ্দিন আখন বলেন, বাবুই পাখি আসলে প্রাকৃতির দর্জি। এর বুননে সত্যি জাদু আছে। যে কেহ বাবুই পাখির বাসা বুনন দেখে মুহিত হয়ে যান। এছাড়া এ পাখি শিল্পের নির্দশনও বটে। একে দেখে আমাদেরও শিক্ষার অনেক কিছু আছে। ফসলের জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ, যানবাহনের শব্দ, বিল এলাকায় মৎস্য চাষ, তালগাছ না থাকা সর্বোপরি স্বাভাবিক বিচরণ ক্ষেত্র কমে যাওয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির কারিগর বলে খ্যাত বাবুই পাখি। গ্রাম বাংলায় এখন আর আগের মতো বাবুই পাখির সেই শৈল্পিক বাসা চোখে পড়ে না। জানা যায়, কালের বির্বতনে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে আজ আমরা হারাতে বসেছি সেই কারিগর বাবুই পাখির শিল্প কর্মকে। গাছে গাছে জগের মতো চমৎকার বাসা তৈরি করায় এ পাখি কারিগর পাখি নামে পরিচিত।

অনেকে একে তাঁতি পাখিও বলেন। কেউ আবার দর্জি পাখিও বলেন। কথিত আছে বাবুই পাখি রাতে বেলায় ঘর আলোকিত করার জন্যে জোনাকি পোকা ধরে নিয়ে বাসায় রাখে এবং সকাল হলে আবার তাদের ছেড়ে দেয়। জানা যায়, প্রায় ১৫-২০ বছর আগে গ্রামগঞ্জের তাল, নারিকেল, খেজুর ও সুপারি গাছে প্রচুর বাবুই পাখির বাসা চোখে পড়ত। বাবুই পাখির এসব বাসা শুধুমাত্র শৈল্পিক নির্দশনই ছিল না, মানুষের মনে চিন্তার খোরাকও জোগাত। বাবুই পাখির বাসা যেমন দৃষ্টিনন্দন, তেমনি মজবুত।প্রবল ঝড়বাতাসেও টিকে থাকে তাদের বাসা। খড়ের, ধানের পাতা, তালের কচিপাতা, ঝাউ ঘাস, আখের পাতা ও কাঁশবনের লতাপাতা দিয়ে উঁচু নারিকেল, সুপারি ও তালগাছে চমৎকার আকৃতির বাসা তৈরি করত বাবুই পাখিরা। গুচ্ছগ্রামের মতো এক সাথে দলবেঁধে বাস করত বাবুই পাখিরা। একাধারে স্থপতি, শিল্পী এবং সামাজিক বন্ধনেরও প্রতিচ্ছবি। বাবুই পাখি তাদের বাসা এত মজবুত ও শক্তিশালীভাবে তৈরি করে যে এ বাসা টেনেও ছেঁড়া কঠিন।

এরা এক বাসা থেকে আরেক বাসায় যায় পছন্দের সঙ্গী খুঁজতে। বাবুই সাধারণত দুই ধরনের বাসা তৈরি করে থাকে। স্ত্রী বাবুই পাখির প্রেরনা পেয়ে পুরুষ বাবুই পাখি খুবই শৈল্পিকভাবে এসব বাসা তৈরি করে থাকে। একটা বাসা তৈরি করতে তাদের ১০/১২ দিন লেগে যায়। ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ বলেন, এমন একটা সময় ছিল যখন গ্রামাঞ্চলে প্রচুর তাল, নারিকেল ও খেজুর গাছ দেখা যেতো। বাবুই পাখির কিচিরমিচির শব্দ এবং তাদের শৈল্পিক বাসা তৈরি মানুষকে আনন্দিত করতো। কিন্তু এখন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে গ্রামে।

জলাশয়সহ কৃষি জমি বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। গাছপালা কেটে বসতির জন্যে অট্টালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাই এখন আর আগের মতো গ্রামাঞ্চলের রাস্তার ধারে, বাড়ির পাশে ও পুকুর পাড়ে সেই তালগাছ, খেজুর গাছ যেমন দেখা যায় না তেমনি দেখা মিলে না শৈল্পিক বাবুই পাখিরও। গ্রামের মাঠের ধারে, পুকুর পাড়ে কিংবা নদীর তীরে একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছ হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেছে শৈল্পিক বাবুই পাখিও। এখন এসব যেন বইয়ের ছড়া আর দাদুর কাছে শোনা গল্প। অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা এবং বড় বড় তাল, খেঁজুর, নারিকেল গাছ না থাকার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির কারিগর বাবুই পাখি। তাই বাবুই পাখি ও এর শৈল্পিক নিদর্শন রক্ষা করার জন্যে দ্রত সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহন করা প্রয়োজন। ছোট বেলা থেকেই গল্প ভালোবাসি বাবুই পাখি।

মোঃ রুহুল আমিন।
শরীয়তপুর।

1 2